নারী দিবস ম্যারাথনে পাপিয়া চ্যাম্পিয়ন
‘নিরাপদ সমাজ, নিরাপদ নারী’-স্লোগানে অনুষ্ঠিত নারী দিবস রেগুলার ম্যারাথনে রেগুলার বাংলাদেশের পাপিয়া খাতুন চ্যাম্পিয়ন, হামিদা
ধারণা করা হচ্ছিল ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়া (সিএ) বড় ধরণের শাস্তি-ই দিতে যাচ্ছে পূর্ব পরিকল্পনা অনুযায়ী বল টেম্পারিং করার কাজে নেতৃত্ব দেয়া স্টিভেন স্মিথ ও ডেভিড ওয়ার্নারকে। সেই হিসাবে বলা যায় লঘু শাস্তিই পেয়েছেন তারা। অধিনায়ক স্মিথ ও তার ডেপুটি ওয়ার্নারকে আন্তর্জাতিক ও ঘরোয়া ক্রিকেটে মাত্র এক বছরের জন্য নিষিদ্ধ করেছে সিএ। তাদের পরিকল্পনা মাঠে বাস্তবায়নকারী ক্যামেরন ব্যানক্রফট নিষিদ্ধ হয়েছেন ৯ মাসের জন্যে!
তবে এই সময়টা অলসভাবে কাটানোর সুযোগ নেই স্মিথ-ওয়ার্নারদের। অস্ট্রেলিয়া ক্রিকেটের নিয়ম অনুযায়ী এই সমেয় কমপক্ষে ১০০ ঘন্টা ক্রিকেট উন্নয়নের কাজে ব্যায় করতে হবে তাদের। এছাড়া সিএর ঘোষণা অনুযায়ী, নিষেধাজ্ঞার মেয়াদ শেষ হওয়ার পর আগামী এক বছর দলের অধিনায়কত্বের পদে আসতে পারবেন না স্মিথ। আর ওয়ার্নারের জন্য অধিনায়কের পদ নিষিদ্ধ করা হয়েছে আজীবনের জন্যে। কারণ, বল টেম্পারিংয়ের মূল হোতা নাকি ওয়ার্নার। সিএ তদন্ত কমিটির ভাষ্য এমনই।
তদন্ত কমিটি জানায়, দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে চলমান চার টেস্ট সিরিজের কেপটাউন টেস্টে (তৃতীয় ম্যাচে) তৃতীয় দিনে বল টেম্পারিংয়ের পরিকল্পনা করেন ওয়ার্নার। তার পরিকল্পনাতেই সিরিজ কাগজের মত বস্তু নিয়ে যাওয়া হয় মাঠে। ধরা পড়ার পর মাঠে আম্পায়ারের সঙ্গে বিতর্কও করেন তিনি।
স্মিথের প্রতি অভিযোগ, তিনি সবকিছুই জানতেন কিন্তু দলপতি হয়েও নিষিদ্ধ কাজে বাধা দেননি। উল্টো মাঠে এহেন প্রতারণা বাস্তবায়নের জন্য ব্যানক্রফটকে একবার নির্দেশনাও দিতে দেখা যায় তাকে। আর ব্যানক্রফট এই পরিকল্পনা সম্পর্কে জানতেন এবং নির্দেশনা মত তিনি মাঠে নিষিদ্ধ বস্তু নিয়ে প্রবেশ করেন ও পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করেন। এরপর স্মিথের সঙ্গে জনসম্মুখে এ নিয়ে কথাও বলেন তিনি।
গতকাল জোহানেসবার্গে তিনজনকেই নিষেধাজ্ঞার বিষয়টি জানিয়ে দেন সিএ চিফ এক্সিকিউটিভ জেমস সাদারল্যান্ড। তিনজনই রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করার সুযোগ পাবেন।
কাল থেকে শুরু হবে জোহাসেনবার্গ টেস্ট। শাস্তিপ্রাপ্ত তিনজনের কেউই এই ম্যাচে খেলতে পারবেন না। তিনজনকেই গতকাল দেশের বিমান ধরতে হয়েছে। স্মিথকে এই ম্যাচে আগেই নিষিদ্ধ করে আইসিসি। ব্যানক্রফটকে প্রদান করা হয় তিনটি ডিমেরিট পয়েন্ট।
তবে দেশের বাইরে এবং ক্লাব ক্রিকেট খেলায় কোন বাধা নেই স্মিথ-ওয়ার্নারদের। কিন্তু এমন নেক্কারজনক কর্মকান্ড করার পর তাদের দলে রেখে অপবাদের অংশীদার হতে চাইবে কেন ক্লাব। তাই আসন্ন আইপিএলও খেলা হচ্ছে না তাদের। আইপিএলে রাজস্তান রয়্যালর্সের অধিনায়কের পদ থেকে আগেই সরে দাঁড়িয়েছেন স্মিথ। পরের দিন বুধবার ওয়ার্নারও সানরাইজার্স হায়দরাবাদের অধিনায়কের পদ থেকে সরে দাঁড়ান। আইপিএল চেয়ারম্যান রাজিব শুল্কা এ দুজনকে এ বছর আইপিএলে খেলতে না দেয়ার ঘোষণা দেন। ইতোমধ্যে দুই ফ্রাঞ্জাইজি দলের সঙ্গে চুক্তিও হারিয়েছেন তারা। যার মিলিত অর্থের পরিমান ২ মিলিয়ন ডলার।
ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ড (বিসিসিআই) জানিয়েছে, ২০১৮ সালের আইপিএলে স্মিথ ও ওয়ার্নারকে আইপিএলে নিষিদ্ধ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে দল দুটির কর্তারা। এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে ভারতীয় ক্রিকেটের নিয়ন্ত্রক সংস্থা জানায়, ‘বিসিসিআই আশা করছে আইপিএলে অংশগ্রহণকারী ক্রিকেটাররা অবশ্যই ক্রিকেটের চেতনা এবং খেলোয়াড় ও ম্যাচ কর্মকর্তাদের জন্য প্রণীত আচরনবিধি মেনে চলবে।’
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।