Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

স্থবির সারা দেশের নির্মাণ কাজ সিন্ডিকেটের কবলে রড সিমেন্টের বাজার : বাসি

| প্রকাশের সময় : ৩০ মার্চ, ২০১৮, ১২:০০ এএম

অর্থনৈতিক রিপোর্টার : দেশে এম এস রড প্রস্তুতকারী প্রতিষ্ঠান সমূহ অবৈধ ভাবে নিয়মনীতি না মেনে এমএস রডের মূল্যবৃদ্ধি করে চলেছে। এতে স্থবির হয়ে পড়েছে সারা দেশের নির্মান কাজ। এমন পরিস্থিতিতে সরকারের হস্তক্ষেপের দাবি জানিয়েছে বাংলাদেশ এসোসিয়েশন অব কনস্ট্রাকশন ইন্ডাষ্ট্রি (বাসি)। নতুবা আগামী ১৫ এপ্রিল থেকে সমস্ত নির্মাণ কাজ বন্ধ করে দেওয়ার হুমকি দিয়েছে সংগঠনটি। একই সঙ্গে তারা পিপিআর অনুযায়ী মূল্য সমন্বয়ের ২৭ দশমিক ৯ ধারা কার্যকরের দাবিও জানান।
গতকাল বৃহষ্পতিবার ঢাকা রির্পোটার্স ইউনিটিতে এক সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা জানান বাসি’র আওতাভ‚ক্ত ব্যবসায়ী নেতারা। সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন বাসি’র বর্তমান প্রেসিডেন্ট মুনীর উদ্দিন আহমেদ, সাবেক প্রেসিডেন্ট শেখ মো. রফিকুল ইসলাম, সাবেক প্রেসিডেন্ট সফিকুল আলম ভুইয়া, সাবেক প্রেসিডেন্ট আতিকুর রহমান, সাবেক প্রেসিডেন্ট আফতাব উদ্দিন আহমেদ ও ভাইস প্রেসিডেন্ট এসএম খোরশেদ আলম।
মুনীর উদ্দিন বলেন, ‘হাতে গোনা তিন চারটি প্রতিষ্ঠানের সিন্ডিকেটের কারণেই রডের দাম হু হু করে বাড়ছে। সকালে একটা দাম থাকলে বিকেলেই তা পরিবর্তন হয়ে যাচ্ছে। অনেকটা পাগলা ঘোড়ার মত। এই পাগলা ঘোড়া না থামালে আমরা হারিয়ে যাবো।’
তিনি দাবি করেনÑআন্তর্জাতিক বাজারে কাচামালের দাম বৃদ্দি, ডলারের দাম বৃদ্ধি সহ যেসব কারণে রডের দাম বৃদ্ধির কথা বলছেন সেটা ঠিক না। আসল কথা হলো সিন্ডিকেট। কারণ ২০১৭ সালের সেপ্টেম্বর মাসে যখন আন্তর্জাতিক বাজারে বিলেটের দাম ছিল ৫৬০ ডলার তখন দেমের বাজারে রডের দাম ছিল ৪৫ হাজার টাকা। আর এখন যখন বিলেটের দাম ৫২০ ডলার তখন এটি বেড়ে দাড়িয়েছে ৭২-৭৩ হাজার টাকায়।
সংবাদ সম্মেলনে এসোসিয়েশনের পক্ষে লিখিত বক্তব্য পাঠ করে বাসি’র সদস্য সফিকুল হক তালুকদার। তিনি জানান, দেশের জিডিপিতে নির্মাণ প্রতিষ্ঠানের অবদান প্রায় ৯ শতাংশ। কিন্তু গত কয়েকমাস যাবৎ অব্যাহত শিল্প সংশ্লিস্ট সামগ্রির দাম বেড়েছে। এতে সারা দেশের নির্মাণ কাজ ধীরগতিতে চলছে। কিছু কাজ বন্ধও হয়ে যাচ্ছে। এতে সরকারের বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচী ব্যহত হচ্ছে। যা জিডিপিতে অভিষ্ট লক্ষ্যে পৌঁছাতে বাঁধা হয়ে দাঁড়াবে ।
তিনি বলেন, যদিও তারা বলছে এর জন্য কাঁচামালের মূল্য বৃদ্ধি, পরিবহন খরচ বৃদ্ধি, ডলারের দাম বৃদ্ধি, ব্যাংকের সুদের হার বৃদ্ধি এবং চট্টগ্রাম বন্দরে পণ্য খালাস বিলম্বের কারন দায়ী, তবে বাস্তবে তা নয়। কারন প্রকৃতপক্ষে এইসব কারনে সর্বোচ্চ ৭ থেকে ৮ শতাংশ রডের মূল্য বৃদ্ধি পেতে পারে, কিন্তু কোন অবস্থাতেই ৫০ শতাংশ নয়।
লিখিত বক্তব্যে বলা হয়, ভৌত অবকাঠামো নির্মানের রড জাতীয় কাজের পরিমান হয় ২০-২৫ শতাংশ। তাই এম এস রডের মূল্য বৃদ্ধি পেলে পুরো স্থাপনার নির্মাণ ব্যয় ৭ থেকে ৮ শতাংশ বেড়ে যায়। তাই হঠাৎ করে সিন্ডিকেটের মাধ্যমে মূল্য বৃদ্ধি পাওয়ায় আমাদের পক্ষে চলমান কাজ চালিয়ে নেয়া সম্ভব নয় । এমন পরিস্থিতি চলমান থাকলে আগামী ১৫ এপ্রিল থেকে সমস্ত নির্মাণ কাজ বন্ধ করে দিতে বাধ্য হবো। সিন্ডিকেট ভাঙার পাশাপাশি লিখিত বক্তব্যে পিপিআর অনুযায়ী মূল্য সমন্বয়ের ২৭ দশমিক ৯ ধারা কার্যকরের জোর দাবি করেন।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: রড

১১ সেপ্টেম্বর, ২০২২

আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ