পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
স্টাফ রিপোর্টার : আন্তর্জাতিক যুদ্ধাপরাধ গণবিচার আন্দোলনের আহ্বায়ক ও নৌমন্ত্রী শাজাহান খান পঁচিশে মার্চকে ‘আন্তর্জাতিক গণহত্যা দিবস’ ঘোষণার দাবি জানিয়েছেন। ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে গতকাল (মঙ্গলবার) এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ দাবি জানান। আন্তর্জাতিক যুদ্ধাপরাধ গণবিচার আন্দোলন এ সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করে।
নৌমন্ত্রী শাজাহান খান বলেন, ‘গত শতাব্দীতে অনেক দেশেই গণহত্যার ঘটনা ঘটেছে। কিন্তু তার অনেক ক্ষেত্রেই বিচার হয়নি। এখনো ক্ষতিগ্রস্তরা বিচারের অপেক্ষায় রয়েছেন। শুধু পঁচিশে মার্চ রাতে বাংলাদেশে প্রায় এক লাখ লোককে হত্যা করা হয়েছিল, যা গণহত্যার ইতিহাসে এক ভয়াবহতম ঘটনা।’
মন্ত্রী বলে, ‘পঁচিশে মার্চ আন্তর্জাতিক গণহত্যা দিবস ঘোষণার দাবি আমরা দেশবাসীর কাছে উত্থাপন করছি। শুধু বাংলাদেশের জন্য নয়, আজকের সুসভ্য বিশ্ব সমাজ ও বিশ্ব মানবতার অগ্রযাত্রার স্বার্থেও অন্তত একটি দিন গণহত্যার মতো পৈশাচিকতার বিরুদ্ধে প্রতিবাদের জন্য নির্ধারিত থাকা দরকার।’
জাতিসংঘের বিধান অনুযায়ী প্রস্তাবটি কোনো দেশের সরকারের পক্ষ থেকে আসতে হবে বিধায় জনগণের এই যৌক্তিক দাবির আলোকে গণহত্যার নির্মম শিকার বাঙালি ও বিশ্বের সকল হতভাগ্য মানুষের পক্ষ থেকে আমরা আমাদের সরকারের কাছে এই প্রস্তাব তুলে ধরছি। একই সঙ্গে ১৯৭১ সালে বাংলাদেশের গণহত্যাকেও জাতিসংঘ কর্তৃক স্বীকৃতি দেওয়ার জন্য যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়ার প্রস্তাব করেন তিনি।
শাজাহান খান বলেন, ‘আমরা আমাদের ঘোষণাপত্রের ২১ দফায় উল্লেখসহ পূর্বের সকল সভা-সমাবেশে এই দাবি বারবার উল্লেখ করেছি। আগামী ২৫ মার্চ জাতীয় জীবনের ভয়াল এই দিনটিতে দাবিটি বিশেষভাবে উত্থাপনের জন্য দিনব্যাপী কর্মসূচি নেওয়া হয়েছে।’
ওই দিন মানিক মিয়া অ্যাভিনিউয়ের সামনে ফুটপাতে জাতীয় সংসদের সামনে সকাল ১০টা থেকে ‘৭১-এর ভয়াবহ গণহত্যার আলোকচিত্র প্রদর্শন করা হবে। বিকেল ৪টা থেকে হবে আলোচনা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। এ ছাড়াও চারুশিল্পীদের অংশগ্রহণে চলবে গণহত্যা নিয়ে ক্যানভাসে চিত্রাঙ্কন। সন্ধ্যায় সহ¯্র মোমবাতি প্রজ্বলনের মাধ্যমে মহান মুক্তিযুদ্ধসহ বিশ্বের গণহত্যার শিকার সকল শহীদের স্মৃতির প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করা হবে। একই সঙ্গে হাজার কণ্ঠে দাবি জানানো হবে ‘পঁচিশে মার্চ’কে আন্তর্জাতিক গণহত্যা দিবস হিসেবে স্বীকৃতি চাই।’ এরপর চলবে গণহত্যার ওপর প্রামাণ্য ও চলচ্চিত্র।
তিনি বলেন, ‘আমাদের দাবি আমরা শুধু এ দেশের মানুষের মধ্যে সীমাবদ্ধ রাখব না, প্রবাসী বাঙালি যারা আছেন, তাদের কাছেও এ দাবি পৌঁছে দিয়ে আমাদের আন্দোলনে শামিল হওয়ার আহ্বান জানাব।’
এ সময় উপস্থিত ছিলেন আবেদ খান, মুক্তিযোদ্ধা ইসমত কাদির গামা, মুক্তিযোদ্ধা ওসমান আলী, মাহবুব উদ্দিন বীরবিক্রম, কামাল পাশা চৌধুরী, কামরুল আলম সবুজ, মো. কামাল উদ্দিন, অ্যাডভোকেট কামরুল ইসলাম, হাসান খসরু, রুহুল আমিন মজুমদার প্রমুখ।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।