পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
হজযাত্রী ট্রান্সফারের ক্ষেত্রে হজ এজেন্সিগুলো অবৈধ গ্রুপ লিডারদের কাছে ধরাশায়ী হচ্ছে। গ্রæপ লিডারদের উপর নির্ভরশীল হওয়ায় এই পরিস্থিতির সৃষ্টি হচ্ছে। কোনো কোনো গ্রুপ লিডার সন্ত্রাসী নিয়ে বৈধ হজ এজেন্সিতে হানা দিয়ে হুমকি ধমকি দিয়ে ট্রান্সফারের জন্য হজযাত্রীদের পাসপোর্ট ছিনিয়ে নিচ্ছে। এ নিয়ে অবৈধ গ্রুপ লিডার ও হজ এজেন্সি’র মালিকদের মাঝে অহরহ বচসা হচ্ছে। থানা পুলিশকেও এ ব্যাপারে সৃষ্ট সংকট নিরসনে হিমসিম খেতে হচ্ছে। অনেক হজযাত্রী নির্ধারিত সময়ের পরেও পাসপোর্ট হাতে না পাওয়ায় নিবন্ধন কার্যক্রম সম্পন্ন করতে পারছেন না। গতকাল রোববার সন্ধ্যা পৌনে ৭টা পর্যন্ত বেসরকারী হজ এজেন্সি’র মাধ্যমে ৮০ হাজার ২শ’ ৬৫ জন হজযাত্রীর চূড়ান্ত নিবন্ধন সম্পন্ন করা হয়েছে। আর সরকারী ব্যবস্থাপনায় ৭ হাজার ১শ’ ৯৮ জন হজযাত্রীর মধ্যে গতকাল পর্যন্ত ৫ হাজার ৮শ’ ৪৭ জন হজযাত্রী’র নিবন্ধন সম্পন্ন করা হয়েছে। বেসরকারী ব্যবস্থাপনায় আরো প্রায় ৪০ হাজার হজযাত্রীর নিবন্ধন করা বাকি রয়েছে। চাঁদ দেখা সাপেক্ষে আগামী ২১ আগষ্ট পবিত্র হজ অনুষ্ঠিত হবার কথা।
গাইবান্ধার সাদুল্লাপুরের প্রতাবশালী গ্রæপ লিডার খোরশেদ আলম ওছমানী তিন জন ভাড়াটিয়া সন্ত্রাসী নিয়ে গত ১৯ মার্চ ৬০ নং দিলকুশাস্থ ফ্রিডম হজ্জ গ্রæপ ট্যুরস এন্ড ট্রাভেলসে হানা দিয়ে ট্রান্সফারের দাবীতে ৮৯ জন হজযাত্রী’র পাসপোর্ট জোরপূর্বক নিয়ে উধাও হয়। এ ব্যাপারে ফ্রিডম হজ্জ গ্রæপ ট্যুরস এন্ড ট্রাভেলসের স্বত্বাধিকারী মো: নুরুল হক মতিঝিল থানায় একটি জিডি দায়ের করেন । জিনি নং ১৪৮০ (২০/৩/২০১৮)। মতিঝিল থানার এস আই শফিকুল ইসলাম গ্রæপ লিডার খোরশেদ আলম ওছমানীসহ দু’জনকে থানায় ডেকে নিয়ে যান। বিষয়টি সুরাহার কথা বলে গ্রæপ লিডার খোরশেদ আলমসহ তাদেরকে থানা থেকে ছেড়ে দেয়া হয়। গতকাল বিকেল পর্যন্ত ৮৯ জন হজযাত্রীর পাসপোর্ট উদ্ধার করা সম্ভব হয়নি। হজযাত্রীদের পাসপোর্ট উদ্ধার না হওয়ায় নিবন্ধন কার্যক্রম সম্পন্ন করতে না পারায় চরম হতাশায় ভুগছেন হজ এজেন্সি’র স্বত্বাধিকারী মো: নুরুল হক। গ্রæপ লিডার খোরশেদ আলম ওছমানী ওছমানী হজ্জ কাফেলার নামে ভুয়া রিসিটের মাধ্যমে হজযাত্রীদের কাছ থেকে হজ প্যাকেজের নগদ টাকা সংগ্রহ করে। গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জের মহিলা হজযাত্রী রহিমা বেগম, গাইবান্দার সদরের কাজী হুমায়ুন কবির, গাইবান্ধর হাবিবুর রহমান, মোস্তফা , আবুল কাসেম মন্ডল, আব্দুল মান্নানসহ বিভিন্ন এলাকার হজযাত্রীর কাছ থেকে ওমানী হজ্জ কাফেলার ভুয়া মানি রিসিট দিয়ে গ্রæপ লিডার খোরশেদ আলম হজের লাখ লাখ টাকা গ্রহণ করে। গাইবান্ধায় হজে টাকা দিয়ে বেশ কিছু জমিও নাকি ক্রয় করেছে গ্রæপ লিডার খোরশেদ আলম । হজ এজেন্সি’র মালিক নুরুল হক এতথ্য জানিয়েছেন। গ্রæপ লিডার খোরশেদ আলমের অনৈতিক কার্যকলাপের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নিতে এবং ফ্রিডম হজ্জ গ্রæপ ট্যুরস এন্ড ট্রাভেলসের মাধ্যমে প্রাক-নিবন্ধিত হজযাত্রীরা যাতে নিবন্ধন কার্যক্রম সম্পন্ন করে হজে যেতে পারে তার প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে গত ২৮ জানুয়ারী ধর্ম মন্ত্রণালয়ের ভারপ্রাপ্ত সচিব মো: আনিছুর রহমানের কাছে লিখিত আবেদন দাখিল করেন হজ এজেন্সি’র স্বত্বাধিকারী নুরুল হক। বিষয়টি দ্রæত ব্যবস্থা নিতে গাইবান্ধা থানা পুলিশ ও পরিচালক হজ সাইফুল ইসলামকে নির্দেশ দেয়া হয়েছিল। গ্রæপ লিডারের কাছে সাড়ে ৮ লাখ টাকা বকেয়া রয়েছে বলেও জানা গেছে। গ্রæপ লিডার খোরশেদ আলম ইনকিলাবকে বলেন, হজ এজেন্সি থেকে জোরপূর্বক ৮৯টি পাসপোর্ট ছিনিয়ে নেইনি। হজ এজেন্সি’র মালিক নুরুল হক স্বেচ্ছায় এসব পাসপোর্ট দিয়েছে বলেও তিনি দাবী কারেন। লাইমস্টোন রির্সোট এন্ড ট্যুরিজম লি: হজে এজেন্সিতে ২৬ জন হজযাত্রী ট্রান্সফার করা হয়েছে। ২০১৭-২০১৮ সালের জন্য ১শ’ ৫৭ জন হজযাত্রী’র হজে যাওয়ার জন্য ফ্রিডম হজ্জ গ্রæপ ট্যুরস এন্ড ট্রাভেলসের ব্যাংক একাউন্টে ৭৮ লাখ ৮৫ হাজার টাকা জমা দিয়েছি।
সম্প্রতি এম সেতারা ট্রেড ইন্টারন্যাশনাল (৯১৪)-এর জামালপুরের গ্রæপ লিডার আব্দুর রাজ্জাক প্রায় ৫০জন প্রাক-নিবন্ধিত হজযাত্রীকে জোরপূর্বক অন্য এজেন্সি ট্রান্সফার করার জন্য কতিপয় মাস্তান নিয়ে পুরানা পল্টনস্থ এম সেতারা অফিসে হানা দেয়। এসময়ে এম সেতারা ট্রেড হজ এজেন্সি’র স্বত্বাধিকারী প্রখ্যাত মাওলানা সেলিম হোসাইন আজাদী অফিসের বাইরে থাকায় তার ভাইকে পাসপোর্ট দেয়ার জন্য নানা হুমকি ধমকি দেয়া হয়। এক পর্যায়ে তার ভাই ভীত সন্ত্রস্ত হয়ে অফিস থেকে পালিয়ে যেতে বাধ্য হয়। মাওলানা সেলিম হোসাইন আজাদীর অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে পল্টন থানা’র সংশ্লিষ্ট দু’জন এস আই দ্রæত হজ এজেন্সিতে গিয়ে কি কারণে দীর্ঘ দিন পর হজযাত্রীদের অন্য এজেন্সিতে ট্রান্সফার করা হবে এই মর্মে অবৈধ গ্রæপ লিডার আব্দুর রাজ্জাকসহ অন্যান্যদের জিজ্ঞাসাবাদ করলে তারা কোনো সঠিক জবাব দিতে পারেনি। পরে পুলিশের উচ্চ মহলের হস্তক্ষেপে পল্টন থানায় দীর্ঘ ৪ ঘন্টা শালিসীতে সিদ্ধান্ত হয় চলতি বছর এম সেতারা ট্রেড হজ এজেন্সি’র মাধ্যমে প্রাক-নিবন্ধিত হজযাত্রীরা চূড়ান্ত নিবন্ধন সম্পন্ন করে হজে যাবেন। এতে গ্রæপ লিডার আব্দুর রাজ্জাক এর কোনো আপত্তি থাকবে না। গতকাল হজ এজেন্সি’র মালিক মাওলানা সেলিম হোসাইন আজাদী জানান, গ্রæপ লিডার আব্দুর রাজ্জাক এখনো বেশ কিছু হজযাত্রীর হজের টাকা পরিশোধ না করায় নিবন্ধন কার্যক্রম পুরো সম্পন্ন করা সম্ভব হয়নি। বাকি টাকা পাওয়া গেলেই নিবন্ধন সম্পন্ন করা হবে। হাবের একজন শীর্ষ নেতা ইনকিলাবকে বলেন, কতিপয় অবৈধ গ্রæপ লিডার হজযাত্রী ট্রান্সফারের নামে বৈধ হজ এজেন্সি’র মালিকদের চরম হয়রানির মাঝে ফেলেছে। এসব অবৈধ গ্রæপ লিডারদের অপতৎপরতা বন্ধে সকলের সহযোগিতাও কামনা করেন ঐ হাব নেতা।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।