নারী দিবস ম্যারাথনে পাপিয়া চ্যাম্পিয়ন
‘নিরাপদ সমাজ, নিরাপদ নারী’-স্লোগানে অনুষ্ঠিত নারী দিবস রেগুলার ম্যারাথনে রেগুলার বাংলাদেশের পাপিয়া খাতুন চ্যাম্পিয়ন, হামিদা
এবারের ঢাকা প্রিমিয়ার ডিভিশন ক্রিকেট লিগে প্রতিটা ম্যাচে ভালো শুরু করেও ইনিংসটাকে টেনে লম্বা করতে পারছিলেন না জুনায়েদ সিদ্দিক। অবশেষে পেলেন বড় ইনিংসের দেখা। সঙ্গে মাইশুকুর রহমানের ব্যাটেও ছিল সেঞ্চুরিপ্রায় ইনিংস। ব্রাদার্স ইউনিয়নও কলাবাগান ক্রিড়া চক্রের বিপক্ষে তিনশোর্ধো সংগ্রহ গড়ে জিতেছে ১৩১ রানের বড় ব্যবধানে।
ফতুল্লায় টস হেরে ব্যাটে নেমে দলীয় ৮ রানে ওপেনার মিজানুর রহমানকে হারায় ব্রাদার্স। তবে দ্বিতীয় উইকেটে জুনায়েদ-মাইশুকুরের ২০৫ রানের জুটিতে ম্যাচ নিয়ন্ত্রণে নিয়ে নেয় তারা। ১১১ বলে ১৬টি চার ও ২ ছক্কায় ১২৩ রান করেন জুনায়েদ। ৪ রানের জন্য লিস্ট ‘এ’ ক্রিকেটে নিজের প্রথম সেঞ্চুরিটি হাতছাড়া করেন মাইশুকুর। বাকিদের ছোট কিন্তু কার্যকরী অবদানে দলীয় সংগ্রহ দাঁড়ায় ৪ উইকেটে ৩১৭। জবাবে শুরু থেকেই উইকেট হারিয়ে ৪৫ ওভারে ১৮৬ রানে গুটিয়ে যায় কলাবাগান। আট নম্বর ব্যাটসম্যান অধিনায়ক মুক্তার আলীর (৬২*) কারণে জয় কিছুটা বিলম্বিত হয় ব্রাদার্সের।
তবে দিনের সবচেয়ে নান্দনিক ক্রিকেটীয় ইনিংস উপহার দেন শাইনপুকুরের সাদমান ইসলাম। মিরপুরে শেখ জামালকে ২৬২ রানে গুটিয়ে ৮ উইকেটে ম্যাচ জেতে তার দলও। এক সাদমানের কাছেই হার মানতে হয় জামালকে। ১৪৭ বলে অপরাজিত ১৪৪ রানের দুর্দান্ত ইনিংস খেলেন এই ওপেনার। ১৪২ রানে দ্বিতীয় উইকেট হারানোর পর তৌহীদ হৃদয়ের সঙ্গে (৫০*) জয় নিয়ে মাঠ ছাড়েন সাদমান। তার ওয়ানডীয় ইনিংসে ছিল ৯টি চার ও ২টি ছক্কার মার।
বিকেএসপির তিন নম্বর মাঠে খেলাঘর সমাজ কল্যাণ সমিতিকে ৬ উইকেটে হারায় লিজেন্ড অব রূপগঞ্জ। বৃথা গেছে খেলাঘরের ওয়ানডাউন ব্যাটসম্যান রবিউল ইসলাম রবির শতক। উইকেটরক্ষক-ব্যাটসম্যান মহিদুল ইসলাম অঙ্কনকে নিয়ে দ্বিতীয় উইকেটে ১৮২ রানের জুটি গড়েন রবি। তবে বল একটু বেশিই নষ্ট করেছেন দুজন। রবির ১১৬ রানের ইনিংসটি ১৩৮ বলের। ১২৫ বল খেলে ৮০ রান করেন অঙ্কন। শেষ দিকে বাকিরাও সপাটে ব্যাট চালাতে পারেননি। মাত্র ৪ উইকেট হারিয়েও তাই ২৫৯ রানে থেমে যায় খেলাঘরের ইনিংস। টপ অর্ডারদের দৃড়তায় যা ২১ বল ও ৬ উইকেট হাতে রেখে পেরিয়ে যায় রূপগঞ্জ। সর্বোচ্চ ৮০ রান করেন মোহাম্মাদ নাঈম।
অষ্টম রাউন্ড শেষে সমান ৫ জয়ে পয়েন্ট তালিকার দুই ও তিন নম্বরে শাইনপুকুর ও রূপগঞ্জ। চারটি করে জয়ে শেখ জামাল, ব্রাদার্স ইউনিয়ন ও খেলাঘর যথাক্রমে ছয়, সাত ও আটে। মাত্র দুটি জয় নিয়ে তলানীতে কলাবাগান। সাত জয়ে সবার উপরে আবাহনী লিমিটেড।
সংক্ষিপ্ত স্কোর
ব্রাদার্স ইউ.-কলাবাগান, ফতুল্লা
ব্রাদার্স ইউ. : ৫০ ওভারে ৩১৭/৪ (জুনায়েদ ১২৩, মাইশুকুর ৯৬, কাপালী ২৬, রমন ২২*, ইয়াসির ৩০*; হাসান ১/৫৪, মুক্তার ১/৭১, মাহমুদুল ১/৩৯)।
কলাবাগান : ৪৫ ওভারে ১৮৬ (তাসামুল ৪৪, আকবর ৩৫, মুক্তার ৬২*; খালেদ ১/৩০, শুভ ৩/৩৯, শাখাওয়াত ২/৩১, রানা ২/৩১, কাপালী ১/২২)।
ফল : ব্রাদার্স ইউনিয়ন ১৩১ রানে জয়ী।
ম্যাচ সেরা : জুনায়েদ সিদ্দিক (ব্রাদার্স ইউ.)।
শেখ জামাল-শাইনপুকুর, মিরপুর
শেখ জামাল : ৪৯.৫ ওভারে ২৬২ (সৈকত ২৩, হাসান ৬১, জিয়া ৭৯, সানি ২৮; সাইফ ২/৫৬, সুজন ২/৫৭, শুভাগত ২/৪৮, আফিফ ১/১৬, গাফ্ফার ২/১৪)।
শাইনপুকুর : ৪৮.৩ ওভারে ২৬৩/২ (ফারদিন ৩৮, সাদমান ১৪৪*, হৃদয় ৫০*; সোহাগ ১/৪৬, রবিউল ১/৪৯)।
ফল : শাইনপুকুর ৮ উইকেটে জয়ী।
ম্যাচ সেরা : সাদমান ইসলাম (শাইনপুকুর)।
খেলাঘর-রূপগঞ্জ, বিকেএসপি ৩
খেলাঘর : ৫০ ওভারে ২৫৯/৪ (মাহিদুল ৮০, রবি ১১৬, অমিত ১৬, মেনারিয়া ১০*, মাসুম ১৯*; মোশাররফ ১/৪৭, শহীদ ১/৪৬, শরীফ ১/৫১, আসিফ ১/৩৩)।
রূপগঞ্জ : ৪৬.৩ ওভারে ২৬২/৪ (মজিদ ৪১, পাপ্পু ৩৫, নাইম ৮২, নাঈম ৭০; রাফসান ২/৩৫)।
ফল : রূপগঞ্জ ৬ উইকেটে জয়ী।
ম্যাচ সেরা : মোহাম্মদ নাইম (রূপগঞ্জ)।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।