মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
ইনকিলাব ডেস্ক : লিবিয়ার জাতিসংঘ সমর্থিত ঐকমত্যের সরকার প্রতিপক্ষের হুমকি সত্ত্বেও ত্রিপোলিতে পৌঁছেছে, তবে তারা ত্রিপোলির সরকারি ভবনে যেতে পারেননি। কড়া নিরাপত্তার মধ্যে ত্রিপোলির নৌঘাঁটিতে বসেই বৈঠক করেছেন। ত্রিপোলির আকাশ সীমায় প্রবেশ করলে তাদের প্রতিহত করা হবে বিরোধীদের এমন হুঁশিয়ারির পর প্রতিবেশী তিউনিসিয়ার একটি জাহাজে করে তারা গত বুধবার ত্রিপোলি পৌঁছে।
খবরে বলা হয়, বুধবার ত্রিপোলিতে বিচ্ছিন্নভাবে গুলিবর্ষণের ঘটনা ঘটে ও ত্রিপোলিতে প্রবেশের প্রধান সড়ক বন্ধ করে দেয়া হয়। জনমনে প্রশ্ন দেখা দিচ্ছিল, সহিংসতা ঘটতে পারে অথবা শান্তিপূর্ণভাবে ক্ষমতা হস্তান্তর হতে পারে। পশ্চিমা শক্তিগুলো আশা করছে, নতুন সরকার ইরাক ও লিভেন্টে আইএসকে মোকাবেলা করতে বিদেশি সমর্থন চাইবে এবং লিবিয়া থেকে ইউরোপে অভিবাসী গমন ও দেশের অর্থনীতি পুনরুদ্ধারে তেল উৎপাদন পুনরায় শুরু করার ব্যাপারে চুক্তিতে উপনীত হবে। বৃহস্পতিবার ঐকমত্যের সরকারের সাত সদস্য তাদের রাজনৈতিক সমর্থক, স্থানীয় পরিষদ নেতৃবৃন্দ, ব্যবসায়ী ও কেন্দ্রীয় ব্যাংকের গভর্নর সাদিক আল-কবিরের সঙ্গে বৈঠক করেন। নতুন সরকারের নিরাপত্তা প্রধান ব্রিগেডিয়ার জেনারেল আবদুল রহমান তাওয়েল বলেন, নৌঘাঁটি পুরোপুরি নিরাপদ। আমরা রাষ্ট্রের সব প্রতিষ্ঠানের নিরাপত্তা বিধানে কাজ করে যাচ্ছি। এ ছাড়া বিস্তারিত আর কিছু তিনি বলেননি।
পরিষদের সদস্যবৃন্দ এখানে অবস্থান করবেন এবং ত্রিপোলিতে তাদের কর্মকা- অব্যাহত রাখবেন। তারা আন্তর্জাতিক মহলকে নিয়ে বৈঠক ছাড়া নৌঘাঁটি ত্যাগ করবেন না। প্রেসিডেন্সিয়াল কাউন্সিল ও গভর্নমেন্ট অব ন্যাশনাল অ্যাকর্ড- জিএনএ জাতিসংঘের মধ্যস্থতায় চুক্তিতে যেতে চাচ্ছে এবং ডিসেম্বরে যে চুক্তি হয়েছিল, যেখানে প্রতিপক্ষ দুই সরকার ত্রিপোলি ও বাইদার মধ্যে ক্ষমতার দ্বন্দ্বেরও আবসান চাইছে।
ত্রিপোলি নতুন সরকারের আগমন থেকে তীব্র বিরোধিতা করে আসছে, যদিও একটি টেলিভিশনে বুধবার জাতীয় ঐকমত্যের সরকারের সমর্থনে সংবাদ প্রচার করে এবং ওই সংবাদ প্রচারকে কেন্দ্র করে শহরের কেন্দ্রস্থলে ছোটখাটো সংঘর্ষের ঘটনাও ঘটে।
লিবিয়ায় জাতিসংঘের দূত মার্টিন কোবলার ত্রিপোলিতে আগত পরিষদকে স্বাগত জানিয়ে জনপ্রতিনিধিদের প্রতি শান্তিপূর্ণ পরিস্থিতি বজায় রেখে ক্ষমতা হস্তান্তরের আহ্বান জানিয়েছেন। কোবলার বলেন, আমি লিবিয়ার জনগণের প্রতি প্রেসিডেন্সি কাউন্সিল ও জাতীয় ঐকমত্যের সরকারের প্রতি পূর্ণ সমর্থন ও সহযোগিতা দেয়ার আহ্বান জানিয়েছি। তিনি বলেন, প্রয়োজনীয় সমর্থন ও সহযোগিতা দিতে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় তাদের সঙ্গে আছে।
ত্রিপোলি সশস্ত্র গ্রুপগুলো নিয়ে এক জটিল অবস্থায় আছে। এদের কেউ কেউ লিবিয়া ডন জোট গঠন করে ২০১৪ সালে জাতীয় ঐকমত্যের সরকারকে ক্ষমতাচ্যুত করেছিল। এ জোট এখন ভেঙে গেছে এবং কিছু শক্তিশালী দল জিএনএ’কে সমর্থন দিচ্ছে। কিন্তু অন্যরা এখনো এই সরকারের প্রতি তাদের আনুগত্যের কথা বলেনি। বুধবার এক বিবৃতিতে জাতীয় ঐকমত্যের সরকারের প্রধান খলিফা ঘোয়েল প্রেসিডেন্সিয়াল কাউন্সিলকে অনুপ্রবেশকারী হিসেবে বর্ণনা করে বলেছেন, তিনি তাদের কেটে পড়া অথবা আত্মসমর্পণ করার শেষ সুযোগ দিচ্ছেন। এদিকে, ত্রিপোলির কিছু সশস্ত্র গ্রুপ আছে, যারা লিবিয়ার গ্রান্ড মুফতি সাদিক আল-ঘারিয়ানির দ্বারা প্রভাবিত। গ্রান্ড মুফতি জাতিসংঘকে তাদের চুক্তি পুনর্বিবেচনার আহ্বান জানিয়েছেন এবং হুমকি দিয়েছেন, তারা জিহাদ শুরু করার আগে জিএনএ’কে দেশ ত্যাগ করার। রয়টার্স।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।