নারী দিবস ম্যারাথনে পাপিয়া চ্যাম্পিয়ন
‘নিরাপদ সমাজ, নিরাপদ নারী’-স্লোগানে অনুষ্ঠিত নারী দিবস রেগুলার ম্যারাথনে রেগুলার বাংলাদেশের পাপিয়া খাতুন চ্যাম্পিয়ন, হামিদা
স্পোর্টস ডেস্ক : রিয়াল মাদ্রিদ আর বার্সেলোনার লড়াই ফুটবল বিশ্বকে সময়ের অন্যতম সেরা দুই আক্রমণভাগের দ্বৈরথ দেখারও সুযোগ এনে দিয়েছে। লা লিগায় আজ রাতের এই ম্যাচে ‘বিবিসি’ নামে পরিচিত বেল-বেনজেমা-ক্রিশ্চিয়ানোর সমন্বয়ে গড়া রিয়ালের আক্রমণত্রয়ী চাইবে বিশ্বসেরা বিবেচিত মেসি-সুয়ারেস-নেইমারের ‘এমএসএন’ ত্রয়ীকে ছাপিয়ে যেতে। লিগের ৩০ রাউন্ড শেষে ৭৬ পয়েন্ট নিয়ে শীর্ষে আছে বার্সেলোনা। তৃতীয় স্থানে থাকা রিয়ালের চেয়ে ১০ পয়েন্ট এগিয়ে আছে লুইস এনরিকের দল।
গত নভেম্বরে বার্সেলোনার বিপক্ষে লিগের প্রথম পর্বের ম্যাচটি নিজেদের মাঠে ৪-০ গোলে হেরেছিল রিয়াল। রিয়ালের সামনে এখন এই হারের প্রতিশোধ নেওয়ার সুযোগ। রোনালদো-বেল-বেনজেমার সামনে সুযোগ নিজেদের প্রমাণ করা আর সব সমালোচনার জবাব দেওয়ার।
চলতি মৌসুমে লা লিগায় এখন পর্যন্ত সবচেয়ে বেশি গোলের সঙ্গে জড়িয়ে আছেন বার্সেলোনার ফরোয়ার্ড লুইস সুয়ারেস। বার্সেলোনার তারকা এই ফরোয়ার্ড ২৬টি গোল করেন। আর সহায়তা করেন সতীর্থদের ১২টি গোলে। ২৮ গোল নিয়ে এখন পর্যন্ত লিগের সর্বোচ্চ গোলদাতা রোনালদো। সতীর্থদের দিয়ে ৯টি গোল করিয়েছেন তিনি। রিয়ালের আক্রমণ ত্রয়ীর অপর দুই সদস্যের মধ্যে করিম বেনজামা জরিয়ে আছেন দলের ২৩টি গোলের সঙ্গে। ২০টি নিজে করেছেন, তিনটি গোলে সতীর্থদের সহায়তা করেন ফ্রান্সের এই ফরোয়ার্ড। গ্যারেথ বেল করেছেন ১৫টি গোল। আর অবদান রেখেছেন ৯টি গোলে।
গত ফেব্রæয়ারিতে আতলেতিকোর কাছে হেরে শিরোপা লড়াইয়ে বেশ পিছিয়ে পড়ার পর রোনালদো সতীর্থদের মান নিয়েই প্রশ্ন তুলেছিলেন। পর্তুগালের তারকা এই ফরোয়ার্ড বলেছিলেন, ‘আমি কাউকে অসম্মান করতে চাই না। কিন্তু সেরা খেলোয়াড়দের যখন পাওয়া যায় না, তখন জেতাটা কঠিন। আমি করিম, বেল আর মার্সেলোর সঙ্গে খেলতে পছন্দ করি।’ এই মন্তব্য নিয়ে সমালোচনার ঝড় ওঠার পর রোনালদো জানিয়েছিলেন, তিনি শুধু বেনজেমা আর বেলকে না পাওয়ার দুর্ভাগ্যের কথা বলতে চেয়েছিলেন।
রোনালদো অবশ্য একটি যুক্তিসঙ্গত বিষয়ই তুলে ধরেছিলেন। রোনালদো, বেল আর বেনজেমা দলে থাকা অবস্থায় ম্যাচ প্রতি রিয়ালের গোল গড় ৩.৭। আর তাদের এক সঙ্গে খেলতে না পারা ম্যাচগুলোয় ম্যাচ প্রতি রিয়ালের গোলের গড় ২.৪। চোট কাটিয়ে বেনজেমা রিয়াল দলে ফেরেন আন্তর্জাতিক ফুটবলের বিরতির আগের ম্যাচে। আর বেল ফেরেন দুই ম্যাচ আগে। আর সেভিয়ার বিপক্ষে ৪-০ ব্যবধানের জয়ে তারা তিন জনই গোল করেন।
এই নিয়ে এ মৌসুমে চতুর্থবারের মতো এক ম্যাচে তিন জনেরই গোল পাওয়ার ঘটনা এটা। বার্সেলোনার আক্রমণত্রয়ীর তিন সদস্যও চলতি মৌসুমে এক সঙ্গে গোল পেয়েছেন চারটি ম্যাচেই। আলাদা হলেও ভালো করতে পারার প্রমাণ ‘এমএসএন’-এর প্রত্যেক সদস্যই এরই মধ্যে দিয়েছেন। মৌসুমের শুরুর দিকে চোটের কারণে মেসি মাঠের বাইরে ছিটকে পড়ার পর দলকে এগিয়ে নিয়ে গেছেন সুয়ারেস ও নেইমার। মেসির না খেলা ৫ ম্যাচে বার্সেলোনার পাওয়া ১৪ গোলের সবকটিই করেন এই দু’জন।
‘এল ক্লাসিকো’ নামে পরিচিত রিয়াল-বার্সেলোনা দ্বৈরথে অতীতেও নিজেদের প্রমাণ করেছেন মেসি, সুয়ারেস, নেইমার। রিয়ালের বিপক্ষে ১৯টি ম্যাচ খেলে ১৪ গোল নিয়ে ক্লাসিকোর সর্বোচ্চ গোলদাতা মেসি। ৫ ম্যাচে তিন গোল করেছেন নেইমার। সুয়ারেসের গোল তিন ম্যাচে তিনটি। বার্সেলোনার বিপক্ষে ১৩ ম্যাচ খেলে রোনালদো গোল করেছেন ৭টি। বেনজেমার গোল ১৩ ম্যাচে ৫টি। ২০১৪ সালের কোপা দেল রের ফাইনালে বার্সেলোনার বিপক্ষে একটি গোল করেন বেল। তবে লিগে এ পর্যন্ত চারটি ম্যাচ খেলে একটিও গোল পাননি, কোনো গোলে অবদানও রাখতে পারেননি তিনি। চারটি ম্যাচেই হেরেছে তার দল। ক্যাম্প নু’তে তাই আজ বার্সেলোনাকে হারাতে হলে এমএসএন ত্রয়ীকেও হারাতে হবে বিবিসিকে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।