Inqilab Logo

রোববার, ২৮ এপ্রিল ২০২৪, ১৫ বৈশাখ ১৪৩১, ১৮ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

চাঁদপুরে নৌ-বাহিনীর যুদ্ধজাহাজ ‘পদ্মা’য় দর্শনার্থীদের ভিড়

| প্রকাশের সময় : ২৮ মার্চ, ২০১৮, ১২:০০ এএম

চাঁদপুর থেকে বি এম হান্নান: মুক্তিযুদ্ধের সময় নৌ-পথে যুদ্ধ করা ‘পদ্মা’ নামক জাহাজ নতুন প্রজন্মকে মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় উদ্ধুদ্ধ করতে চাঁদপুর ডাকাতিয়া নদীতে অবস্থান নেয়। নৌ-বাহিনীর যুদ্ধ জাহাজ ‘পদ্মা’ দেখতে শত-শত দর্শনার্থী ভিড় করে। মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবসে নৌ-বাহিনীর পক্ষ থেকে এ আয়োজন করা হয়।
শিক্ষক বিল্লাল শিকদার চাঁদপুর ডাকাতিয়া নদীতে নৌ-বাহিনী পরিচালিত যুদ্ধ জাহাজ ‘পদ্মা’ দেখতে এসে অনুভুতি প্রকাশ করে বলেন, মুক্তিযুদ্ধের পর আমার জন্ম। যুদ্ধ দেখিনি, তবে মুক্তিযুদ্ধে ব্যবহৃত জাহাজটি দেখে নিজেকে গর্বিত মনে হয়। কারণ অনেক মানুষ প্রাণ দিয়েছিল একটি স্বাধীন দেশের জন্য।
২৬ মার্চ দুপুর ২টা থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত সর্বসাধারণের উন্মুক্ত করে দেয়া হয় জাহাজটি। সকাল থেকেই অসংখ্য মানুষ জাহাজটি দেখার জন্যে ভীড় জমায় চাঁদপুর পুরাতন নৌ-টার্মিনালে। দুপুর ২টার পর থেকেই নিরাপত্তা ব্যবস্থার মধ্য দিয়ে জাহাজে প্রবেশ করে সাধারণ মানুষ। এ সময় সব বয়সের মানুষই জাহাজটি দেখতে আসেন। তবে বেশী ছিল স্কুল কলেজের শিক্ষার্থী।
৩ জন অফিসার ও ৬০ জন নাবিক নিয়ে ‘পদ্মা’ আসে খুলনা থেকে। জাহাজ এখন দেশের সমুদ্রসীমা রক্ষা, জাটকা রক্ষা, সকল প্রকার সামুদ্রিক নৌ-মহড়া, নদী ও সমুদ্র পথে চোরা চালান, মানব পাচার রোধ, দুযোর্গপূর্ন উদ্ধার তৎপরতাসহ গুরুত্বপূর্ন ভূমিকা রাখছে বলে সংশ্লিষ্টার জানান।
শহরের আক্কাছ আলী উচ্চ বিদ্যালয়ের সপ্তম শ্রেনীর ছাত্র আবু বকর ছিদ্দিক জানায়, তার ভাল লেগেছে জাহাজাটি দেখে। এটি চাঁদপুরে না আসলে কখনো দেখা সম্ভব হতনা। যুদ্ধে ব্যবহৃত এবং নৌ-বাহিনীর নিজস্ব কাজে ব্যবহৃত যন্ত্রপাতি দেখার সুযোগ পেলাম।
ব্যবসায়ী শাজাহান কবির খোকা জানান, আমি জাহাজ দেখে আবেগ আপ্লুত। কারণ এ ধরনের জাহাজে প্রবেশ করা সাধারণ মানুষের পক্ষে সম্ভব নয়। কারণ এটি দেশ রক্ষার কাজেই শুধুমাত্র ব্যবহৃত হয়। এটি দেখে নতুন প্রজন্ম নৌ-বাহিনীর প্রতি ভাল ধারনা পাবে।
পদ্মা জাহাজের অধিনায়ক কমান্ডার নেছার আহম্মেদ জুলিয়াস জানান, চাঁদপুর এসে অনেক ভাল লেগেছে। কারণ এ জেলার মানুষের জাহাজ দেখার আগ্রহ দেখে নাবিকরা খুবই গর্বিত। সর্বসাধারাণের মাঝে স্বাধীনতা যুদ্ধে নৌ-বাহিনীর ভূমিকা ও তাৎপর্য তুলে ধরাই এর মূল উদ্দেশ্য। মহান মুক্তিযুদ্ধে সর্বপ্রথম পদ্মা ও পলাশ নামে দু’টি যুদ্ধ জাহাজ যুদ্ধে সরাসরি অংশ গ্রহন করে। সে সময় ব্যবহৃত যুদ্ধ জাহাজ পদ্মা ১৯৮০ সাল পর্যন্ত নৌ-বাহিনীর কার্যক্রমে ছিল। বর্তমানে বানৌজা পদ্মা জাহাজটি ২০১৩ সালে বাংলাদেশ খুলনা শিপইয়ার্ড লিঃ কর্তৃক তৈরীকৃত আধুনিক প্রযুক্তির পেট্টোল ক্রাফ্ট। এ জাহাজটি মুক্তিযুদ্বের স্মৃতি ধরে রেখে তার কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছে। এটি ৬টি আধুনিক বিমান বিধ্বংসী কামান বহন করে আছে।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ