পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
প্রেসিডেন্ট মো: আবদুল হামিদ বলেছেন, ২৫ মার্চের গণহত্যা শুধু বাংলাদেশেরই নয়, বিশ্বমানবতার ইতিহাসেও একটি কালো অধ্যায়। ২৫ মার্চ গণহত্যা দিবস উপলক্ষে শনিবার (২৪ মার্চ) এক বাণীতে তিনি এসব কথা বলেন। আগামীকাল জাতীয়ভাবে এ দিবস পালিত হবে।
প্রেসিডেন্ট বলেন, আজ ২৫ মার্চ, জাতীয় গণহত্যা দিবস। ১৯৭১ সালের এইদিনে বাঙালির মুক্তি আন্দোলন স্তব্ধ করতে নিরস্ত্র মানুষের ওপর ঝাঁপিয়ে পড়ে পাকিস্তানি সেনাবাহিনী। ঢাকাসহ সারাদেশে চালানো হয় গণহত্যা। শহিদ হন ছাত্র, শিক্ষক, বুদ্ধিজীবী, পুলিশ ও তৎকালীন ইপিআর সদস্যসহ বিভিন্ন শ্রেণিপেশার অগণিত মানুষ। আবদুল হামিদ এ দিনে পরম শ্রদ্ধার সাথে স্মরণ করেন জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে, যাঁর নেতৃত্বে দীর্ঘ ন’মাস সশস্ত্র মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে অর্জিত হয় মহান স্বাধীনতা। ২৫ মার্চ কালরাতে নিহত সকল শহিদকে তিনি সশ্রদ্ধচিত্তে স্মরণ করেন। এছাড়া তিনি কৃতজ্ঞচিত্তে স্মরণ করেন জাতীয় চার নেতা, বীর মুক্তিযোদ্ধা, মুক্তিযুদ্ধের সংগঠক-সমর্থকসহ সকলস্তরের জনগণকে, যাঁদের অসামান্য অবদান ও আত্মত্যাগের বিনিময়ে জাতি স্বাধীনতা অর্জন করেছে ।
তিনি বলেন, ১৯৭১ সালের ২৫ মার্চ কালরাতে বাংলার মাটিতে পাকিস্তানি সেনাবাহিনী যে হত্যাযজ্ঞ চালিয়েছিল, তা ছিল বিংশ শতাব্দীর নৃশংসতম গণহত্যা। ‘অপারেশন সার্চলাইট’ নামে অভিযানটি পরিচালনার মাধ্যমে তারা বাঙালি পুলিশ, ইপিআর এবং ছাত্রজনতার প্রতিরোধকে স্তব্ধ করে দিতে চেয়েছিল। ২৬ মার্চ প্রথম প্রহরে পাকিস্তানি বাহিনীর হাতে গ্রেপ্তার হন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। তার আগেই তিনি স্বাধীনতার ঘোষণা দিয়ে যান, যার পথ ধরে শুরু হয় বাঙালির মুক্তিযুদ্ধ। দীর্ঘ ন’মাস সশস্ত্র মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে অর্জিত হয় বাঙালির মহান স্বাধীনতা।
প্রেসিডেন্ট বলেন, মুক্তিযুদ্ধে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী ও তাদের এ দেশীয় দোসরদের নৃশংস হত্যাযজ্ঞ ইতিহাসের এক কলঙ্কজনক অধ্যায়। মানবতাবিরোধী অপরাধে জড়িতদের বিচারের মাধ্যমে জাতি কিছুটা হলেও কলঙ্কমোচন করতে সক্ষম হয়েছে। তিনি বলেন, ‘জাতীয় গণহত্যা দিবস পালনের মধ্য দিয়ে কালরাতের গণহত্যা ও আমাদের স্বাধীনতার ইতিহাস নিয়ে সর্বস্তরের মানুষের মধ্যে সচেতনতা সৃষ্টি হবে। আমাদের পরবর্তী প্রজন্ম জানতে পারবে স্বাধীনতার প্রকৃত ইতিহাস’
আবদুল হামিদ বলেন, ত্রিশ লক্ষ শহীদের আত্মত্যাগের বিনিময়ে বাঙালি এই স্বাধীনতা অর্জন করেছে। হত্যা নিপীড়ন করে বাঙালি জাতি ও বাংলাদেশকে কেউ দাবিয়ে রাখতে পারেনি। বাঙালি জাতির এ বীরত্বগাথা আগামী দিনে এগিয়ে যাওয়ার অনুপ্রেরণা যোগাবে। মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ও গণতান্ত্রিক মূল্যবোধে উদ্বুদ্ধ হয়ে বঙ্গবন্ধুর আদর্শ ও চেতনাকে দৃঢ়ভাবে ধারণ করে একটি অসাম্প্রদায়িক ও গণতান্ত্রিক বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠার অভিযাত্রায় অংশ নিতে তিনি দল-মত-ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে সকলের প্রতি আহ্বান জানান। বাসস
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।