বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
ইউএস বাংলা কাঠমান্ডু ট্রাজেডিতে নিহত বৈশাখী টিভির সাংবাদিক আহমেদ ফয়সালের স্মরণসভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। গতকাল শুক্রবার দুপুরে ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির (ডিআরইউ) কনফারেন্স হলে ঢাকাস্থ শরীয়তপুর সাংবাদিক সমিতির আয়োজন করে। প্রতি বছর ‘সাংবাদিক ফয়সাল স্মৃতি পদক’ প্রদানের ঘোষণা করা হয় এই স্মরণসভায়।
সভায় আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক বিএম মোজাম্মেল হক বলেন, কোন কোন মৃত্যু পাখির পালকের মতো আবার কোন কোন মৃত্যু হিমালয়ের মতো। সাংবাদিক আহমেদ ফয়সালের মৃত্যু হিমালয়ের মতোই ভারী। তিনি বেঁচে থাকলে সাংবাদিক হিসেবে জাতিকে রাজনীতির অনেক দিকনিদের্শনা দিতেন। ফয়সাল যে চেতনা ও স্বপ্ন বুকে ধারণ করতেন, আমরা তা ধারণ করে একটি সুন্দর বাংলাদেশ গড়ে তুলি তবেই তার আত্মার শান্তি পাবে।
আহমেদ ফয়সালের সঙ্গে ব্যক্তিগত স্মৃতিচারণ করে আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক এনামুল হক শামীম বলেন, প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের সংবাদ সংগ্রহ করার সুবাধে ফয়সালের সঙ্গে আমার সপ্তাহে কমপক্ষে তিনদিন দেখা-সাক্ষাত হতো। সব সময় হাসিখুশি ছেলেটি কাজের প্রতি খুব আন্তরিক ছিলো সে। এলাকার মানুষের প্রতি তার একটা বিশেষ নজরও ছিল। খুব কম সময়ে মানুষকে আপন করে নিতে পারতেন। ফয়সালের মৃত্যুতে পরিবার হারিয়েছে তাদের সন্তানকে, আর দেশ ও জাতি হারিয়েছে উদীয়মান তরুণ মেধাবী সাংবাদিককে। ফয়সাল বেঁচে থাকলে তার কাছ থেকে রাষ্ট্র সমাজ অনেক কিছু পেত।
ঢাকাস্থ সাংবাদিক সমিতির নেতাদের উদ্দেশ্যে শামীম বলেন, ফয়সালের পরিবারের প্রতি যদি কোন ধরনের সহায়তার প্রয়োজন, তাহলে আমাদেরকে জানাবেন, যা যা করা দরকার সব ধরনের পদক্ষেপ গ্রহণ করবো। প্রয়োজনে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে তার পরিবারের কথা বলার সুযোগ করে দেব। ফয়সালের অসময়ে চলে যাওয়া সাংবাদিকতা ও রাষ্ট্রের জন্য অপূরণীয় ক্ষতি।
ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির সভাপতি ও বৈশাখী টিভির প্রধান বার্তা সম্পাদক সাইফুল ইসলাম বলেন, আহমেদ ফয়সালের সঙ্গে ছয় বছরের সম্পর্ক। বহুমুখী প্রতিভার অধিকারী প্রাণবন্তর ছেলেটি পুরো বার্তাকক্ষ মাতিয়ে রাখতেন। সে প্রথমে প্রযোজনা বিভাগে চাকরি নিলেও তার আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে রিপোর্টিং বিভাগে আনা হয়। কাজপাগল ফয়সাল নিজ যোগ্যতায় টেলিভিশনের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ভিভিআইপি (রাষ্ট্রপতি-প্রধানমন্ত্রী) বীটে কাজ শুরু করে। তিনি বলেন, সাংবাদিকতায় এসেই অনেকে অনেক সুযোগ সুবিধা নেয়। কিন্তু ফয়সাল তা করেনি। তার দায়িত্বের শেষ দিন পর্যন্ত নিষ্ঠার সঙ্গে দায়িত্ব পালন করেছে। আসুন আমরা ফয়সালের পরিবারের পাশে থাকি। ব্যক্তিগত স্মৃতিচারণ করতে গিয়ে আবেগে আপ্লুত হয়ে পড়েন তিনি।
সংগঠনের সভাপতি রাজু আলীম ‘সাংবাদিক ফয়সাল স্মৃতি পদক’ প্রদানের ঘোষণা করেন। এখন থেকে প্রতি বছর এ পদক প্রদান করা হবে।
সংগঠনের সভাপতি রাজু আলীমের সভাপতিত্বে বক্তব্য রাখেন সাবেক ডেপুটি স্পিকার কর্নেল (অব.) শওকত আলী, আওয়ামী লীগের নারী নেত্রী মাজেদা শওকত প্রমুখ।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।