পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
৩১ মার্চ কেসিসি’র তফসীল ঘোষণার খবরে খুলনায় নড়েচড়ে উঠেছে রাজনৈতিক নেতারা। বিশেষ করে ক্ষমতাসীন দলে মনোনয়ন প্রত্যাশীরা জোরেসরে লবিং শুরু করেছে। আজ বুধবার ঢাকায় প্রধানমন্ত্রীর সাথে খুলনা আওয়ামী লীগের শীর্ষ নেতাদের বৈঠকে কে হচ্ছেন ক্ষমতাসীন দলের মেয়র প্রার্থী, সে বিষয়ে বিশেষ নির্দেশনা দেয়া হতে পারে। যদিও খুলনাবাসী আশা করেছিল গত ৩ মার্চের জনসভায় প্রধানমন্ত্রী প্রার্থীর নাম ঘোষণা করবেন।
সূত্রমতে, খুলনা সিটি কর্পোরেশন এলাকা মূলত জাতীয়তাবাদী শক্তির শক্ত ঘাঁটি। কেসিসি’র বর্তমান মেয়র হচ্ছেন নগর বিএনপি’র সাধারণ সম্পাদক মনিরুজ্জামান মনি। তিনি সাবেক মেয়র তালুকদার আব্দুল খালেক এমপিকে প্রায় ৬০ হাজার ভোটের ব্যবধানে পরাজিত করে। বিএনপি’র সূত্র থেকে এবারও মনিরুজ্জামান মনিকে মনোনয়ন দেয়া হচ্ছে এটা প্রায় নিশ্চিত। তবে দলের কয়েকজন সিনিয়র নেতা বিএনপি’র টিকিটের জন্য লবিং গ্রæপিং অব্যাহত রেখেছেন।
এদিকে, কে হচ্ছেন সিটি কর্পোরেশনের আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী তা নিয়ে সারা শহরময় চলছে নানাবিধ গুঞ্জন। জাতীয় সংসদের আসন ছেড়ে নগর আওয়ামী লীগের সভাপতি তালুকদার আব্দুল খালেক কেসিসি’র মেয়র পদে নির্বাচন করবেন কি না তা নিয়ে মতান্তর রয়েছে দলীয় ফোরামে। বিভিন্ন সময় সাবেক মেয়র তালুকদার খালেক এমপি মেয়র নির্বাচনে আগ্রহ প্রকাশ করেননি। তবে তিনি বলেছেন, আমার ইচ্ছা না থাকলেও দলীয় প্রধান মনোনয়ন দিলে সেক্ষেত্রে আমার করার কিছু নেই। তবে তরুণ আওয়ামী লীগ নেতা সদর থানা আওয়ামী লীগের সভাপতি অ্যাডভোকেট সাইফুল ইসলাম মেয়র পদে মনোনয়ন প্রত্যাশী। তিনি গত ৫ বছর যাবত সারা শহরময় প্রচার প্রচারণায় ছিলেন তুঙ্গে। প্রতিটি সভা সমাবেশে ও দলীয় অনুষ্ঠানে অ্যাডভোকেট সাইফুলের কর্মকান্ড এখন চোখে পড়ার মত। দলের হাই কমান্ডের গ্রীণ সিগনালে তিনি প্রার্থী হিসেবে ব্যাপক প্রচার প্রচারণায় নেমেছেন। এছাড়া যুবলীগের মহানগর আহবায়ক অ্যাডভোকেট আনিসুর রহমান পপলু মেয়র প্রার্থী হিসেবে দৌড়ঝাপ অব্যাহত রেখেছেন। অ্যাডভোকেট মো: সাইফুল ইসলাম ইনকিলাবকে বলেন, ছাত্র রাজনীতি থেকে আমজনতার পাশে আছি এবং থাকব। দলের জন্য জীবন উৎসর্গ করতে প্রস্তুত। আর খুলনাবাসীর জন্য আমৃত্যু কাজ করে যেতে চাই।
সূত্রমতে, ৩১ মার্চ খুলনা সিটি কর্পোরেশনের তফশীল ঘোষণার সিদ্ধান্ত নিয়েছে ইসি। ইতোমধ্যে জাতীয় পার্টি ও ইসলামী আন্দোলন কেসিসি’র প্রার্থী ঘোষণা করেছে। আওয়ামীলীগ এবং বিএনপি এখনও পর্যন্ত সুর্নিদিষ্ট করে মেয়র প্রার্থীর নাম ঘোষণা করেনি। আজ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সাথে পাট মন্ত্রণালয়ে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তাদের সাথে শিল্পাঞ্চল শ্রমিক সম্পর্কিত সভা অনুষ্ঠিত হবে। এতে খুলনা শীর্ষ আ’লীগ নেতৃবৃন্দ উপস্থিত থাকবেন। এরপর প্রধানমন্ত্রী’র সাথে একান্ত বৈঠকে মিলিত হবেন খুলনার নেতৃবৃন্দ। সেখানে নির্ধারণ করা হবে কে হচ্ছেন আওয়ামীলীগের কেসিসি’র মেয়র প্রার্থী। খুলনা জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান শেখ হারুনুর রশীদ ইনকিলাবকে বলেন, পাট মন্ত্রণালয়ের বৈঠক শেষে প্রধানমন্ত্রীর সাথে আমরা খুলনার নেতৃবৃন্দ একান্ত বৈঠকে মিলিত হতে ইচ্ছুক। সুযোগ হলে খুলনার সকল রাজনৈতিক কর্মকান্ডের বিষয়ে আমরা দলীয় প্রধানকে সঠিক চিত্র তুলে ধরার পাশাপাশি দক্ষিণ পশ্চিমাঞ্চলের উন্নয়নের বিষয়ে আলোচনা করব। দলের সাথে ঘনিষ্ঠ সূত্রগুলো জানায়, ক্ষমতাসীন দল এবার কেসিসি’র হারানো পদ উদ্ধারে বিশেষ প্রচেষ্টা নেবে। সেক্ষেত্রে যাকে প্রার্থী করলে নগর পিতার খেতাবটি আওয়ামী লীগের ঘরে আসে তার জন্য সকলকে ঐক্যবদ্ধ কাজ করার নির্দেশনা দেয়া হবে। খুলনা মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মিজানুর রহমান মিজান এমপি ইনকিলাবকে বলেন, আমাদের নেত্রীর কাছে খুলনার রাজনৈতিক সব চিত্রই সুস্পষ্ট। তথাপি আমরা সার্বিক বিষয়ে প্রধানমন্ত্রীর সাথে খোলামেলা আলোচনা করতে ইচ্ছুক। তিনি সময় দিলে খুলনার বিষয়ে সময়পযোগী সিদ্ধান্ত দিবেন। তার সিদ্ধান্তই আমাদের সিদ্ধান্ত।
অপরদিকে, বিএনপি প্রার্থী ঘোষণা না করলেও বর্তমান মেয়র মনিরুজ্জামান মনি প্রার্থী হচ্ছেন এটি এক প্রকার নিশ্চিত।তিনি গত নির্বাচনে ভোট পেয়েছিলেন ১ লাখ ৮০ হাজার ৯৩। নিকটতম প্রতিদ্ব›িদ্ব আওয়ামীলীগ সমর্থিত তালুকদার আব্দুল খালেক এমপি পেয়েছিলেন ১ লাখ ১৯ হাজার ৪শ’ ২২ ভোট। এছাড়া জাতীয় পার্টির প্রার্থী হচ্ছেন মুশফিকুর রহমান।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।