মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
আজ বৃহস্পতিবার ‘পার্মানেন্ট ইন্দুজ কমিশনে’র বৈঠকে বসতে যাছে ভারত ও পাকিস্তান। দুই দিনের এ বৈঠকে ইন্দুজ ওয়াটার্স ট্রিটি (আইডাব্লিউটি)’র অধীনের বিভিন্ন বিষয় নিয়ে আলোচনা হবে। এটা হবে পার্মানেন্ট ইন্দুজ কমিশনের (পিআইসি) ১১৪তম বৈঠক। আইডাব্লিউটি অনুযায়ী এই কমিশনের বছরে অন্তত একবার বৈঠকে বসার কথা।
বার্ষিক এ বৈঠকে ভারতের ইন্দুজের পানি ব্যবস্থাপনা বিষয়ক কমিশনার পি কে স্যাক্সেনা, টেকনিক্যাল বিশেষজ্ঞ দল এবং পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের একজন প্রতিনিধি ভারতীয় দলে থাকবেন। পাকিস্তানের ছয় সদস্যের প্রতিনিধি দলের নেতৃত্ব দিবেন সৈয়দ মুহাম্মদ মেহার আলী শাহ।
পাকিস্তানী কূটনীতিকদের ভারতে হয়রানি করার অভিযোগসহ বিভিন্ন বিষয়ে দুই দেশের সম্পর্কের মধ্যে যে মুহূর্তে উত্তেজনা বিরাজ করছে, সে সময় এ বৈঠক অনুষ্ঠিত হতে যাছে। একটি সরকারী সূত্র পিটিআইকে জানিয়েছে, ২৯ ও ৩০শে মার্চ এ বৈঠক অনুষ্ঠিত হবে। সূত্র অনুযায়ী, বৈঠকে ভারতের রাতলে জলবিদ্যুৎ প্রকল্প, জম্মু ও কাশ্মীরের পাকুল ডুল এবং লোয়ার কালনাই প্রকল্পের বিষয়টি আলোচনা হতে পারে।
পাকিস্তান অভিযোগ করে আসছে, ১৯৬০ সালে যে আইডাবিøউটি স্বাক্ষরিত হয়, রাতলে (৮৫০ মেগাওয়াট), পাকুল ডুল (১০০০ মেগাওয়াট) এবং লোয়ার কালনাই (৪৮ মেগাওয়াট) প্রকল্পে সেটা লঙ্ঘন করা হয়েছে। একটি সূত্র বলেছে, “তবে ভারত খুবই নিশ্চিত যে এই প্রকল্পগুলোর নকশায় চুক্তির শর্ত মেনে চলা হয়েছে।”
সূত্রগুলো জানিয়েছে যে, জম্মু ও কাশ্মীরের বান্দিপোরা জেলার ঝিলাম নদীতে নির্মিত ৩৪০ মেগাওয়াট ক্ষমতাসম্পন্ন কিষাণগঙ্গা জলবিদ্যুৎ প্রকল্পের প্রসঙ্গটি হয়তো আলোচনায় আসবে না, কারণ এই প্রকল্পটির কমিশন হয়ে গেছে। ২০১৭ সালের মার্চে ইসলামাবাদে পিআইসি’র আগের বৈঠকটি হয়েছিল। পিআইসি’র বৈঠক পালাক্রমে দুই দেশে অনুষ্ঠিত হয়।
আইডাব্লিউটি-তে ছয়টি নদীর পানি বণ্টনের বিষয় নিয়ে আলোচনা হয়। এগুলো হলো বেয়াস, রাভি, সুতলেজ, ইন্দুজ, ছেনাব এবং ঝিলাম। চুক্তিতে উল্লেখ রয়েছে যে পশ্চিমের তিনটি নদী – ইন্দুজ, ঝিলাম ও ছেনাব পাকিস্তানের জন্য বরাদ্দ। অন্যদিকে, পূর্বদিকের তিন নদী – রাভি, সুতলেজ এবং বেয়াসের পানি বরাদ্দ রয়েছে ভারতের জন্য। সূত্র: সাউথ এশিয়ান মনিটর।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।