নেপালের কাঠমান্ডুর ত্রিভুবন বিমানবন্দরে অবতরণের সময় বিমান দুর্ঘটনায় নিহত ফরিদপুরের মাহমুদুর রহমান রিমনের চতুর্থ জানাজার নামাজ শেষে লস্কারদিয়া গ্রামের দানেশমান বাগদাদী মাজার শরীফের পাশে পারিবারিক কবর স্থানে দাফন করা হয়েছে।
মঙ্গলবার সকাল ১০টার সময় জেলার নগরকান্দা উপজেলার লস্কারদিয়া আতিকুর রহমান উচ্চ বিদ্যালয়ের তার জানাযার নামাজ অনুষ্ঠিত হয়।
জানাজায় নগরকান্দা উপজেলা চেয়ারম্যান সৈয়দ শাহিনুজ্জামান, ইউএনও বদরুদোযা সুমন, এস এম জালালদ্দিনসহ স্থানীয় বিভিন্ন শ্রেণি পেশার মানুষ অংশ নেয়।
জানাযার নামাজ পরিচালনা করে মাওলানা মো. কামরুজ্জামান। পরে তাকে পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করা হয়।
এর আগে সকাল সাড়ে ৮টার সময় মরদেহ বাহী অ্যাম্বুলেন্স তার নিজ বাড়ী নগরকান্দার লস্কারদিয়া পৌঁছালে সেখানে কয়েক শত মানুষ তাকে দেখার জন্য ছুটে আছে। সকাল ৯টার সময় ফরিদপুরের জেলা প্রশাসক উম্মে সালমা তানজিয়া শোকাহত পরিবারকে সমবেদনা জানাতে রিমন মাহমুদের বাড়িতে যান। জেলা প্রশাসক নিহতের পরিবারকে তাৎক্ষনিক ভাবে ৫০ হাজার টাকা অনুদান প্রদান করেন এবং উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে আরও ৫০হাজার টাকা প্রদান করা হয়।
নিহত মাহমুদুর রহমান চাকরি করতেন রানার গ্রুপের তেজগাঁও অফিসের হেড অব সার্ভিস পদে সেই সুবাদে ঢাকায় থাকা। অফিসের কাজে সেদিন ঢাকা থেকে নেপালের যাচ্ছিল।
পিতার নাম মশিউর রহমান মা বাবার দুই ছেলের মধ্যে সে ছিলো সবার বড়। বিয়েও করেছেন প্রায় সাত বছর আগে। তার স্ত্রীর নাম সানজিদা বেগম ঝর্না।