মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
ইনকিলাব ডেস্ক : কিউবার গুয়ানতানামো বে কারাগার থেকে আরও প্রায় একডজন বন্দিকে মুক্তি দেয়ার পরিকল্পনা করেছে যুক্তরাষ্ট্র। বর্তমানে বিশ্বব্যাপী কুখ্যাতি পাওয়া বন্দিশিবিরটিতে কারাবন্দির সংখ্যা প্রায় ৯১ জন। ২০০২ সালের ১১ জানুয়ারি গুয়ানতানামো কারাগারে প্রথম ২০ জন বন্দি পাঠানো হয়। ধীরে ধীরে বন্দির সংখ্যা প্রায় ৮০০ জনে উন্নীত হয়েছিল। খবরে বলা হয়েছে, মুক্তি পেতে যাওয়া এই বন্দিদের বিশ্বের অন্ততপক্ষে দু’টি দেশে পুনর্বাসিত করা হবে। আসছে সপ্তাগুলোতে এই বন্দিদের গুয়ান্তানামো কারাগার থেকে মুক্তি দেয়া হবে বলে আশা করা হচ্ছে। অবশ্য, যুক্তরাষ্ট্রের সেনাবাহিনীর পক্ষ থেকে বলা হয়নি মুক্তি পেতে যাওয়া বন্দিদের গন্তব্য কোন কোন দেশে হতে যাচ্ছে। একজন কর্মকর্তা রয়টার্সকে জানিয়েছেন, দীর্ঘদিন ধরে অনশনে থাকা ইয়েমেনি বন্দি তারিক বা ওদাহও মুক্তি পেতে যাওয়াদের মধ্যে রয়েছেন। ওবামা জানিয়েছেন, প্রতিবছর গুয়ান্তানামে বে কারাগারের পেছনে ব্যয় হয় প্রায় ৪৪ কোটি ৫০ লাখ মার্কিন ডলার। আর এটি যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় নিরাপত্তার জন্যও হুমকি। কিউবায় যুক্তরাষ্ট্রের সামরিক শিবিরে এই কারাগারটি স্থাপন করা হয়। এখানে যুক্তরাষ্ট্রের সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে যুদ্ধে শত্রু শিবিরের যোদ্ধাদের আটক করে রাখা হত। আটক বন্দিদের বেশিরভাগের বিরুদ্ধেই কোনো অপরাধের অভিযোগ গঠন করা হয়নি কিংবা তাদের বিচার হয়নি। ২০১৭ সালে প্রেসিডেন্ট পদ থেকে সরে যাওয়ার আগেই ওবামা গুয়ান্তানামো বে কারাগার বন্ধের চেষ্টা চালাচ্ছেন।
অবশ্য, রিপাবলিকান নিয়ন্ত্রিত কংগ্রেস বন্দিদের এ ধরনের পুনর্বাসনের ব্যাপারে কঠোর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে রেখেছে। এ ধরনের কোনো পদক্ষেপ গ্রহণের অন্ততপক্ষে ৩০ দিন আগে পেন্টাগনকে এইমর্মে প্রতিবেদন দিতে বলা হয়েছে যে, মুক্তি পেতে যাওয়া বন্দিরা নিরাপত্তার জন্য হুমকি হবেন না। যুক্তরাষ্ট্রের অভ্যন্তরে কোনো বন্দির মুক্তি কিংবা পুনর্বাসনের যেকোনো পদক্ষেপ আইনপ্রণেতারা প্রতিরোধ করে আসছেন। অস্থিতিশীল ও অনিরাপদ হওয়ার কারণে মুক্তিপ্রাপ্ত বেশিরভাগ বন্দিকে নিজ নিজ দেশে ফেরত পাঠানো সম্ভব হয় না। এ পর্যন্ত প্রায় ৫০টিরও বেশি দেশ গুয়ানতানামো বন্দিদের পুনর্বাসিত করেছে। বিবিসি, রয়টার্স।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।