Inqilab Logo

শুক্রবার ০৮ নভেম্বর ২০২৪, ২৩ কার্তিক ১৪৩১, ০৫ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

রাউজানে সবজি ক্ষেতে পোকার আক্রমণ

| প্রকাশের সময় : ১৯ মার্চ, ২০১৮, ১২:০০ এএম

রাউজান (চট্টগ্রাম) থেকে এম বেলাল উদ্দিন:
রাউজানে সবজি চাষে পোকার আক্রমন। এমনি মুহুর্তে মাঠে দেখা মিলছেনা মাঠ র্পযায়ে থাকা উপ সহকারী কৃষি কর্মকর্তাদের এমন অভিযোগ স্থানীয় কৃষকদের। নানা সমস্যায় সবজি চাষিরা। কৃষকরা ধান কাটার পর শীতকালীন সবজি চাষে ব্যস্ত হয়ে পড়ে। কৃষকরা বিজতলা বুন্নন সহ মাঠে চারা লাগানোর সময়ে নানা নিয়ম জানতে কৃষি কর্মকর্তাদের ভুমিকা অন্যতম। পাহাড় ও নদী বেষ্টিত রাউজানের বেশিরভাগ এলাকায় পানির অভাবে বোরো ধানের চাষ না হওয়ায় বেশকিছু এলাকায় শীতকালীন সবজি চাষ করে ক্ষতি পুষিয়ে নেয় কৃষকরা। উপজেলার অনেক এলাকায় আগের মত সেচপাম্প বসেনা। যারফলে বেশ কিছু এলাকায় বোরো চাষাবাদ হয়না। সেসব এলাকায় নানা জাতের সবজি ক্ষেত করা হয়। আবার কোন কোন এলাকা অনাবাদি থেকে যায়। রাউজানের বিভিন্ন ইউনিয়নে কয়েক হাজার হেক্টর জমিতে বোরো চাষাবাদ করতো কৃষকরা। এখন এসব জমিতে আর বোরো চাষ হয়না। কারন হিসেবে পানি না পাওয়া মুল সমস্যা। এক সময় নোয়াপাড়া ইউনিয়নের দক্ষিণ অংশে চৌধুরীহাট সংলগ্ন কর্ণফুলী নদীর পাড় ঘেষে থাকা মল্লাবিল নামে এলাকাটি সবজি চাষের জন্য খ্যাত ছিল। এখন এই এলাকাটিতে আর কৃষকরা সবজি চাষ করেন না। এই খ্যতনামা এলাকায় সবজি চাষ না করার কারণ সর্ম্পকে এখানকার স্থানীয় কৃষকরা বলেন এক সময় এখানে মরিচ,টমেটো,আলু,বেগুণ,ফুলকফি,বাধাকফি, ফরাচসিম,ফেলন, মুলা,মিষ্টিকুমরা,শসা,খিরা,তরমুজ সহ নানা ধরনের সবজি ফলাতো এখানকার কৃষকরা। বর্তমানে এখানে শতশত একর জমি গত কয়েক বছর ধরে অনাবাদি হয়ে পড়ে অছে। নানা ধরনের সবজি চাষ করে উৎপাদিত ফসল ঘরে তোলার আগে কর্ণফুলী নদীর পানি উঠে সব ফসল নষ্ট করে ফেলে। যার কারনে বার বার লোকশানে পড়েছে কৃষকরা। ঐ বিলে ধান কিংবা ক্ষেত খামারি কোনটিই হয়না পানি জমে াকার কারনে। কৃষকরা জানান, এক সময় কর্ণফুলীর পাড়ে বাঁধছিল, তা নদীর ভাঙ্গনে বিলিন হয়ে যাওয়ায় এই অবস্থার সৃস্টি হয়েছে। এই এলাকা র্পূবের অবস্থানে ফিরিযে আনতে হলে কর্ণফুলী নদীর পারে বেড়ীবাঁধ দিয়ে পুরানো সুইজ গেইট মেরামত করে পানি সংরক্ষন ও প্রয়োজনের অতিরিক্ত পানি ছেড়ে দেওয়ার ব্যবস্তা নিলেই বোরো চাষের পাশা পাশী শীতকালীন সবজি চাষের সমারোহ হবে। নোয়াপাড়া শেখপাড়া ড. মইনুর ইসলামের ভাতিজা মোহাম্মদ জাহেদ বলেন আমার লাগানো টমেঠো চারায় রোগ দেখাদিলে আমি উপ সহকারী কৃষি কর্মকর্তা কে না পেয়ে হতাশ হই। এমনকি ফোন করেও তাকে পাওয়া যায়নি। এদিকে বিভিন্ন এলাকার কৃষকদের অভিযোগ কিছু কিছু উপ সহকারী কৃষি কর্মকর্তাদের পাওয়া গেলেও অনেক জায়গায় কৃষকদের সাথে আফিসারের পরিচয় নেই বললেই চলে! এলাকায় দেখা মিলেনা তাই কৃষকের নানা সমস্যা াকলেও এর কোন সমাধান মিলছেনা। বর্তমানের নোয়াপাড়া শেখপাড়া চাদাঁরাবিলে ধান চাষ নাহওয়ায় এখানে সবজীচাস করছে কৃষকরা তাদের এই সবজী ক্ষেতে পোকার আক্রমণ দেখাদিলে কৃষকরা দিশেহারা হয়ে পড়ে। এই ব্যপারে রাউজান উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা বেলায়ত হোসেন গতকাল রবিবার বিকালে ফোনে জানান, এরকমতো হওয়ার কাথা না। এরপরও আমি খবর নিয়ে দেখব। তিনি বলেন ব্লক পর্যায়ে থাকা উপসহকারী কৃষি কর্মর্কতারা সপ্তাহে ৪ দিন ব্লকে থেকে কৃষকদের পরার্মশ মুলক সহযোগিতা করতে হবে।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: আক্রমণ


আরও
আরও পড়ুন
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ