পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
বি এম হান্নান, চাঁদপুর থেকে : লাশ রাখার কক্ষ (লাশ ঘর), লাশবাহী গাড়ি, ডোম এবং বডিব্যাগের সংকটে চাঁদপুরের থানাগুলোতে মামলার আলামত নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। টানা-হেঁচড়ায় একদিকে মরদেহ বিকৃত হয়ে ঘটনার আলামত নষ্ট হয়। অন্যদিকে নিদিষ্ট লাশঘর না থাকায় অরক্ষিত থেকে পচে-গলে বিকৃত ও দুর্গন্ধ হয়। বেওয়ারিশ লাশ সনাক্তে পড়তে হয় বিপাকে। প্রভাব পড়ে পরিবেশে। চাঁদপুর মডেল থানার অবকাঠামো উন্নয়ন হলেও নানামুখি সংকট থাকার কারণে সেবার মান বৃদ্ধি পাচ্ছে না। এ কারণে জোড়াতালি দিয়ে চলছে থানাগুলোর মরদেহ নিয়ে দৈনন্দিন কার্যক্রম। বিশেষ করে মরদেহ উদ্ধার, সংরক্ষণের জন্য লাশঘর এবং মর্গে পৌঁছানোর সর্বনিম্ন সুযোগ-সুবিধাও নেই। দেশের উল্লেখযোগ্য কিছু জেলায় লাশবাহী গাড়ি, ডোম ও বডিব্যাগ কেনা হলেও চাঁদপুর জেলায় এখনো পর্যন্ত সংকট রয়েছে। এমনই তথ্য জানা গেলো জেলার ৮টি থানা সংশ্লিষ্টদের কাছে থেকে। প্রতিদিনই ঘটছে অঘটন। খুন, দুর্ঘটনায় মৃত্যু ও আত্মহত্যার ঘটনায় পুলিশকে লাশ উদ্ধার করতে হয়। এ জন্য নেই পুলিশের নিজস্ব বাহন ও ডোম। ঘটনাস্থল থেকে থানা হয়ে মর্গ পর্যন্ত রিক্যুইজিশন করা গাড়ি কিংবা পুরনো একটি ভ্যান এখনো পুলিশের শেষ ভরসা। থানাগুলোয় লাশ উদ্ধার করে মর্গে পাঠাতে তদন্তকারী কর্মকর্তা অনেক সময় গাড়ি ভাড়া করলেও শহরের মধ্যে বিভিন্ন ঘটনার লাশ থানায় আনা হয় ভাড়া করা রিক্সা বা ভ্যান দিয়ে। অপরদিকে বডিব্যাগ না থাকায় মরদেহ কোনভাবে হোগলা বা কাপড় পেচিয়ে থানায় আনা হয়। এরপর মরদেহ অরক্ষিতভাবে পড়ে থাকে থানা আঙ্গিনায়। থানার দায়িত্বরত এসআই জানান, প্রায় সব থানাতেই লাশবাহী গাড়ি, ডোম ও বডিব্যাগ সংকট বিরাজমান এ নিয়ে আমাদের বেকায়দায় পড়তে হয়। গাড়ির অভাবে ঠিকভাবে লাশ থানায় বা মর্গে পৌঁছানো সম্ভব হচ্ছে না। ভাড়া করা রিক্সা ও ভ্যানে করে বহন করতে হয় পুলিশকে। থানায় লাশ ঘর না থাকায় অনেক সময় টানা-হেঁচড়ার কারণে নষ্ট হয়ে যাচ্ছে লাশের আলামত। আলামত সংরক্ষণের অভাবে মামলায় রায় চলে যাচ্ছে ভিন্ন খাতে। চাঁদপুর মডেল থানার ভারপাপ্ত কর্মকর্তা মো. ওয়ালী উল্লাহ অলি জানান, খুন, দুর্ঘটনায় মৃত্যু ও আত্মহত্যার ঘটনার লাশ থানায় নিয়ে আসার লাশবাহী গাড়ি, ডোম, বডিব্যাগ সংকট এবং সর্বোপরি থানায় নেই লাশঘর। মামলা প্রক্রিয়াগত কারনে ময়না তদন্ত করতে সময় লাগে। সেই পর্যন্ত লাশ হেফাজতে রাখতে লাশঘর প্রয়োজন হয়। থানায় বেসরকারিভাবে একজন ডোম কাজ করছে কিন্তু সে শুধু লাশ বহন করে অন্যসব কাজ তাকে দিয়ে করানো যায় না।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।