রামগতিতে আ.লীগ নেতাকে বহিষ্কার
লক্ষ্মীপুরের রামগতি উপজেলার চরআলগী ইউপি নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে বিদ্রোহী প্রার্থী হওয়ায় ইউনিয়ন আ.লীগের সাধারণ সম্পাদক সাহেদ আলী মনুকে দলীয় পদ থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে। গত
কম সময়ে ফলন ও লাভ বেশি হওয়ায় দিন দিন ফেনীতে সরিষা আবাদ বাড়ছে। গত বছর এক হাজার ৪০০ একর জমিতে সরিষা আবাদ করে ভালো লাভ পাওয়ায় চলতি বছর ফেনীর কৃষকরা দুই হাজার ৪০০ একর জমিতে সরিষা আবাদ করেছে। অনাবাদি জমিতে আবাদ বৃদ্ধি করে সরিষা আবাদের দিকে কৃষকদের ঝোঁক বাড়াতে কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের মাঠপর্যায়ের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা জেলার প্রান্তিক পর্যায়ের কৃষকদের প্রয়োজনীয় পরামর্শ ও উৎসাহ দিয়ে আসছেন।
জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অফিস জানায়, ফেনী জেলার অনেক আবাদি জমি পূর্বে রবি মৌসুমে চাষাবাদ করা হতো না। গত বছর রবি মৌসুমে সরিষা আবাদ করে ভালো লাভ পাওয়া এবার তারা অনাবাদি জমিগুলোতেও সরিষা আবাদ করেছেন। গত বছর জেলার ৪৩টি ইউনিয়নে এক হাজার ৬০০ একর জমিতে ৮০০ টনের বেশি সরিষা উৎপাদন হয়েছে। লাভ ভালো পাওয়ায় চলতি বছর দুই হাজার ৪০০ একর জমিতে বারি সরিষা-১৪, বারি সরিষা-১৫ ও বারি সরিষা-১৭ চাষ করা হয়েছে। জাতভেদে প্রতি হেক্টর জমিতে সরিষা উৎপন্ন হয় এক হাজার ৪০০ থেকে দেড় হাজার কেজি। বাজারে প্রতি কেজি বিক্রি হয় ৭০ থেকে ৯০ টাকায়। এ ছাড়া সরিষা ভাঙলে প্রতি একরে তেল আসে (৬০০ কেজি) ৪০ থেকে ৪৫ কেজি। প্রতি কেজি সরিষার তেল বাজারে ১২০ থেকে ১৩০ টাকায় বিক্রি হয়। ইরি-বোরো ধান হয় না এমন জমিতে আমন ও বোরোর মধ্যবর্তী সময়ে সরিষা চাষ করে কৃষকরা বাড়তি আয় করতে পারেন। বীজ বপনের ৭৫ থেকে ৮৫ দিনের মধ্যে সরিষায় ফলন পাওয়া যায় বলে জানান কৃষি কর্মকর্তারা।
সোনাগাজী উপজেলার চরছান্দিয়া ইউনিয়নের প্রান্তিক কৃষক আলম মিয়া জানান, গত বছর তিনি ৩০ শতাংশ জমিতে সরিষা চাষ করে ১৬২ কেজি সরিষা পেয়েছেন। তিনি উৎপাদিত ১৬২ কেজি সরিষা ৭০ টাকা কেজি দরে ১১ হাজার ৩৪০ টাকায় বিক্রি করেছেন। এতে প্রায় সাত হাজার টাকার মতো লাভ হয়েছে। কম সময়ে ভালো লাভ পাওয়ায় এবার তিনি ৯০ শতাংশ জমিতে সরিষা চাষ করেছেন বলে জানান।
ফেনী সদর উপজেলা উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা প্রণব চন্দ্র মজুমদার জানান, বারি সরিষা-১৪, ১৫ ও ১৭ চাষ করতে প্রতি একরে সর্বোচ্চ ব্যয় হয় ১০ হাজার টাকা। আর ফলন পাওয়া যায় ৬০০ কেজি মতো। যার বাজার মূল্য ৩৮ থেকে ৪০ হাজার টাকা। আমন ও বোরোর মধ্যবর্তী সময়ে কম খরচে বাড়তি আয়ের জন্য এখানকার কৃষকদের মধ্যে সরিষা চাষের আগ্রহ বাড়ছে। লাভ ভালো পাওয়ায় চলতি মৌসুমে পূর্বে যেসব জমি অনাবাদি রাখা হতো এবার সেগুলোতে কৃষকরা সরিষা আবাদ করছেন।
সদর উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ কর্মকর্তা মো. রাফিউল আলম রাসেল জানান, সরিষা চাষে উপজেলার কৃষকদের উৎসাহ দানের লক্ষ্যে ২০টি প্রদর্শনী করা হয়েছে।
ফেনী জেলা কৃষি সমপ্রসারণ অধিদফতরের উপ-পরিচালক ড. খালেদ কামাল জানান, ফেনীর কৃষকদের সরিষা চাষের দিকে ঝুঁকাতে মাঠ পর্যায়ের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা প্রয়োজনীয় পরামর্শ ও উৎসাহ দিয়ে আসছেন। ফলে দিন দিন ফেনীতে অনাবাদি জমিতে সরিষার আবাদ বাড়ছে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।