পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর প্রতি কঠোর পরিশ্রম, অধ্যবসায় ও উন্নত প্রশিক্ষণ গ্রহণের মাধ্যমে আধুনিক প্রযুক্তির চ্যালেঞ্জ মোকাবেলার সক্ষমতা অর্জনের আহ্বান জানিয়েছেন প্রেসিডেন্ট মো. আবদুল হামিদ।
বুধবার (২৮ মার্চ) সৈয়দপুর সেনানিবাসে বাংলাদেশ আর্মি ইলেকট্রিক্যাল ও মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ার্স কোরের ৫ম কোর পুনর্মিলনী-২০১৮ উপলক্ষে ভাষণদানকালে তিনি এ আহ্বান জানান। প্রেসিডেন্ট বলেন, ‘বিশ্বের বিভিন্ন দেশের সেনাবাহিনী এখন সর্বাধুনিক যুদ্ধাস্ত্র ও সরঞ্জামাদি ব্যবহার করছে- সুতরাং সামরিক জীবনে মানসম্মত প্রশিক্ষণ গ্রহণের কোন বিকল্প নেই।’
সশস্ত্রবাহিনীর সর্বাধিনায়ক মো. আবদুল হামিদ বলেন, প্রশিক্ষণ পেশাগত দক্ষতা বৃদ্ধির জন্য সহায়ক এবং এটি কর্তব্যপালনে নিষ্ঠার পাশাপাশি দক্ষ করে তোলে।
তিনি দেশে-বিদেশে বিভিন্ন ক্ষেত্রে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর ইএমই কোরের নানা কার্যক্রমের উল্লেখ করেন এবং আশা প্রকাশ করেন যে ‘ইএমই কোরের সদস্যরা সেনাবাহিনীর ভাবমূর্তি সমুন্নত রাখার ক্ষেত্রে তাদের কার্যক্রম চলিয়ে যাবে এবং দেশের সামগ্রিক উন্নয়ন নিশ্চিতকরণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে।’
প্রেসিডেন্ট কোনো কাজ শৃঙ্খলা ও দক্ষতার সঙ্গে সম্পন্ন করতে কমান্ডারদের প্রতি শ্রদ্ধা প্রদর্শন ও আনুগত্য বজায় রাখার ওপর জোর দেন।
ইএমই কোরের উন্নয়নে বর্তমান সরকারের গৃহীত নানা সময়োপযোগী পদক্ষেপের উল্লেখ করে তিনি বলেন, নতুন ইউনিট স্থাপনসহ ইএমই কোরের জনবল বৃদ্ধির উদ্যোগ, বৈদেশিক মিশন ও প্রশিক্ষণের সুযোগ দানের মাধ্যমে ইএমই কোরের কর্মকাণ্ড যথেষ্ট গতিময় হয়েছে।
আবদুল হামিদ ইএমই কোরের জওয়ানদের প্রতি নিয়মিত প্রশিক্ষণ চালিয়ে যাওয়ার ওপর গুরুত্বারোপ করে বলেন, ইএমই সেন্টার এন্ড স্কুল, ইএমই কোর সদস্যদের প্রাণকেন্দ্র, কোরের জন্য চৌকস সেনা সদস্য প্রস্তুত করতে এ প্রতিষ্ঠান গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে। তিনি বলেন, ২০১৪ সাল থেকে পুরুষ রিক্রুটদের পাশাপাশি এ প্রতিষ্ঠান মহিলা রিক্রুটদেরও প্রশিক্ষণ দিয়ে দক্ষ সৈনিক হিসেবে গড়ে তুলছে।
তিনি আরো বলেন, বর্তমান সরকারের ‘রূপকল্প-২০২১’-এর আলোকে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর ফোর্সেস গোল-২০৩০ চূড়ান্তকরণ ও পর্যায়ক্রমে বাস্তবায়নের প্রক্রিয়া চলছে। ফোর্সেস গোল-২০৩০ এর সার্বিক বাস্তবায়ন সম্পন্ন হলে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী একটি পরিপূর্ণ, আধুনিক, কার্যকর ও যুগোপযোগী বাহিনীতে রূপান্তরিত হবে বলে তিনি আশা প্রকাশ করেন।
প্রেসিডেন্ট বন্যা, জলোচ্ছ্বাস ও ঘূর্ণিঝড়ের মতো জাতীয় দুর্যোগ মোকাবেলায় সশস্ত্র বাহিনীর ভূমিকার প্রশংসা করেন। তিনি সাম্প্রতিক রোহিঙ্গা সংকট মোকাবেলা এবং বিদেশে জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা মিশনসমূহে তাদের অবদানেরও প্রশংসা করেন।
আবদুল হামিদ বিশেষভাবে ২০১৬ সালের ১ জুলাই গুলশানের হলি আর্টিজান বেকারি এবং সিলেটের সুরমার আতিয়া মহলে যথাক্রমে ‘অপারেশন থান্ডার বোল্ট’ ও ‘অপারেশন হোয়াইটলাইট’ জঙ্গিদের বিরুদ্ধে সফলভাবে পরিচালনার জন্য সেনাবাহিনীর ভূমিকারও প্রশংসা করেন।
অনুষ্ঠানে সিনিয়র রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ, তিন বাহিনীর প্রধানগণ, সংসদ সদস্যগণ, ইএমই কোরের সাবেক ও বর্তমান অফিসারগণ, রাষ্ট্রপতির সংশ্লিষ্ট সচিবগণ এবং ঊর্ধ্বতন সামরিক ও বেসামরিক কর্মকর্তাবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।