Inqilab Logo

সোমবার ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২২ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

মাগুরায় আমের বাগানে ব্যাপক গুঁটি

চাষিরা পরিচর্যায় ব্যস্ত সময় পার করছেন

| প্রকাশের সময় : ১৮ মার্চ, ২০১৮, ১২:০০ এএম

সাইদুর রহমান মাগুরা থেকে : মাগুরা জেলার চার উপজেলায় এবার আমের গুটি ব্যাপক ভাবে দেখা দিয়েছে। আমের মুকুলের মৌ মৌ গন্ধে মুখর হয়ে উঠার পর এখন গুঁটিতে ভরে গেছে আমের বাগান। আমচাষিরা আশা করছেন আমের বাম্পার ফলন। সঠিক পরিচর্যা জ্ঞানের অভাবে তা শেষ পর্যন্ত বাস্তবায়ন হবে কিনা তা নিয়ে সন্দেহ রয়েছে। জেলার চার উপজেলায় মোট এক হাজার হেক্টর জমিতে আমের আবাদ হয় বলে কৃষি বিভাগ থেকে জানান হয়। অবশ্য এ তথ্য দীর্ঘদিন আগের। সে তথ্য নিয়েই কৃষি বিভাগ তাদের হিসাব-নিকাশ করে আসছেন। তাদের দেয়া তথ্য মতে, মাগুরা সদর উপজেলায় ৪৫০ হেক্টর, শ্রীপুর উপজেলায় ৩২৫ হেক্টর, মহম্মাদপুর উপজেলায় ১৭৫ হেক্টর এবং শালিখা উপজেলায় ৫০ হেক্টর জমিতে আমের চাষ হয়। যার থেকে হেক্টর প্রতি ২০ মেট্রিক টন আম উৎপাদন হয় বলে কৃষি সম্প্রসারণ বিভাগের থেকে জানানো হয়। বেশ কিছুদিন ধরে জেলার বিভিন্ন এলাকায় ব্যবসায় ভিত্তিতে আমের চাষ শুরু হয়েছে। তবে আমের পরিচর্যার ব্যাপারে অভিজ্ঞতা না থাকায় মাগুরার আম চাষিরা প্রতি বছরই ক্ষতির সম্মুখীন হচ্ছেন। প্রতি মৌসুমে আম গাছের মুকুল দেখলে প্রাণ ভরে ওঠে। কিন্তু শেষ পর্যন্ত এ মুকুল থেকে পরিচর্যা জ্ঞান না থাকা এবং কৃষি বিভাগের কোনো ভ‚মিকা বা এ ব্যাপারে কোনো পরিকল্পনা না থাকায় কৃষকদের ভাগ্যে আম জোটে না।
জনৈক কৃষি বিশেষজ্ঞ জানান, ছত্রাক জনিত রোগে আক্রান্ত হতে পারে আমের মুকুল। এ ক্ষেত্রে ম্যানকোজেব গ্রæপের ছত্রাক নাশক ২ গ্রাম অথবা এমাডোক্লোরিড গ্রæপের দানাদার প্রতি লিটার দুই গ্রাম তরল ২৫ মিলি লিটার ও সাইপারমেথ্রিন গ্রæপের কীটনাশক প্রতি লিটার পানিতে এক মিলি লিটার মিশিয়ে স্প্রে করা যেতে পারে। আবার মুকুলে গুটি দেখা দিলে একই মাত্রায় দুইবার স্প্রে করতে হবে। এতে ছত্রাক জাতীয় রোগ থেকে আমের মুকুল ও আমের গুটি রক্ষা পাবে। মাগুরা জেলার বিভিন্ন এলাকায় আমের বাগান গড়ে উঠছে। বিশেষ করে মাগুরায় ফজলি, ল্যাংড়া, হিমসাগর, আম্রপালি, গোপালভোগ, বোম্বাই, লাখনাই. তোষা প্রভৃতি জাতের আমের আবাদ হয়। জেলার শত্রুজিৎপুর, বিনোদপুর, কুচিয়ামোড়া, ইছাখাদা, হাজরাপুর, রাঘবদাইড়. খালিমপুর, আলাইপুর, হাজীপুর, রাওতড়া, কাশীনাথপুর, বরিশাট, বারইপাড়া, শ্রীকোল, কানুটিয়া, গ্রামে আমের বাগান গড়ে উঠছে। আমচাষিরা এবার আমের মুকুলের ব্যাপকতা দেখে উৎফুল্ল হয়ে নানা স্বপ্ন দেখছেন। কিন্তু শেষ পর্যন্ত কি হবে তা কারো জানা নেই। আম চাষে এলাকার মানুষ আগ্রহী হয়ে দেশি আম বাদ দিয়ে কলোমের আম চাষে ব্যাপকভাবে উৎসাহিত হচ্ছে। কিন্তু পারচর্যা জ্ঞান না থাকায় তাদের প্রকৃতির ওপর নির্ভর করে বসে থাকতে হয়। মাগুরা কৃষি সম্প্রসারণ বিভাগে আম চাষের ওপর তথ্য সংগ্রহে গেলে তারা কোনো তথ্য দিতে পারেননি। কেবল গৎবাঁধা প্রতি হেক্টরে ২০ মেট্রিক টন আম উৎপাদন হবে বলে দায় সারেন। মাগুরা জেলায় আমের চাষকে উৎসাহিত করতে কৃষি সম্প্রসারণ বিভাগকে তাদের ওপর দেয়া সরকারি দায়িত্ব যথাযথভাবে পালন করা জরুরি বলে অভিজ্ঞ মহল মনে করেণ।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: চাষি

১৯ ডিসেম্বর, ২০২১
১৭ ডিসেম্বর, ২০২১
১৮ অক্টোবর, ২০২০

আরও
আরও পড়ুন
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ