Inqilab Logo

সোমবার ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২২ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

২৫ মার্চ রাতে ১ মিনিট অন্ধকারে থাকবে দেশ

স্টাফ রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ১১ মার্চ, ২০১৮, ৪:৪৮ পিএম

একাত্তরে নিরস্ত্র বাঙালির ওপর পাকিস্তানী হানাদার বাহিনীর গণহত্যা স্মরণে আগামী ২৫ মার্চ রাত ৯টা থেকে ৯টা ১মিনিট পর্যন্ত এক মিনিট অন্ধকার থাকবে সারাদেশ। কালো রাতের স্মরণে ব্ল্যাক-আউট (বাতি নিভিয়ে অন্ধকার) কর্মসূচি পালন করা হবে।

রোববার (১১ মার্চ) দুপুরে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল সচিবালয়ে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে গণহত্যা দিবস ও স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে আইনশৃঙ্খলা বিষয়ক এক সমন্বয় সভা শেষে এ কথা বলেন।

তিনি বলেন, আমাদের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, জাতীয় গণহত্যা দিবস পালন উপলক্ষে আগামী ২৫ মার্চ রাত ৯টা থেকে ৯টা ১মিনিট পর্যন্ত, ১ মিনিটের জন্য সারা দেশে প্রতীকী ব্ল্যাক আউট থাকবে। এটা যথাযথভাবে পালন করার জন্য আমরা সে অনুযায়ী ব্যবস্থা নিতে যাচ্ছি। জরুরি স্থাপনা ব্যতীত সমস্ত বাংলাদেশে এ কর্মসূচি পালন করা হবে।

কর্মসূচি কীভাবে পালন করা হবে জানতে চাইলে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, সরকার বিদ্যুৎ বন্ধ করবে না। যার যার সুইচ আমরা নিজেরাই বন্ধ করবো। এ বিষয়ে টেলিভিশন, সংবাদপত্রসহ বিভিন্ন মাধ্যমে প্রচার করা হবে। পাশাপাশি মোবাইল অপারেটরের মাধ্যমে এসএমএস পাঠানো হবে। কর্মসূচি পালন উপলক্ষে ওইদিন ব্যাপক নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

স্বাধীনতা দিবস পালনের বিষয়ে আসাদুজ্জামান খান বলেন, ‘রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী, মন্ত্রিপরিষদের সদস্যদের সাভারের জাতীয় স্মৃতিসৌধে যাওয়া, পুষ্পস্তবক অর্পণ ও ফিরে আসার সময় কড়া নিরাপত্তা দেওয়া হবে। শুধু তাই নয়, কূটনীতিকদের স্মৃতিসৌধে যাওয়ার সময়ও নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। ২৫ মার্চ রায়ের বাজার স্মৃতিসৌধ এবং সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান উপলক্ষে নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

‘প্রতিবারের মতো এ সড়কগুলোতে কোনো ওভারহেড তোরণ নির্মাণ করতে দেওয়া হবে না। তবে সড়কের পাশে স্বাধীনতা ও মুক্তিযুদ্ধের স্বপক্ষে ব্যানার বা ফেস্টুন কেউ দিতে পারবেন-জানান মন্ত্রী।

তিনি আরো বলেন, স্বাধীনতা দিবসে সাভার স্মৃতিসৌধসহ সব অনুমোদিত অনুষ্ঠানে বিদ্যুৎ সরবরাহের জন্য বিদ্যুৎ বিভাগকে অনুরোধ করা হয়েছে। ২৬ মার্চ সাভার জাতীয় স্মৃতিসৌধসহ অনুমোদিত সব স্থানে নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সরবরাহের ব্যবস্থা থাকবে। অনুষ্ঠানস্থলে প্রয়োজনীয় সংখ্যক ডাক্তার, নার্স, অ্যাম্বুলেন্সসহ মেডিক্যাল সাপোর্ট থাকবে। খাবার পানিসহ অন্যান্য সুবিধার ব্যবস্থা করা হবে। ঢাকাসহ সারা দেশে ফায়ার সার্ভিস তৎপর থাকবে। স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে কারাগার, হাসপাতাল, এতিমখানায় উন্নতমানের খাবারের ব্যবস্থা করা হবে।

যেকোনো ধরনের নাশকতা প্রতিরোধে গোয়েন্দা তৎপরতা জোরদার করা হবে জানিয়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, এজন্য সবাই সজাগ রয়েছে। সারা দেশে সবাই সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান করতে পারবে। তবে এর তথ্য আমাদের পুলিশ বিভাগ ও লোকাল প্রশাসনের কাছে আগেই দিতে হবে।

তিনি বলেন, কূটনীতিক এলাকা, কেপিআই এলাকায় নিরাপত্তা জোরদার করা হবে। সীমান্ত এলাকায় নজরদারি আরো বৃদ্ধি করা হবে।

সভায় জননিরাপত্তা বিভাগের সচিব মোস্তাফা কামাল উদ্দীন, সুরক্ষা সেবা বিভাগের সচিব ফরিদ উদ্দিন আহম্মদ চৌধুরী, পুলিশের মহাপরিদর্শক মোহাম্মদ জাবেদ পাটোয়ারী, ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের কমিশনার মো. আছাদুজ্জামান মিয়াসহ অন্যান্য আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ