পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
বরিশাল ব্যুরো : পূর্ব ঘোষিত কর্মসূচী অনুযায়ী নগর ভবনের সব শাখায় তালা ঝুলিয়ে দেয়ায় গতকাল থেকে বরিশাল মহানগরীতে জনগনের সাধারন সেবাসমুহ অচলবস্থার মুখে পরেছে। আগামী ১৮মার্চ থেকে পানি সরবরাহ, পয়ঃনিস্কাশন ও ময়লা আবর্জনা পরিস্কার করা সহ নগরীর সব ধরনের পরিচ্ছন্ন কার্যক্রমও বন্ধ করে দেয়ার হুমকি দিয়েছে সিটি করপোরেশনের আন্দোলনরত কর্মচারীগন। বকেয়া বেতনÑভাতা পরিশোধ ও ভবিষ্যৎ তহবিলের অর্থ ব্যাংক হিসেব জমা দেয়ার দাবীতে গত ১৮ ফেব্রæয়ারী থেকে বরিশাল সিটি করপোরেশনের কর্মচারীগন আন্দোলন করছে। গত ২৫ ফেব্রæয়ারী থেকে ৫ ঘন্টার কর্মবিরতিও পালন করছে কর্মচারীগন। গতকাল থেকে অফিস কক্ষে তালা ঝুলিয়ে লাগাতর কর্মবিরতি শুরু করল কর্মচারীগন।
এ আন্দোলন নিয়ে ইতোমধ্যে কয়েক দফা সমঝোতা বৈঠক হলেও চূড়ান্ত কোন ফয়সালা হয়নি। ফলে পরিস্থিতি ক্রমশ ঘোলাটে হচ্ছে। সিটি মেয়র আহসান হাবীব কামাল বিষয়টি নিয়ে নগরীর সুশীল সমাজের সাথে বৈঠক করেছেন। তিনি জেলা প্রশানকেও এ ব্যাপারে উদ্যোগী হবার অনুরোধ দিয়েছেন। গত মঙ্গলবার নগরীর বরিশাল ক্লাব মিলনায়তনে সুশীল সমাজের সাথে মেয়রের বৈঠক চলাকালে তার বাইরে কালো পতাকা মিছিল ও বিক্ষোভ করে আন্দেলনরত কর্মচারীগন। তবে ঐ বৈঠক থেকেও আন্দোলনের পরিবর্তে কাজে ফিরতে আহবান জানান হয় নগর পরিষদের তরফ থেকে।
কিন্তু গতকাল সকালেই আন্দোলনকারীরা নগর ভবনের প্রতিটি কক্ষে তালা ঝুলিয়ে দেয়। তবে বিষয়টি নিয়ে জেলা প্রশাসন ইতোমধ্যে একটি উদ্যোগ গ্রহন করেছে বলে একাধিক ঘনিষ্ঠ সূত্রে জানা গেছে। আজকালের মধ্যে আন্দোলনকারীদের সাথে জেলা প্রশাসন কথা বলতে পারে বলেও আভাস পাওয়া গেছে। অপরদিকে সাবেক চীফ হইপ এবং জাতীয় সংসদের স্থানীয় সরকার মন্ত্রনালয়ের সংসদীয় কমিটির সভাপতি আবুল হাসনাত আবদুল্লাহ-এমপি আজ বরিশালের আসার সম্ভাবনা রয়েছে। তিনিও বিষয়টি নিয়ে কোন ধরনের উদ্যোগ গ্রহনের কিছুটা আভাস পাওয়া গেছে। সব মিলিয়ে আগামী রবিবারের মধ্যে বরিশাল সিটি করপোরেশনের অচলবস্থা নিরশনের একাধিক উদ্যোগ গ্রহনের সম্ভাবনার কথা জানিয়েছেন ওয়াকিবহাল মহল।
তবে নির্বাচনের বছরে আদায় কার্যক্রম বন্ধ রেখে বরিশাল সিটি করপোরেশনের কর্মচারীদের এ আন্দোলনকে কিছুটা সন্দেহের চোখে দেখছেন মহলটি। বিধি অনুযায়ী আগামী জুনের মধ্যেই বরিশাল সিটি করপোরেশনের নির্বাচন অনুষ্ঠানের সম্ভাবনা রয়েছে। সে ক্ষেত্রে শেষ সময়ে বর্তমান মেয়র ও নগর পরিষদকে ব্যর্থতার দায় নিয়ে বিদায় করতে সচেষ্ট রয়েছে একটি মহল। আর সে লক্ষ্যেই দাবী পুরনের সব ধরনের আশ্বাস দেয়ার পরেও কর্মবিরতি সহ আন্দোলন চালিয়ে যাবার যৌক্তিকতা সম্পর্কে সন্দেহ পোষন করছেন নগরবাসী। অপরদিকে নাম প্রকাশ না করার শর্তে একাধিক রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকও বিষয়টি নিয়ে সন্দেহ পোষন করতে শুরু করেছেন। বিশেষকরে গত ১১মার্চ আন্দোলনকারীদের সাথে চুড়ান্ত ফয়সালার পরেও কাজে ফিরে না আশার ঘটনাটি সন্দেহের সৃষ্টি করেছে সচেতন মহলে। ২০১৩-এর অক্টোবরে প্রায় ১৫৪কোটি টাকার দায়দেনা নিয়ে বর্তমান মেয়র আহসান হাবীব কামাল দায়িত্ব গ্রহন করেছিলেন। তখন কর্মচারীদের বেতন বকেয়া ছিল ৩মাস।
গতবছরও বকেয়ার বেতনÑভাতার দাবীতে ফেব্রæয়ারীর শেষ থেকে মার্চের প্রথম সপ্তাহ পর্যন্ত বরিশাল সিটি করপোরেশনের কর্মচারীগন টানা ৭দিন আন্দোলন সংগ্রাম করে। এমনকি সে সময় পয়ঃনিস্কাশন ব্যবস্থা সহ পরিচ্ছন্ন কার্যক্রমও বন্ধ করে দেয়া হয়। ফলে গোটা নগরী আবর্জনার ভাগাড়ে পরিনত হয়।
দক্ষিণাঞ্চলে অর্ধশত রুটে পরিবহন ধর্মঘট
ঝালকাঠী জেলার ওপর দিয়ে পিরোজপুর-বাগেরহাট-খুলনা ও যশোরমুখি বাস চলাচলে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টির প্রতিবাদে বরিশাল, পটুয়াখালী ও বরগুনা বাস মালিকÑশ্রমিকদের সংগঠনের ডাকে গতকাল সকাল থেকে দক্ষিনাঞ্চলের অন্তত অর্ধশত রুটে সড়ক পরিবহন ধর্মঘট শুরু হয়েছে। গত তিন মাসাধিককাল ধরে ঝালকাঠী বাস মালিকদের সাথে দন্ধের যের ধরে ঐ জেলাটির ওপর দিয়ে বরিশাল, পটুয়াখালী ও বরগুনা বাস মালিকদের কোন যানবাহন চলতে দেয়া হচ্ছে না।
বরিশাল বিভাগীয় ও পুলিশ প্রশাসন একাধীকবার উদ্যোগ নিয়েও বিষয়টি ফয়সালা করতে না পারায় চরম অচলবস্থার সৃষ্টি হয়। গতকাল থেকে এ ধর্মঘট শুরুর আগে মঙ্গলবার বরিশাল বিভাগীয় প্রশাসনের তরফ থেকে এ লক্ষে আগামী ২৪মার্চ একটি সমঝোতা বৈঠক ডাকার কথা বলা হলেও পূর্ব ঘোষিত কর্মসূচী অনুযায়ী ৩টি জেলার বাস মালিক ও শ্রমিক সংগঠনগুলো গতকাল সকাল থেকে এ ধর্মঘট শুরু করে।
ফলে সমগ্র দক্ষিনাঞ্চলের সড়ক পরিবহন সেক্টরে চরম অচলবস্থা সৃষ্টি হয়েছে। হাজারÑহাজার যাত্রীরা জিম্মী হয়ে পড়েছে পরিবহন মালিকÑশ্রমিকদের কাছে। অনেক নারীÑশিশু ও বয়স্কদের বিভিন্ন ধরনের থ্রী-হুইলার, ট্যম্পু ও ইজিবাইকে করে বহু কষ্ট আর দূর্ভোগ মাথায় করেই গন্তব্যে পৌছতে হচ্ছে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।