মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
ইনকিলাব ডেস্ক : তৃণমূল মোকাবেলায় ভারতের পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য বিধান সভা নির্বাচনে নানা জল্পনা-কল্পনার শেষে কংগ্রেসের সঙ্গে সিপিএম শেষ পর্যন্ত মিলিত হতে চলেছে। কংগ্রেস নেতা রাহুলের মঞ্চে খুব তাড়াতাড়ি দেখ যাবে সিপিএম নেতাদের। সিপিএম-কংগ্রেস নির্বাচনী জোট অনিবার্যভাবে এবার উঠে আসছে ওপর তলাতেও। ভোটের আগে জোট সম্পর্কে দুই দলের কর্মী-সমর্থক মহল ও সাধারণ মানুষের আস্থা আরও বাড়াতে চেয়ে রাহুল গান্ধীর সভায় উপস্থিত থাকতে চলেছেন সিপিএম নেতারা।
রাজ্যে প্রথম দফার ভোটের আগেই আগামীকাল শনিবার প্রচারে এসে কংগ্রেস সহ-সভাপতি রাহুল গান্ধী বর্ধমান জেলার শিল্পাঞ্চলে দুটি ও বাঁকুড়া জেলায় একটি সভা করবেন। বর্ধমানের সভায় উপস্থিত থাকার জন্য সিপিএম নেতৃত্ব এবং ওই এলাকার বাম প্রার্থীদের আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে কংগ্রেসের তরফে। সাড়া দিয়েছে সিপিএমও। আলিমুদ্দিনের নির্দেশে ওই দিন রাহুলের মঞ্চে সিপিএমের রাজ্য কমিটির দুই প্রাক্তন সংসদ সদস্য বংশগোপাল চৌধুরী ও বিধায়ক গৌরাঙ্গ চট্টোপাধ্যায় হাজির থাকবেন বলে প্রাথমিকভাবে জানা গেছে।
যৌথ প্রচারে জোটের খবর এখানেই থামছে না, তা বলাই বাহুল্য। দুই শিবির সূত্রেরই খবর, আাগামী ১৩ এপ্রিল মালদহে সমাবেশ করতে পারেন কংগ্রেস সভানেত্রী সোনিয়া গান্ধী। সেই সমাবেশে যাতে সিপিএমের সাধারণ সম্পাদক সীতারাম ইয়েচুরি উপস্থিত থাকেন তার জন্য প্রচারও শুরু হয়েছে। একইভাবে চেষ্টা চলছে পরবর্তী দফায় রাহুল যখন আবার বাংলায় প্রচারে যাবেন, তখন জোটের বিষয়ে আরও জোরালো হবে। সিপিএমের কেন্দ্রীয় ও রাজ্য নেতৃত্বের মধ্যেও আলাপ-আলোচনা চলছে, দল ও বামফ্রন্টের মধ্যে একাংশের ওজর-আপত্তি এড়িয়ে কীভাবে সোনিয়া-রাহুলদের সভায় যথেষ্ট ওজনদার প্রতিনিধি পাঠিয়ে দুই পক্ষেরই নিচুতলার কর্মী মহলকে আরও চাঙ্গা করা যায়। কেন্দ্রীয় নেতাদের সমাবেশ নিয়ে এখনো আলোচনা জারি থাকলেও রাজ্য স্তরে যৌথ প্রচার অবশ্য আগের চেয়ে আরও অনেক মসৃণ হয়ে এসেছে। আগামী ৯ এপ্রিল নারায়ণগড়ে সিপিএমের প্রার্থী সূর্যকান্ত মিশ্রের সমর্থনে সভা করতে যাবেন অধীর চৌধুরী। সবকিছু পরিকল্পনামাফিক এগোলে নারায়ণগড়ই শুধু নয়, আরও কিছু জায়গায় একত্রে একই মঞ্চে দেখা যেতে পারে সিপিএমের রাজ্য সম্পাদক ও প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতিকে। উল্লেখযোগ্য ঘটনা হলো, বর্ধমান জেলায় প্রথম রাহুলের সভায় প্রতিনিধি পাঠাচ্ছে সিপিএম, দলের অন্দরে সেই জেলার নেতারাই কংগ্রেসের সঙ্গে বোঝাপড়ার প্রশ্নে তীব্র আপত্তি জানিয়েছিলেন। বর্ধমান জেলা সম্পাদকম-লীর এক গুরুত্বপূর্ণ সদস্য আলিমুদ্দিন চিঠি পাঠিয়েও জোট নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন সম্প্রতি। তার পরেও কংগ্রেসের আমন্ত্রণে সাড়া দিয়ে সেই জেলাতেই রাহুলের সমাবেশে হাজির থেকে দলের ভিতরে ও বাইরে নির্বাচনী জোটের বিষয়ে স্পষ্ট করে দিতে চাইছে সিপিএম। প্রদেশ কংগ্রেসের এক নেতার কথায়, রাহুলজি সভা করতে এলে তার সঙ্গে সঙ্গতি রেখে সিপিএমের তরফে স্বয়ং সূর্যবাবু বা তাদের রাজ্য নেতৃত্বের তেমন ওজনদার কেউ উপস্থিত থাকলেই পরস্পরকে মর্যাদা দেওয়ার বিষয়টি স্পষ্ট হবে।
বিষয়টি নিয়ে ভাবনাচিন্তা চালাচ্ছেন সূর্যবাবুরাও। দলের মুখ্য প্রচারক ও রাজ্য সম্পাদক হিসেবে সূর্যবাবুর এখন ঠাসা কর্মসূচি। রাহুল যেদিন বর্ধমান ও বাঁকুড়ায় যাবেন, সেদিনই বিকালে নারায়ণগড়ে দলীয় বৈঠক করার কথা সূর্যবাবুর। সিপিএমের তরফে বলা হচ্ছে, সময় নিয়ে নির্দিষ্টভাবে সোনিয়া বা রাহুলের কর্মসূচি জানিয়ে দিলে দলের কে সেখানে যাবেন, তা ঠিক করতে সুবিধা হয়। আবার কংগ্রেস নেতৃত্বের যুক্তি, সোনিয়া-রাহুল পাঁচ রাজ্যে ভোটের প্রচারে ব্যস্ত। তাই তাদের সফরসূচি শেষ মুহূর্তে স্থির বা বদল হতেই পারে। ওয়েবসাইট।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।