বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
বিশেষ সংবাদদাতা : রাজধানীর শ্যামপুর থানার চাঞ্চল্যকর শাহেদ হত্যা মামলার চার্জশিট দিয়েছে সিআইডি। তবে নিহত শাহেদের পরিবারের অভিযোগ, পুলিশ ঘটনা তদন্ত করে যা পেয়েছে তার অনেক কিছুই চার্জশিটে উল্লেখ করেনি। এতে করে মামলার আসামীরা পার পেয়ে যেতে পারে। শাহেদের বোন শামীমা আক্তার অভিযাগ করে বলেন, চার্জশিটে মাদক ব্যবসায়ী তথা খুনীদের সহযোগীদেরকেই সাক্ষী করা হয়েছে। তিনি বলেন, যারা শাহেদকে খুন করেছে তারা সবাই মাদক ব্যবসায়ী। মাদক ব্যবসায় বাধা দেয়ার জন্যই শাহেদকে খুন করা হয়। শামীমার অভিযোগ, পুলিশ তাকেসহ তার পরিবারের তেমন কাউকেই খুনের ঘটনায় সাক্ষী হিসাবে রাখেনি। অথচ ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শীরা ছিল পরিবারের সদস্যরাই। এ ব্যাপারে শামীমা আক্তার নিজে বাদী হয়ে আদালতে পৃথক একটি মামলা করেছেন (সিআর মামলা নং ৬৮৬)। আদালত থানায় দায়েরকৃত মামলা ও সিআর মামলা এক সাথে তদন্ত করার নির্দেশ দিলেও তা মানা হয়নি। এদিকে, শাহেদ হত্যাকান্ডের সাথে জড়িত মাদক ব্যবসায়ী মালেক গ্রেফতার হলেও শ্যামপুর থানা পুলিশ তাকে রিমান্ডে না নেয়ায় প্রশ্ন তুলেছে নিহত শাহেদের পরিবার।
২০১৬ সালের ৯ জুলাই রাত আনুমানিক পৌনে তিনটার দিকে ইলেকট্রিক মিস্ত্রি শাহেদকে বাসা থেকে ডেকে নিয়ে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে হত্যা করে স্থানীয় মাদক ব্যবসায়ী ও সন্ত্রাসীরা। এ ঘটনায় জড়িত সন্দেহে পাপ্পু (২৭) নামের একজনকে আটক করে পুলিশ। শাহেদের বড় বোন শামীমা আক্তার জানান, মাদক ব্যবসায় বাধা দেয়ায় শাহেদ বহু আগে থেকেই স্থানীয় মাদক ব্যবসায়ীদের টার্গেটে ছিলেন। স্থানীয় ওয়ার্ড কাউন্সিলরকে সাথে নিয়ে এলাকায় মাদকবিরোধী মিছিল সমাবেশও করেছেন শাহেদ। সিআইডি ঘটনাটি তদন্ত করে ৬ জনকে আসামী করে আদারতে চার্জশিট দাখির করে। এরা হলো, সাত্তাউর রহমান ওরফে তুষার, আবদুর রহমান, মালেক, শাকিল ও মেরাজ উদ্দিন সৌরভ। এর মধ্যে রহমান ও মালেক চিহ্নিত সন্ত্রাসী বলে জানা গেছে। সিআইডির দেয়া চার্জশিট নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন শাহেদের বোন শামীমা আক্তার। শাহেদ খুন হওয়ার পর তার স্ত্রী কনিকা আক্তার বাদী হয়ে শ্যামপুর থানায় একটি মামলা করেন। মামলা নং ০৩/০৯/০৭/২০১৬ ইং। এতে ১১ জনসহ অজ্ঞাতনামা আরও কয়েকজনকে আসামি করা হয়। এরা হলো, পাপ্পু ওরফে অপু, তুষার, মুন্না, মালেক, লোকমান, শাকিল, সৌরভ, হাবু, ফারুক ও তপন। শামীমা আক্তারের অভিযোগ, মামলার বাদী নিহত শাহেদের স্ত্রী কনিকা এখন শাহেদের খুনীদের সাথেই সম্পর্ক গড়ে তুলে একজনকে বিয়ে করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। এতে করে শাহেদের পরিবার বিচার পাবে কি না তা নিয়েও সন্দেহ দেখা দিয়েছে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।