Inqilab Logo

রোববার, ০৭ জুলাই ২০২৪, ২৩ আষাঢ় ১৪৩১, ৩০ যিলহজ ১৪৪৫ হিজরী

কালকিনির রমজানপুরকে মডেল গ্রামে পরিণত করছেন আব্দুস সোবহান গোলাপ

স্টাফ রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ১৭ মার্চ, ২০১৮, ১২:০০ এএম

তথ্যপ্রযুক্তি, জ্ঞানবিজ্ঞানে বিশ্ব তীব্র গতিতে এগিয়ে যাচ্ছে। গতির প্রতিযোগীতায় টিকে থাকতে দেশের কালকিনির প্রত্যন্ত অজপাড়াগা রমজানপুরে উন্নতমানের শিক্ষা ব্যবস্থার সুযোগ গড়ে উঠছে। যেই গ্রামে কিছুদিন আগেও সন্ধ্যার পর রাস্তায় মানুষ পাওয়া যেত না, পিছিয়ে থাকা সেই গ্রামেই বর্তমানে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের পাশাপাশি গড়ে উঠছে হাসপাতাল, ব্যাংকসহ প্রায় ১৯টি প্রতিষ্ঠান। এই প্রতিষ্ঠানগুলো গড়ে তুলতে দিনরাত পরিশ্রম করে যাচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিশেষ সহকারী ও আওয়ামী লীগের দপ্তর সম্পাদক আব্দুস সোবহান গোলাপ।
কালকিনির রমজানপুর গ্রামটি অজপাড়াগা হিসেবে অবহেলিত ছিল কিছুদিন আগেও। তবে ড. আব্দুস সোবহান স্বপ্ন দেখছেন অবহেলিত এ গ্রামটিই মডেল গ্রাম হিসেবে পরিচিতি লাভ করবে সারাদেশে। গ্রামটিতে সরেজমিনে গিয়ে এর নতুন চিত্র চোখে পড়েছে।
গ্রামের পঞ্চাশোর্ধ ব্যবসায়ী খোকন তালুকদার বলেন, আমাদের কি দুর্ভাগ্য ! উন্নতমানের শিক্ষা দূরে থাক অতীতে আমাদের শিক্ষাব্যবস্থাটাই ভঙ্গুর ছিল। পুরো এলাকার চিত্রই ছিল হতাশাজনক। তবে বর্তমান শিক্ষাব্যবস্থার চিত্র দেখে আমরা আশাবাদী। এই গ্রামের আমূল সংস্কারের কারণে গ্রামের ছেলেমেয়েরা সঠিক জায়গায় পৌছাচ্ছে।
তথ্যপ্রযুক্তি ও টেকনিক্যাল ক্ষেত্রে গ্রামের প্রত্যেকটি ছেলে-মেয়েকে উন্নত বিশ্বের সঙ্গে প্রতিযোগীতায় টিকিয়ে রাখতে আব্দুস সোবহান গোলাপ তার মায়ের নামে গ্রামটিতে গড়ে তুলেছেন আনারন্নেছা টেকনিক্যাল স্কুল এন্ড বিজনেস ম্যানেজমেন্ট ইন্সটিটিউট। পাশাপাশি একই বাউন্ডারিতে রয়েছে নিজের নামে ড. আবদুস সোবহান গোলাপ পলিটেকনিক ইন্সটিটিউট।
শিশু বয়স থেকে ছাত্রছাত্রীদের মেধাবী হিসেবে গড়ে তোলার জন্য গোলাপ তার বাবার নামে গড়ে তোলা আলহাজ্ব তৈয়ব আলী শিশুকল্যাণ প্রাথমিক বিদ্যালয়টি সরকারী করেছেন। গড়ে তুলেছেন উত্তর রমজানপুর মর্ডান একাডেমি (জুনিয়র)। চলতি বছরের জাতীয় প্রাথমিক বৃত্তিতে সারাদেশে প্রথমসহ দ্বিতীয় শ্রেনী পর্যায়ে মাদারীপুরে জেলায় মাত্র পাঁচটি বৃত্তি আসলেও আলহাজ্ব তৈয়ব আলী শিশুকল্যাণ প্রাথমিক বিদ্যালয়টিই পেয়েছে চারটি। শিশু থেকে শুরু করে গ্রামের যুব সমাজের মধ্যে তথ্যপ্রযুক্তিগত জ্ঞান ছড়িয়ে দিতে কাজ করে যাচ্ছেন গোলাপ। স্কুল কলেজের পাশাপশি গড়ে তুলেছেন শেখ রাসেল ডিজিটাল ল্যাব। যেখানে একশত আশি জন স্বল্প মূল্যে প্রশিক্ষণ নিচ্ছে।
এর বাইরে চাকরী প্রত্যাশী, বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির আবেদন ফরম পূরণ, পাসপোর্টসহ সকল ধরণের ইন্টারনেট সুবিধা দিতে রমজানপুরের এই সকল প্রতিষ্ঠানের পাশেই সরকারীভাবে ইশান ডিজিটাল ল্যাব করেছেন আব্দুস সোবহান গোলাপ। গ্রামের সুবিধা বঞ্চিত প্রত্যেকটি মানুষের জীবন সংগ্রাম সহজ করতে এই ধরণের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের পাশাপাশি তিনি গড়ে তুলেছেন ডাক বিভাগের ই-পোষ্ট অফিস, সাবরেজিস্টার অফিস, কৃষি ব্যাংকের শাখা, ইভান ইন্টারনেট সার্ভিস টাওয়ার। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানসহ অন্যান্য প্রতিষ্ঠানে উচ্চ শিক্ষিত স্বনামধন্য লোকদের আনাগোনা বাড়াতে প্রতিষ্ঠানের পাশেই গড়ে তুলেছেন ইসলামিক মিশন হাসপাতাল। যা ৫০ শয্যা বিশিষ্ট ইসলামিক মিশন হাসপাতাল কমপ্লেক্সে রূপান্তর হচ্ছে। ইতোমধ্যে এর নির্মান কাজও শুরু হয়েছে। স্কুল-কলেজ ও বিভিন্ন ইন্সটিটিউটের ছাত্র শিক্ষকদের আবাসিক সুবিধা দিতে প্রতিষ্ঠানগুলোর পাশেই গোলাপ গড়ে তুলেছেন শিক্ষকদের জন্য আবাসিক ভবন ও শিক্ষার্থীদের জন্য মো. হোসেন মাস্টার ছাত্রাবাস। এর বাইরে গুলশান আরা নার্সিং ইন্সটিটিউট, অনিশা মেডিকিল এ্যাসিস্ট্যান্ট ট্রেনিং স্কুল, কবির উদ্দিন আহম্মেদ হেলথ টেকনোলজি সরকারের পক্ষ থেকে অনুমোদনের অপেক্ষায় রয়েছে বলে জানান প্রতিষ্ঠানগুলোর প্রতিষ্ঠাতা প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ সহকারী ড. আব্দুস সোবহান গোলাপ।
প্রতিষ্ঠনগুলোর প্রতিষ্ঠাতা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিশেষ সহকারী আওয়ামী লীগের দপ্তর সম্পাদক আব্দুস সোবহান গোলাপ প্রতিষ্ঠনগুলো গড়ার লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য সম্পর্কে বলেন, আমি এই গ্রামে জন্মগ্রহণ করেছি। গ্রামের প্রতি আমার অনেক দায়বদ্ধতা আছে। গ্রামের প্রত্যেকটি মানুষ ভালো থাকলে আমি শান্তি পাই। তিনি বলেন, শহরের মতো অনেক সেবা ও সুযোগ-সুবিধা থেকে যাতে রমজানপুরের কোন শিক্ষার্থী বঞ্চিত না হয় এজন্য আমি কাজ করে যাচ্ছি। ডিজিটাল শিক্ষা সম্পর্কিত অভিজ্ঞতা অর্জনের অনেকের মধ্যে অনাগ্রহ থাকলেও গ্রাম পর্যায়ে তা ছড়িয়ে দেয়ায় আগ্রহ বাড়ছে। তাতে করে কারিগরি শিক্ষার প্রতি দিনদিন ছাত্রছাত্রীদের আগ্রহ বাড়ছে।
রাজনীতির মধ্যে থেকে নিজেকে সমাজ সেবায় নিযুক্ত রাখার বিষয়ে আব্দুস সোবহান গোলাপ বলেন, আমি রাজনীতি করি। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা আমাকে বিশেষ সহকারী বানিয়েছেন। আমার নিজের চেয়ে এখন সুবিধা বঞ্চিত অজপাড়া গায়ের এই মানুষদের জন্য কিছু করতে পারলে ভালো লাগে। এখনই সময় গ্রামের মানুষের জন্য কিছু করার। তবে গ্রামের মানুষের জন্য কাজ করে যাচ্ছি তার মানে এই নয় যে, আমি তাদের কাছে নিজে এমপি মন্ত্রী হওয়ার স্বপ্ন দেখছি। হা, আমি গ্রামের মানুষের কাছ থেকে প্রচুর ভালবাসা পাই, গ্রামটা দেশের ৬৪ হাজার গ্রামের মধ্যে অনন্য গ্রাম হবে এটাই আমার স্বপ্ন।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: মডেল

৬ সেপ্টেম্বর, ২০২২
১৬ জানুয়ারি, ২০২২
২০ ডিসেম্বর, ২০২১

আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ