গুলিস্তানের বিস্ফোরণে নিহত ১৬ জনের নাম-পরিচয় পাওয়া গেছে
রাজধানীর গুলিস্তানের সিদ্দিক বাজার এলাকায় ভয়াবহ বিস্ফোরণের ঘটনায় এখন পর্যন্ত ১৬ জন নিহত হয়েছেন। এ
অর্থনৈতিক রিপোর্টার : রপ্তানি আয়ে নেতিবাচক ধারায় কৃষিপণ্য। চলতি বছরের প্রথম সাত মাসের তুলনায় অষ্টম মাস এবং গত অর্থবছরের প্রথম আট বছরের তুলনায় এ বছরের আট মাসে রপ্তানি আয় কমেছে। বাংলাদেশ রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরোর (ইপিবি) মার্চ মাসের হালনাগাদ প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা গেছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বিগত ২০১৪-১৫ অর্থবছরের জুলাই-মার্চ মেয়াদের তুলনায় চলতি অর্থবছরের প্রথম ৮ মাসে কৃষিপণ্য রপ্তানি কমেছে ১২ দশমিক ৯৮ শতাংশ। কৃষিপণ্যের মধ্যে ২০১৫-১৬ অর্থবছরের জুলাই-মার্চ মেয়াদে সবচেয়ে বেশি নেতিবাচক ধারা দেখা গেছে চা রপ্তানিতে। গত অর্থবছরের প্রথম ৮ মাসের তুলনায় চলতি অর্থবছরের একই সময়ে এই খাতে চা রপ্তানি কমেছে ৪১ দশমিক ৬৩ শতাংশ।
ইপিবি’র মার্চ মাসে প্রকাশিত হালনাগাদ প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে, ২০১৪-১৫ অর্থবছরে কৃষিপণ্য রপ্তানিতে আয় হয়েছিল ৫৮ কোটি ৬০ লাখ ৫০ হাজার মার্কিন ডলার। এর মধ্যে জুলাই-ফেব্রæয়ারি মেয়াদে এই খাতে আয় হয়েছিল ৪০ কোটি ৩১ লাখ ৪০ হাজার মার্কিন ডলার। ২০১৫-১৬ অর্থবছরে কৃষিপণ্য রপ্তানি লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে ৫৯ কোটি ৫০ লাখ মার্কিন ডলার। এর মধ্যে প্রথম ৮ মাসের এই খাতে ৩৭ কোটি ৩৯ লাখ ১০ হাজার মার্কিন ডলারের পণ্য রপ্তানি লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছিল। এর বিপরীতে আয় হয়েছে ৩৫ কোটি ৮ লাখ ২০ হাজার মার্কিন ডলার। অর্থাৎ প্রথম ৮ মাসের লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে ৮ দশমিক ৬২ শতাংশ কম বৈদেশিক মুদ্রা আয় হয়েছে কৃষিপণ্য রপ্তানিতে।
কৃষিপণ্যের মধ্যে ২০১৫-১৬ অর্থবছরের জুলাই-ফেব্রæয়ারি মেয়াদে চা ও মসলা জাতীয় পণ্যের রপ্তানি লক্ষ্যমাত্রা অর্জন সম্ভব হলেও সবজি, তামাক, কপি, ফল ও শুকনো খাবার রপ্তানি লক্ষ্যমাত্রা অর্জন হয়নি। আলোচ্য সময়ে মসলা জাতীয় পণ্য রপ্তানি লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছিল ১ কোটি ২৯ লাখ মার্কিন ডলার। এই সময়ের মধ্যে এই খাতে আয় হয়েছে ১ কোটি ৮৪ লাখ ৭০ হাজার মার্কিন ডলার; যা লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে ৪৩ দশমিক ১৮ শতাংশ বেশি। গত অর্থবছরের প্রথম ৮ মাসে মসলা জাতীয় পণ্য রপ্তানিতে আয় হয়েছিল ১ কোটি ৪৯ লাখ ৩০ হাজার মার্কিন ডলার। চলতি অর্থবছরের প্রথম ৮ মাসে চা রপ্তানিতে আয় হয়েছে ১৪ লাখ ৩০ হাজার মার্কিন ডলার; যা লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে ১০ দশমিক ৮৫ শতাংশ বেশি। তবে গত অর্থবছরের একই সময়ের তুলনায় ৪১ দশমিক ৬৩ শতাংশ কম বৈদেশিক মুদ্রা আয় হয়েছে এই খাতে। ২০১৪-১৫ অর্থবছরে চা রপ্তানিতে আয় হয়েছিল ২৬ লাখ ৩০ হাজার মার্কিন ডলার। এর মধ্যে প্রথম ৮ মাসে এই খাতে আয় হয়েছিল ২৪ লাখ ৫০ হাজার মার্কিন ডলার। ২০১৫-১৬ অর্থবছরে এই খাতে রপ্তানি লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছিল ২০ লাখ মার্কিন ডলার। চলতি অর্থবছরের জুলাই-ডিসেম্বর মেয়াদে অন্যান্য কৃষিপণ্য রপ্তানিতে আয় হয়েছে ১৫ কোটি ২৯ লাখ ১০ হাজার মার্কিন ডলার। যা লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে ২ দশমিক ৮৯ শতাংশ এবং গত অর্থবছরের একই সময়ের তুলনায় শূন্য দশমিক ৭৯ শতাংশ কম।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।