পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
দেশ পরিচালনায় সরকারের কোন নিয়ন্ত্রণ নেই বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির নেতারা। তারা বলেন, মাঝে মাঝে মনে হয় দেশে আওয়ামী লীগের শাসন চলছে না। শাসন চলছে আইন প্রয়োগকারী সংস্থার। আর তারা (আইন প্রয়োগকারী সংস্থা) কারো ইশারায় চলছে। বাংলাদেশে এখন কোনো সরকার নেই যে সরকারের কথা মতো এই সংস্থাগুলো চলছে। আজকের যে অবস্থাটা বাংলাদেশের স্বার্থ বিকিয়ে দিয়ে বা দেশের স্বার্থের ক্ষতি করে যাদের লাভ হয় তাদেরই লাভবান করা হচ্ছে। গতকাল (শনিবার) বিকেলে জাতীয় প্রেসক্লাবে বিএনপির মরহুম মহাসচিব খোন্দকার দেলোয়ার হোসেনের ৭ম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে আয়োজিত এক স্মরণ সভায় তারা এসব কথা বলেন। খোন্দকার দেলোয়ার হোসেন স্মৃতি ফাউন্ডেশন এই স্মরণ সভার আয়োজন করে।
সভায় বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন বলেন, আপনারা দেখেন সরকারের অবস্থা কী? একের পর এক ব্যাংক লুট হচ্ছে তারা কেনো প্রতিকার করতে পারে না, কেন্দ্রীয় ব্যাংকের রিজার্ভ চুরি হয়ে যায় প্রতিকার করতে পারে না, বিচার হয় না। শেয়ার মার্কেটও লুট হয়, তারা নিয়ন্ত্রণও করতে পারে না, বিচারও করতে পারে না। আজকে কোথাও সরকারের কোনো নিয়ন্ত্রণ নেই, কোথাও তাদের শাসনের কোনো চরিত্র নেই। এমনিভাবে আমরা যদি বলতে চাই, রাষ্ট্রের যে তিনটি স্তম্ভ রয়েছে, প্রত্যেকটি স্তম্ভ আজকে ধবংস। আজকে বাংলাদেশ একটি অন্ধকার টার্নেলে প্রবেশ করেছে। এই সময়কালকে আওয়ামী জাহিলাতির যুগ বলে অভিহিত করেন খন্দকার মোশাররফ। তিনি বলেন, গণতন্ত্র আজকে আওয়ামী লীগের বাক্সে বন্দি। আজকে গুম-খুন-মিথ্যা মামলা- এটা বলে শেষ করা যাবে না। একটি গণতান্ত্রিক সভ্য সমাজে, স্বাধীন দেশে এধরণের ঘটনা ঘটতে পারে না। আপনারা দেখেছেন কীভাবে স¤প্রতি একজন ছাত্র নেতাকে ধরে নিয়ে হত্যা করা হয়েছে? কীভাবে সিনিয়র নেতার কাছ থেকে ছিনিয়ে নিয়ে ছাত্র নেতাকে গ্রেফতার করা হয়েছে- এই ধরণের নজির অসভ্য দেশেও নেই। আওয়ামী লীগের দুঃশাসন ও স্বৈরাচারী শাসনের কারণেই এই অন্ধকার টার্নেলে বাংলাদেশ চলে এসেছে। তারা ক্ষমতায় থাকার জন্য ফ্যাসিবাদী চরিত্র ধারণ করেছে। ১/১১ সময়ে মরহুম মহাসচিব খোন্দকার দেলোয়ার হোসেনের ভুমিকার তুলে ধরে তার জীবন কর্ম থেকে শিক্ষা নিয়ে বর্তমান সংকট উত্তরণে নেতা-কর্মীদের ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহবানও জানান খন্দকার মোশাররফ। তিনি বলেন, সরকারের ফ্যাসিবাদী চরিত্রের মূল কারণ হচ্ছে আবার তারা গায়ের জোরে ক্ষমতায় থাকতে চায়। সেই কারণে দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে কারা অন্তরালে নেয়া হয়েছে। জনগণের কাছে আজকে পরিস্কার অন্যায়ভাবে তাকে কারাগারে রাখা হয়েছে। তারা (সরকার) ভেবেছিলো, খালেদা জিয়া জেলে গেলে হয়ত বিএনপি দূর্বল হয়ে যাবে। আজকে এটা প্রমাণিত হয়েছে যে, জেলে যাওয়ার পরে আমাদের নেতৃত্ব আরো ঐক্যবদ্ধভাবে শক্তিশালী হয়ে কাজ করছি। ফলে দেশনেত্রীকে কারাগারে নেওয়ার সরকারের পরিকল্পনা বুমেরাং হয়ে গেছে। ভোটে জয় এখন শুধু আনুষ্ঠানিকতা মাত্র- আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের এই বক্তব্যের জবাবে খন্দকার মোশাররফ বলেন, আমরা এতোদিন যে কথা বলে আসছি যে, এই ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগ সরকার আগামী নির্বাচনে বেগম খালেদা জিয়া ও বিএনপিকে বাইরে রেখে তারা একটা আবার সেই নির্বাচনের প্রহসন করতে চায়। সেখানে জনগণের ভোট তাদের দরকার নেই। একটা সত্য কথা তিনি (ওবায়দুল কাদের) বলে ফেলেছেন। জনগণের ওপর তাদের আস্থা ও বিশ্বাস নেই। তাই তারা নির্বাচনের কথা বলছে না, ফল প্রকাশের কথা বলছে। আমাদের নেত্রীর জনগণের প্রতি আস্থা আছে। আমরা বলেছি একটি সুষ্ঠু নিরপেক্ষ অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন হবে যে নির্বাচনে জনগনের ভোটের প্রতিফলন ফলাফলে হবে।
স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আববাস বলেন, আপনি দেখের রাস্তায় যদি আমরা বেরুই আমার মনে হয়, এখানে (জাতীয় প্রেসক্লাবের সভাস্থল) এই মুহুর্তে যত লোক আছে, তার মধ্যে সাধারণ মানুষ থেকে সাদাপোষাকভারী লোকজন অনেক বেশি আছে। এখন দেশ শুধু আইনপ্রয়োগকারী সংস্থা শাসন করছে। আমার মাঝে মাঝে মনে হয় দেশে আওয়ামী লীগের শাসন চলছে না। শাসন চলছে আইন প্রয়োগকারী সংস্থার। আর তারা (আইন প্রয়োগকারী সংস্থা) কারো ইশারায় চলছে। আমরা মনে হয় বাংলাদেশে এখন কোনো সরকার নেই যে সরকারের কথা মতো এই সংস্থাগুলো চলছে। আজকের যে অবস্থাটা বাংলাদেশের স্বার্থ বিকিয়ে দিয়ে বা দেশের স্বার্থের ক্ষতি করে যাদের লাভ হয় তাদেরই লাভবান করা হচ্ছে। বিএনপিকে উন্মুক্ত স্থানে সভা-সমাবেশ করতে না দেয়ার সরকারের সিদ্ধান্তের কঠোর সমালোচনাও করেন তিনি। ২০১১ সালে ১৬ মার্চ খোন্দকার দেলোয়ার সিঙ্গাপুরে মাউন্ট এলিজোবেথ হাসপাতালে মারা যান।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক ভিসি প্রফেসর এমাজউদ্দিন আহমেদের সভাপতিত্বে ও ‘গণ-সংস্কৃতি দলে’র সভাপতি এস আল-মামুনের পরিচালনায় স্মরণ সভায় বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেন, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা কাউন্সিলের সদস্য জয়নুল আবদিন ফারুক, প্রফেসর সুকোমল বড়ুয়া, যুগ্ম মহাসচিব খায়রুল কবির খোকন, লেবার পার্টির একাংশের সভাপতি মোস্তাফিজুর রহমান ইরান, ছড়াকার আবু সালেহ, অ্যাডভোকেট আবেদ রাজা, শামীমুর রহমান শামীম, মরহুম খোন্দকার দেলোয়ার হোসেনের বড় ছেলে ড. খোন্দকার আকবর হোসেন বাবলু, খোন্দকার আব্দুল হামিদ ডাবলু, খোন্দকার আখতার হামিদ পবন ও ছোট মেয়ে ডা. দেলোয়ারা বেগম পান্না প্রমূখ বক্তব্য রাখেন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।