বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
বেনাপোল ও যশোর’র নাগরিক সমাজ গাছ রক্ষা নয়, দ্রুততম সময়ের মধ্যে যশোর-বেনাপোল মহাসড়কটি ৪ লেইন দেখতে চায়। সময়ের প্রয়োজনে গাছ কেটে ফেলেই সড়কটি অধিকতর প্রশস্ত করার ব্যাপারে জোরালো দাবির প্রেক্ষিতে গতকাল শুক্রবার দুপুরে সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রনালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির ৫ সদস্যের সাব কিমিটি বেনাপোল-যশোর মহাসড়ক সরেজমিন পরিদর্শন করেন। পরে বেনাপোল পর্যটন মোটেলে স্থানীয় ব্যবসায়ী ও বন্দর ব্যবহারকারী বিভিণ্ণ সংগঠনের সাথে মত বিনিময় করেছেন। মহামান্য রাস্ট্রপতির পুত্র সংসদ সদস্য রেজওয়ান আহম্মদ তৌফিক এর নেতৃত্বে সংসদ সদস্য এ কে এম এ আওয়াল, সংসদ সদস্য নাজমুল হক প্রধান, সংসদ সদস্য মনির”ল ইসলাম ও সংসদ সদস্য শেখ আফিল উদ্দিন সভায় উপস্থিত ছিলেন। নাগরিক অধিকার আন্দোলন, যশোর এর উদ্যোগে এই মত বিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়। গাছ রেখে রাস্তা প্রশস্ত করলে শত শত একর কৃষি জমি নষ্ট, কৃষিতে নেতিবাচক প্রভাব ও শেকড়ের কারণে ভবিষ্যৎ ঝুঁকিপূর্ন হবে বলেও মত প্রকাশ করা হয়। এছাড়া পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষা ও ঐতিহ্য স্মারক বৃক্ষ রক্ষার দাবিতে দেয়া আইনি নোটিশ এবং হাইকোর্টে দাখিল করা রিটও তুলে নেয়ার দাবি তোলা হয়েছে। এর আগে সকালের দিকে বেনাপোল বন্দর এলাকায় বিভিন্ন পেশাজীবী সংগঠন, বন্দর ব্যবহারকারী সংগঠন সিএন্ড এফ এজেন্টস এসোসিয়েশন, বেনাপোল প্রেসক্লাব, ও বিভিন্ন স্কুল কলেজের শিক্ষার্থীরা মানববন্ধন করেছেন। বেনাপোল আন্তর্জাতিক মানের স্থলবন্দর হওয়ায় এখানে আমদানি-রফতানি অন্য সব বন্দর থেকে কয়েকগুণ বেশি। যে কারণে এই সড়কটিতে যানবাহনের ব্যাপক চাপ দেশের অন্য সকল সড়ক মহাসড়কের তুলনায় সর্বাপেক্ষা বেশি। প্রতিদিন কয়েক হাজার ট্রাক ও অন্যান্য পরিবহন আসা যাওয়া করে। এশিয়ান হাইওয়ের এই সড়কটি দেশের সব শ্রেণিপেশার মানুষের অতিব প্রয়োজনীয় এই সড়কটি সম্প্রসারণ করা ছাড়া বিকল্প নেই বলে সরকারের উচ্চ পর্যায় থেকে মতামত উঠে আসার পর জাতীয় অর্থনৈতিক নির্বাহী কমিটির (একনেক) সভায় প্রকল্প অনুমোদন হয়। সরকার দেশের অর্থনীতির জন্যে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ এই সড়কটি সংস্কারে গত বছরের ২১ মার্চ ৩শ’ ২৯ কোটি টাকার এই প্রকল্পটি সড়কের দু’পাশের গাছ কেটে সম্প্রসারণের সিদ্ধান্ত হয়। যানবাহনের চাপ সামলাতে ২৪ ফিট প্রস্থের রাস্তাটি ৪০.৩৫ ফিট চাওড়া করার সিদ্ধান্ত চুড়ান্ত হয়। প্রকল্প পাশও হল। যখন সম্প্রসারণ কাজ শুরু হবে তখন হঠাৎ গাছ কাটার পক্ষে-বিপক্ষে মতামত তৈরি হয় যশোরে। ওই বিশেষজ্ঞদের মতামতের ভিত্তিতে গত ৬ জানুয়ারি যশোর জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে একটি সভা অনুষ্ঠিত হয়। সেখানে যশোরের বেশ কয়েকজন এমপিসহ সড়ক যোগাযোগ ও সেতু মন্ত্রণালয়ের দু’জন অতিরিক্ত সচিব উপস্থিত ছিলেন। ওই সভায় বিশেষজ্ঞদের মতামত বিশ্লেষণ করে গাছ কাটার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। গত ১৮ জানুয়ারি উচ্চ আদালত ৬ মাসের জন্য গাছ কাটা বন্ধের নির্দেশনা দেন। ফলে দেশের জন্যে অত্যন্ত জনগুরুত্বপূর্ণ যশোর-বেনাপোল রোড সম্প্রসারণ কাজ ঝুলে যায়। এ ঘটনায় বিভিন্ন মহলে প্রতিক্রিয়া দেখা যায়। এরপর সরকারকে জনস্বার্থে দ্রæততম সময়ের মধ্যে সড়কটি প্রশস্ত করার তাগিদ দিয়ে মাঠে আরও জোরেসোরে নামেন নাগরিক অধিকার আন্দোলন যশোরের নেতৃবৃন্দ। মত বিনিময় সভায় বক্তব্য দেন সিএন্ডএফ এজন্টস এসোসিয়েশনের সভাপতি মফিজুর রহগমান সজন, সেক্রেটারি এমদাদুল হক লতা, বেনাপোল প্রেস ক্লাবের সভাপতি মহসিন মিলন, ভারত বাংলাদেশ বেনাপোল প্রেস ক্লাবের সাবেক সাধারন সম্পাদক বকুল মাহবুব। কাজেই গাছ কেটে রাস্তা সম্প্রসারণ করা সময়ের প্রয়োজন, সময়ের দাবি বলে মনে করেন যশোরাঞ্চলের সাধারন মানুষের।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।