রামগতিতে আ.লীগ নেতাকে বহিষ্কার
লক্ষ্মীপুরের রামগতি উপজেলার চরআলগী ইউপি নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে বিদ্রোহী প্রার্থী হওয়ায় ইউনিয়ন আ.লীগের সাধারণ সম্পাদক সাহেদ আলী মনুকে দলীয় পদ থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে। গত
দিনাজপুরের ফুলবাড়ীতে উপজেলার ছোট যমুনা নদী থেকে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন করায় হুমকির মুখে পড়েছে বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধ। নদীগর্ভে চলে যাচ্ছে আবাদি জমি। সরকারি নিয়মনীতির তোয়াক্কা না করে বালু উত্তোলনের পর উপজেলার বিভিন্ন জায়গায় পয়েন্ট তৈরি করে বিক্রি করা হচ্ছে এসব বালু। বালু বহনকারী বেপরোয়া গতির ট্রাক্টরের কারণে গ্রামীণ সড়কগুলো চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পড়েছে।
উপজেলা ভ‚মি অফিস সূত্রে জানা যায়, শিবনগর ইউনিয়নের ছোট যমুনা নদীর তীরবর্তী বেলতলী ও গোপালপুর নামক দু’টি স্থান বালুমহালের জন্য নির্দিষ্ট করে আতিয়ার রহমান মিন্টুকে সরকারিভাবে ঘাট ইজারা প্রদান করা হয়েছে। ইজারার শর্তানুযায়ী ইজারাকৃত নির্দিষ্ট ঘাট ব্যতীত অন্য যে কোনো স্থানে বালু উত্তোলন সম্পূর্ণ অবৈধ। অভিযোগ উঠেছে সরকারি নিয়মনীতি না মেনে ইজারাদার নির্দিষ্ট স্থান থেকে বালু উত্তোলনের পাশাপাশি তার নেতৃতে উপজেলার দৌলতপুর, খয়েরবাড়ী ইউনিয়নসহ ছোট যমুনা নদীর বিভিন্ন স্থানে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন করা হচ্ছে। অনেক জায়গায় সরকারি ডাককৃত ঘাটে ড্রেজার মেশিন বসিয়ে বালু তোলা হচ্ছে।
সরেজমিন দেখা যায়, খয়েরবাড়ী ইউনিয়নে সরকারি দলের এক প্রভাবশালী নেতা ড্রেজার মেশিন দিয়ে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন করে নদীর পাশে স্ত‚প করে দেদার বিক্রি করছে। একইভাবে বারাইপাড়া গ্রামের আরো দু’জায়গায় বারাইপাড়া ঘাট থেকে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন করছে। এ ছাড়াও ইউনিয়নের জানিপুর বাঁধ সংলগ্ন যমুনা নদীর তীর ঘেঁষে একটি বিশাল এলাকায় গর্ত করে বালু উত্তোলন করায় হুমকির মুখে পড়েছে বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধটি। এদিকে নদী থেকে যত্রতত্র বালু উত্তোলনের ফলে একদিকে যেমন কৃষকের কৃষিজমি নদীগর্ভে বিলীন হচ্ছে, অন্যদিকে বালু বোঝাই ট্রাক্টর চলাচল করায় গ্রামীণ রাস্তাঘাট ভেঙে যাতায়াতের অনুপযোগী হয়ে পড়েছে।
অবৈধভাবে বালু উত্তোলনকারী বারাই পাড়া গ্রামের মতির সাথে কথা বললে তিনি বলেন, শুধু আমরাই নই, আরো অনেকেই এভাবেই ছোট যমুনা নদী থেকে বালু তুলছে এবং ঘাটমালিক আতিয়ার রহমান মিন্টুর সাথে কথা বলে,কন্ট্রাক্টকের মাধ্যমেই বালু উত্তোলন করা হচ্ছে।
এদিকে বালুমহালের ইজারাদার আতিয়ার রহমান মিন্টুর সাথে কথা বললে তিনি জানান, নদীতে পানি থাকায় বালু তোলা সম্ভব হচ্ছে না, যে কারণে মেশিন দিয়ে বালু তোলা হচ্ছে। তবে সারা দেশেই মেশিন দিয়ে বালু তোলা হচ্ছে, অন্যরা যদি তুলতে পারে তাহলে আমরা কেন পারব না। নির্দিষ্ট ঘাট ছাড়া অন্য কোথাও যারা বালু তুলছে, তারা মিথ্যা কথা বলেছে। তাদের সাথে আমার কোনো যোগাযোগ নেই। তাদের অনেকবার বাধা প্রদানের জন্য পুলিশ পাঠানো হয়েছে, তারা শুনছে না।
এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসার আব্দুস সালাম চৌধুরী জানান, ইজারাকৃত নির্দিষ্ট ঘাট ব্যতীত অন্য যে কোনো জায়গা থেকে বালু উত্তোলন সম্পূর্ণ অবৈধ। ইজারাদার নির্দিষ্ট স্থান ছাড়া অন্য স্থানে বালু উত্তোলন করতে পারবে না। বিষয়টি অনেকে জানিয়েছে, ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য পুলিশও পাঠানো হচ্ছে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।