মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
ইনকিলাব ডেস্ক : নিজের প্রতিষ্ঠানের আয়োজিত মিস ইউনিভার্স সুন্দরী প্রতিযোগিতার প্রার্থী ব্যবস্থাপনার ক্ষেত্রে ডোনাল্ড ট্রাম্প বর্ণবাদের আশ্রয় নিতেন বলে তাকে নিয়ে লেখা সদ্যপ্রকাশিত এক বইতে দাবি করা হয়েছে। প্রতিযোগীদের মধ্যে অশ্বেতাঙ্গদের সংখ্যা বেশি মনে হলে তিনি সেখান থেকে বাদামি ও কৃষ্ণাঙ্গদের বাদ দিয়ে শ্বেতাঙ্গ বিশেষ করে পূর্ব ইউরোপের মেয়েদের চূড়ান্ত প্রতিযোগিতায় সুযোগ করে দিতেন বলে রাশান রুলেট : দ্য ইনসাইড স্টোরি অব পুতিনস ওয়ার অ্যান্ড দ্য ইলেকশন অব ডোনাল্ড ট্রাম্প বইয়ের উদ্ধৃতিতে অভিযোগ করা হয়েছে। কোনো কোনো সময় ট্রাম্প বিচারকদের রায় বদলে এক প্রতিযোগীর স্থানে অন্যজনকে সুযোগ করে দিতেন বলেও এতে দাবি করা হয়েছে, খবর হাফিংটন পোস্টের। মার্কিন ম্যাগাজিন মাদার জোনসে বৃহস্পতিবার বইটির বেশ কিছু উদ্ধৃতি ছাপা হয়, যেখানে ট্রাম্পের ২০১৩ সালের রাশিয়া ভ্রমণের উল্লেখ আছে। মিস ইউনিভার্স সুন্দরী প্রতিযোগিতা উপলক্ষে সেবছর মস্কোর ক্রাসনগর্সক গিয়েছিলেন তিনি। ইয়াহু নিউজের প্রধান অনুসন্ধানী প্রতিবেদক মাইকেল ইসিকফ ও মাদার জোনসের ওয়াশিংটন ব্যুরো প্রধান ডেভিড কর্নের লেখা বইটিতে রাশিয়ায় ট্রাম্পের ব্যবসায়িক যোগাযোগগুলোর ওপর বেশি আলোকপাত করা হলেও সেখানেই সুন্দরী প্রতিযোগিতার ব্যবস্থাপনায় তার ভূমিকার কথাও উঠে এসেছে। ১৩ মার্চ থেকে বইটির আনুষ্ঠানিক বিক্রি শুরু হবে বলে হাফিংটন পোস্টের প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে। নিজের প্রতিষ্ঠানের আয়োজিত সুন্দরী প্রতিযোগিতায় কে সেরা হবেন, ট্রাম্পই তা ঠিক করে দিতেন বলে ইসিকফ ও কর্ন তাদের বইতে দাবি করেছেন। অশ্বেতাঙ্গ প্রতিযোগীর সংখ্যা বেশি মনে হলে তিনি তাদের মধ্য থেকে বাদ দেওয়া শুরু করতেন। ২০১৩ সালেও মিস ইউনিভার্সের চূড়ান্ত প্রতিযোগিতার এক বা দুইদিন আগে কারা কারা ফাইনাল রাউন্ডে থাকবেন তা ট্রাম্প যাচাই বাছাই করেন বলে বইতে অভিযোগ করা হয়েছে। ট্রাম্প না বললে কোনো নারীই ফাইনালিস্ট হতে পারতেন না, বলেন ইসিকফ ও কর্ন। বিচারকদের ঠিক করা প্রতিযোগীর বদলে ট্রাম্প তার পছন্দের প্রার্থীদের চূড়ান্ত রাউন্ডে সুযোগ করে দিতেন বলেও মিস ইউনিভার্স সুন্দরী প্রতিযোগিতায় কাজ করা এক কর্মী পরে অভিযোগ করেছেন। বাদ পড়া বেশিরভাগ নারীই ছিলেন বাদামি বা কৃষ্ণাঙ্গ। সেখানে যদি অশ্বেতাঙ্গ নারীর সংখ্যা বেশি হত, তিনি তাদের পরিবর্তন করতেন, বলেন ওই কর্মী। প্রতিযোগীদের ক্ষেত্রে চামড়ার রং বেশি গাঢ কিনা, জাতিসত্তার বেশি ছাপ আছে কিনা এগুলো বিবেচনায় নিতেন ট্রাম্প, অভিযোগ মিস ইউনিভার্সের সঙ্গে জড়িত থাকা আরেক কর্মীর। তার চিন্তায় বিজয়ী হিসেবে সুনির্দিষ্ট নারীরাই আসতো; তিনি একটা ধাঁচ পছন্দ করতেন। যাদের মধ্য ছিলেন অলিভিয়া কালপো, ডায়ানা টোরেস (১৯৯৩-র বিজয়ী), এবং পূর্ব ইউরোপের নারীরা, বলেন তিনি। এর আগে মিস ইউনিভার্স প্রতিযোগিতায় অংশ নেওয়া অনেকেই তাদের পোশাক বদলানোর কক্ষে ট্রাম্প ঘোষণা ছাড়াই হাঁটাহাঁটি করতেন বলে জানিয়েছিলেন। সাবেক মিস ইউনিভার্স অ্যালিসিয়া মাচাদো ২০১৬ সালে ট্রাম্পের বিরুদ্ধে তাকে মিস পিগি, মিস হাউসকিপিং ও ইটিং মেশিন ডাকারও অভিযোগ করেন। নির্বাচনের ওই বছর সাবেক মিস টিন ইউএসএ বিজয়ী কেমি ক্রফোর্ড বলেন, ট্রাম্প যে কৃষ্ণাঙ্গদের পছন্দ করেন না, এ বিষয়ে তাকে সতর্ক করা হয়েছিল। এক কৃষ্ণাঙ্গ প্রতিযোগীকে দেখার পর ট্রাম্পকে বাজে মুখভঙ্গী করতে দেখেছিলেন বলেও জানান তিনি। উল্টো ঘুরে তিনি তাকে (কৃষ্ণাঙ্গ প্রতিযোগী) দেখে বমি আসছিল ধরনের অঙ্গভঙ্গী করেছিলেন, অভিযোগ ক্রফোর্ডের। বর্ণবাদী মন্তব্য ও কর্মকান্ডের জন্য আগে থেকেই কুখ্যাতি আছে বর্তমান মার্কিন প্রেসিডেন্টের। গত বছর শার্লটসভিলের ঘটনায় শ্বেত শ্রেষ্ঠত্ববাদীদের সমালোচনা না করে তীব্র প্রতিক্রিয়াও দেখেছিলেন তিনি। শ্বেত শ্রেষ্ঠত্ববাদীরা ট্রাম্পের পক্ষে নির্বাচনী প্রচারেও অংশ নিয়েছিল বলে খবর মার্কিন গণমাধ্যমগুলোর। রিপাবলিকান এ প্রেসিডেন্ট মেক্সিকান অভিবাসীদের অপরাধী ও ধর্ষক বলেও অ্যাখ্যা দিয়েছিলেন। তার বিরুদ্ধে ২১ নারীর যৌন অসাদাচরণ, হয়রানি, লাঞ্চনা ও ধর্ষণেরও অভিযোগ আছে বলে প্রতিবেদনে বলা হয়েছে। হাফিংটন পোস্ট।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।