গুলিস্তানের বিস্ফোরণে নিহত ১৬ জনের নাম-পরিচয় পাওয়া গেছে
রাজধানীর গুলিস্তানের সিদ্দিক বাজার এলাকায় ভয়াবহ বিস্ফোরণের ঘটনায় এখন পর্যন্ত ১৬ জন নিহত হয়েছেন। এ
রাজধানীর আজিমপুরে কনকর্ড গ্রুপের নির্মাণ করা ১৮তলা ভবন নবাব স্যার সলিমুল্লাহ মুসলিম এতিমখানাকে বুঝিয়ে দিতে হাইকোর্টের রায় বহাল রেখেছেন আপিল বিভাগ।
সোমবার সকালে হাইকোর্টের আদেশের বিরুদ্ধে কনকর্ডের করা আপিল খারিজ করে প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেনের নেতৃত্বাধীন তিন সদস্যের বেঞ্চ এ আদেশ দেন। বেঞ্চের অন্য সদস্যরা হলেন- বিচারপতি মোহাম্মদ ইমান আলী এবং বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকী।
আদালতে রিটের পক্ষে শুনানি করেন অ্যাডভোকেট মনজিল মোরসেদ। এতিমখানার পক্ষে ছিলেন অ্যাডভোকেট এ ওয়াই মশিউজ্জামান ও ব্যারিস্টার অনিক আর হক। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম।
পরে ব্যারিস্টার অনিক আর হক সাংবাদিকদের বলেন, আবাসন প্রতিষ্ঠান কনকর্ডের আপিল খারিজ হয়ে যাওয়ায় যত দ্রুত সম্ভব এতিমখানাকে ওই ভবন বুঝিয়ে দিতে হবে।
জানা গেছে, ১৯০৯ সালে নবাব স্যার সলিমুল্লাহ নিজ নামে এতিমখানাটি স্থাপন করেন। পরে সরকারের কাছ থেকে জমি লিজ নিয়ে এতিমখানা সম্প্রসারণ করে পরিচালনা করা হচ্ছিল।
২০০৩ সালের ২২ জুলাই এতিমখানার দায়িত্বপ্রাপ্ত সভাপতি বেগম শামসুন্নাহার আহসানউল্লাহ এবং সেক্রেটারি অ্যাডভোকেট জিএ খান এতিমখানার দুই বিঘা জমি ডেভেলপার কোম্পানি কনকর্ডকে হস্তান্তর করেন।
তখন এ নিয়ে বিভিন্ন জাতীয় দৈনিকে প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়। এসব প্রতিবেদনের ভিত্তিতে এতিমখানার চার ছাত্রের পক্ষে হাইকোর্টে রিট আবেদন করেন হিউম্যান রাইটস অ্যান্ড পিস ফর বাংলাদেশের পক্ষে অ্যাডভোকেট মনজিল মোরসেদ। এ আবেদনের ওপর ২০১৩ সালের ১১ ফেব্রুয়ারি হাইকোর্ট রুল জারির পাশাপাশি স্থিতাবস্থা জারি করেন।
পরে ২০১৫ সালের ১৭ সেপ্টেম্বর এ বিষয়ে জারি করা এক রুলের চূড়ান্ত শুনানি শেষে বিচারপতি মির্জা হোসেইন হায়দার ও বিচারপতি একেএম জহিরুল হকের হাইকোর্ট বেঞ্চ আজিমপুরে স্যার সলিমুল্লাহ মুসলিম এতিমখানার জায়গায় আবাসন প্রতিষ্ঠান কনকর্ডের তৈরি ১৮তলা বিল্ডিং এতিমখানাকে হস্তান্তরের আদেশ দেন।
একই সঙ্গে চার দফা নির্দেশনা দিয়ে রায় দেন হাইকোর্ট। তা হল- এক. আজিমপুর এতিমখানার সম্পত্তি সংরক্ষণ করতে হবে, দুই. এতিমখানার সম্পত্তি হস্তান্তর সম্পর্কে ২০১৩ সালের ২২ জুলাইয়ের দলিল এবং ২০১৪ সালের ১৩ এপ্রিলের আমমোক্তারনামা দলিল বাতিল ঘোষণা করা হয়েছে। কারণ সেগুলো শুরু থেকেই বাতিল।
তিন. এতিমখানার জায়গায় কনকর্ডের তৈরি ১৮তলা বিল্ডিং এতিমখানার পক্ষে বাজেয়াফত ঘোষণা করা হয়েছে। চার. কনকর্ডকে আগামী ৩০ দিনের মধ্যে স্থাপনা ও সম্পত্তি এতিমখানাকে বুঝিয়ে দিতে বলা হয়েছে। ব্যর্থতায় সরকারকে সম্পত্তি বুঝে নেওয়ার নির্দেশ দেয়া হয় এবং এতিমখানার প্রয়োজনে ডেভেলপ করার নির্দেশ দেয়া হয়।
পরে এ আদেশের বিরুদ্ধে আপিল করে আবাসন প্রতিষ্ঠান কনকর্ড। তবে প্রতিষ্ঠানটির আবেদন আজ খারিজ করে হাইকোর্টের রায় বহাল রাখেন আপিল বিভাগ।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।