পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
‘নেশা করি মাথা ঠিক নাই। হঠাৎ মেজাজ গরম হয়ে গেল। ইট দিয়ে তার মাথায় আঘাত করি, পরে দেখি সে মারা গেছে।’ এভাবে শিশু মোঃ সোহাগ (৮) খুনের বর্ণনা দিল মোঃ ইমন হোসেন (২০)। নগরীর পতেঙ্গা থানার স্টিল মিল বাজার এলাকার খালপাড়ে ওই শিশুকে ইট দিয়ে মাথায় উপর্যুপরি আঘাতের পর হত্যা করা হয়। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় ওই খুনের পর রাতেই পুলিশ ইমন হোসেনকে আটক করে। জিজ্ঞাসাবাদে সে খুনের দায়স্বীকার করে। গতকাল (শুক্রবার) মহানগর হাকিম মেহেনাজ রহমানের আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দিও দেয় ইমন।
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা (আইও) পতেঙ্গা থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) মোঃ জাকির হোসেন ইনকিলাবকে বলেন, আসামী ইমন হোসেন খুনের দায় স্বীকার করে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দিয়েছে। পরে তাকে কারাগারে পাঠানো হয়। জবানবন্দির বরাত দিয়ে জাকির হোসেন বলেন, ইমন জানিয়েছে, সে ৫০ টাকা দিয়ে সোহাগকে ফুসলিয়ে যৌন নির্যাতনের চেষ্টা করেছিল। সোহাগ রাজি না হওয়ায় তাকে খুন করা হয়। খুনের পর একটি পরিত্যক্ত ঘরে লাশ ফেলে সে পালিয়ে যায়। দুপুরে সোহাগকে ইমনের সাথে দেখা গেছে লোকজনের কাছ থেকে এমন তথ্য পেয়ে পুলিশ তাকে ধরে আনে। থানায় এসেই সে খুনের দায় স্বীকার করে। রিকশাচালক ইমন মাদকাসক্ত করেও জানান তিনি।
সোহাগের বাবা ফারুক হোসেন ভুঁইয়াও রিকশাচালক। তাদের বাড়ি ভোলা জেলার চরফ্যাশন উপজেলায়। নগরীর পতেঙ্গা থানার খালপাড় আহমেদ পাড়ায় ভাড়া বাসায় থাকেন। সোহাগের মা রেশমা আক্তার পোশাক কর্মী। ইমনের বাড়িও ভোলা জেলার চরফ্যাশন উপজেলায়। একই এলাকায় ভাড়া থাকে সে। প্রতিবেশি হিসাবে সোহাগ ছিল তার পরিচিত। বৃহস্পতিবার বিকেল সাড়ে ৪টায় ফারুক বাসায় ফেরার পর সোহাগকে না পেয়ে খোঁজাখুঁজি শুরু করেন। রাত সাড়ে ৮টায় ওই এলাকার শহীদ কলোনিতে একটি পরিত্যক্ত ঘরে সোহাগের লাশ খুঁজে পান ফারুক। ইটের আঘাতে তার মাথা থেতলে যায়। খবর পেয়ে রাতে পুলিশ ঘটনাস্থলে যায়। প্রাথমিক তদন্তে ইমনের সম্পৃক্ততা পেয়ে তাকে গ্রেফতার করে। এ ঘটনায় গভীর রাতে ফারুক বাদি হয়ে থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।