পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
চৈত্র মাসের প্রায় মাঝামাঝি অর্থাৎ পঞ্জিকার হিসাবে বসন্ত ঋতুর শেষ দিকে এসে আবহাওয়ায় পরিবর্তনের পালা শুরু হয়েছে। যদিও তা কিছুটা দেরিতে। খটখটে টানা খরার দহন কেটে যাচ্ছে ধীরে ধীরে। গতকাল (সোমবার) সন্ধ্যা পর্যন্ত পূর্ববর্তী ৪৮ ঘণ্টায় রাজধানী ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন জায়গায় বিক্ষিপ্ত ও অস্থায়ীভাবে গুঁড়ি গুঁড়ি, হালকা থেকে মাঝারি ধরনের বৃষ্টিপাত হয়েছে। সেই সাথে ছিল হিমেল দমকা হাওয়া। এরফলে দিন ও রাতের তাপমাত্রার পারদ কিছুটা নিচে নেমেছে। রাজধানী ঢাকার কয়েকজন নাগরিক ইনকিলাবকে জানান, ধূলি-ময়লা, রোদ আর ধোঁয়াময় নগরীতে গতকালসহ দুই দিনের বৃষ্টিপাত অল্পস্বল্প ও বিক্ষিপ্ত হলেও আমরা উপভোগ করেছি। সাময়িক স্বস্তি খুঁজে পেয়েছি। তবে দমকা ও ঝড়ো হাওয়ার সাথে মাঝারি বর্ষণ না হওয়া পর্যন্ত ধূলাবালি আর দিনেরাতে মশার জ্বালা-যন্ত্রণা থেকে রেহাই মিলছে না।
আবহাওয়া বিভাগ সূত্র জানায়, গত ৪৮ ঘণ্টায় ঢাকায় ৪ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত হয়েছে। আর গতকাল সন্ধ্যা পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় ঢাকায় ২ মিমি, টাঙ্গাইলে ১৪ মিমি, ময়মনসিংহে ১৪ মিমি, সিলেটে ২ মিমি, শ্রীমঙ্গলে ১৮ মিমি, বগুড়া ও বাদলগাছিতে ১০ মিমি করে, তারাশে ২৫ মিমি (দেশের সর্বোচ্চ পরিমাণ) বৃষ্টিপাত হয়েছে। চট্টগ্রাম অঞ্চলে আকাশ আংশিক মেঘলা থাকলেও বৃষ্টিপাত হয়নি। তাপমাত্রা রয়েছে সহনীয়। এ সময় দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল রাজশাহীতে ৩৪.৫ সেলসিয়াস, সর্বনিম্ন তেঁতুলিয়ায় ১৬.৫ সে.। ঢাকায় সর্বোচ্চ ও সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ৩৩.৫ এবং ২৪.৫ ডিগ্রি সে.।
এদিকে আজ (মঙ্গলবার) সন্ধ্যা পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টার পূর্বাভাসে জানা গেছে, ময়মনসিংহ ও সিলেট বিভাগের কিছু কিছু জায়গায় এবং রংপুর, রাজশাহী, খুলনা, ঢাকা, বরিশাল ও চট্টগ্রাম বিভাগের দুয়েক জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা থেকে ঝড়ো হাওয়াসহ বৃষ্টি অথবা বজ্রসহ বৃষ্টিপাত হতে পারে। সেইসাথে কোথাও কোথাও বিক্ষিপ্তভাবে শিলা বৃষ্টি হতে পারে। সারাদেশে দিনের তাপমাত্রা সামান্য হ্রাস পেতে পারে। রাতের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে। আগামী ২ দিনে আবহাওয়ার অবস্থার সামান্য পরিবর্তন হতে পারে। এর পরের ৫ দিনে বৃষ্টি অথবা বজ্রসহ বৃষ্টিপাত হতে পারে।
ধূলি ধুসরিত, ধোঁয়া ও পুতিগন্ধময় শহর-নগর-বন্দর-গ্রামে-গঞ্জে মানুষের প্রত্যাশা, হিমেল দমকা হাওয়ার পরশ বুলিয়ে হালকা বৃষ্টিপাত কিংবা ঝড়ো-বৃষ্টি। খটখটে আবহাওয়ায় খরার দহনে পানির উৎসগুলো শুকিয়ে দেশের সর্বত্র বিশুদ্ধ পানির সঙ্কট বিরাজ করছে। ভূগর্ভেও পানির স্তর নিচের দিকে নেমে গেছে। চাষাবাদ হচ্ছে ব্যাহত।
আবহাওয়া বিভাগ জানায়, পশ্চিমা লঘুচাপের বর্ধিতাংশ হিমালয়ের পাদদেশীয় পশ্চিমবঙ্গ ও এর সংলগ্ন এলাকায় অবস্থান করছে। মৌসুমের স্বাভাবিক লঘুচাপ দক্ষিণ বঙ্গোপসাগরে অবস্থান করছে। চলতি মার্চ মাসের দীর্ঘমেয়াদি পূর্বাভাসে আবহাওয়া বিভাগ জানায়, দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে দমকা ও ঝড়ো হাওয়ার সাথে মাঝারি থেকে তীব্র ধরনের কালবৈশাখী ঝড়, বজ্রঝড়, শিলাবৃষ্টি এবং তাপমাত্রা ক্রমশ বেড়ে গিয়ে তাপপ্রবাহের সম্ভাবনা রয়েছে। এ মাসে তাপমাত্রা স্বাভাবিকের চেয়ে বেশি থাকতে পারে। তবে এখনো তাপমাত্রার পারদ স্বাভাবিক অবস্থায় রয়েছে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।