পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
বিশেষ সংবাদদাতা, ময়মনসিংহ ব্যুরো : ময়মনসিংহ জেলা ছাত্রলীগের নতুন কমিটির সভাপতি পদ পেতেই পরিকল্পিতভাবে শাওনকে গুলি করে হত্যা করে জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক সঞ্জয় দত্ত। গতকাল বৃহস্পতিবার দুপুরে ময়মনসিংহ প্রেসক্লাবে জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সহ-সভাপতি আশফাক আল রাফি শাওন হত্যার বিচার দাবিতে এক সংবাদ সম্মেলনে এ দাবি করেন নিহত শাওনের বাবা এমএ কদ্দুস।
সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন- নিহত শাওনের মা নিলুফা সুলতানা পপি, বোন ফৌজিয়া আক্তার ফ্লোরা, জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট মোয়াজ্জেম হোসেন বাবুল, আওয়ামী লীগ নেতা আমিনুল হক শামীম, অ্যাডভোকেট পিযুষ কান্তি সরকার, শওকত জাহান মুকুল, হুমায়ূন কবির হিমেল, শামসুল আলম প্রমুখ।
ময়মনসিংহ জেলা যুবলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও নিহত শাওনের বাবা এমএ কুদ্দুস সংবাদ সম্মেলনে বলেন, জেলা ছাত্রলীগের নতুন কমিটিতে শাওন ও সঞ্জয় দু’জনেই সভাপতি পদে প্রার্থী ছিলো। মূলত পথের কাঁটা হিসেবে শাওনকে সরিয়ে দিতেই তার অনুসারীদের নিয়ে সঞ্জয় গুলি করে তাকে হত্যা করে। তিনি বলেন, ‘মানুষের সঙ্গে দীর্ঘদিন ধরে রাজপথে কাজ করেছি। কোনোদিন আমি কারও কোনো ক্ষতি করি নাই। আমি আপনাদের মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রীর কাছে সহযোগিতা কামনা করছি। যারা আমার একমাত্র ছেলে শাওনকে হত্যা করেছে তাদের ফাঁসিতে ঝুলিয়ে মৃত্যুদন্ড কার্যকর করা হোক এটাই আমার দাবি।’
এ সময় ময়নাতদন্ত ছাড়াই মরদেহ দাফনে প্রসঙ্গে এক প্রশ্নের উত্তরে শাওনের বাবা বলেন, ‘ছেলের শোকে আমি আমার স্ত্রী ও একমাত্র মেয়ে মানসিকভাবে বিপর্যস্ত ছিলাম। নিহত সন্তানের মরদেহ কাটাছেড়া হোক এটা আমি ও আমার পরিবারের কারোই কাম্য ছিলো না। তাই কর্তৃপক্ষের অনুমতিতে ছেলের মরদেহ দাফন করি। পরে অনেকের সঙ্গে পরামর্শ ও হত্যাকারীদের তথ্য এবং মূল রহস্য উদঘাটন করে মামলাটি দায়ের করতে দেরি হয়েছে।’
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।