Inqilab Logo

শুক্রবার ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ০৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২০ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

চুনারুঘাটের এসিল্যান্ড অফিসে ঘুষ বাণিজ্য

| প্রকাশের সময় : ৯ মার্চ, ২০১৮, ১২:০০ এএম

চুনারুঘাট (হবিগঞ্জ) উপজেলা সংবাদদাতা : প্রকাশ্যে ঘুষ বাণিজ্য চলছে হবিগঞ্জের চুনারুঘাট এসিল্যান্ড অফিসে। উপজেলার বিভিন্ন তফসিল অফিস থেকে মাসে লাখ লাখ টাকা ঘুষ আদায় হচ্ছে। ভুক্তভোগীরা সংশ্লি­ষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে অভিযোগ করেও কোনো প্রতিকার পাননি। এক ভুক্তভোগী ছয় ভাইয়ের ক্রয় করা দেড় একর জমি নামজারি ও খারিজ করার জন্য চার মাস আগে তিনি চুনারুঘাট ভ‚মি অফিসে আবেদন করেন। আবেদন করার ২০-২৫ দিন পর তিনি এসিল্যান্ডকে জানান। তারপর কানোনগো বশির আহমেদের দেখিয়ে দেয়া তৃতীয় ব্যক্তির সঙ্গে যোগাযোগ করলে তিনি দুদিনের ভেতর কাজটি করে দেয়ার বিনিময়ে ৫০ হাজার টাকা দাবি করেন। ওই ভুক্তভোগী বিষয়টি এসিল্যান্ড তাহমিনা আক্তারকে জানালে ৪৫ কর্মদিবস পর্যন্ত অপেক্ষা করার পরামর্শ দেন। টাকা দিলে যেখানে দুই দিনেই কাজ হয়ে যায়, সেখানে ৪৫ দিন অপেক্ষা করার কী মানে দাঁড়ায় তা বুঝতে কষ্ট হয় ওই ভুক্তভোগীর। উপজেলার জালিয়ার বস্তি গ্রামের ভুক্তভোগী রাহাত মিল্টন জানান, ৫০ শতক জমি খারিজ করার জন্য তাকে ৩০ হাজার টাকা খরচ করতে হয়েছে। ঘুষ দিলে প্রয়োজনীয় কাগজপত্র ছাড়াই একশ্রেণির কর্মকর্তা-কর্মচারী ভ‚মি ক্রয়-বিক্রয়সহ সকল রেজিস্ট্রেশনের ব্যবস্থা করে দিচ্ছেন বলে অভিযোগ রয়েছে। জমি বিক্রয় বা হস্তান্তরের ক্ষেত্রে নাল জমির ফি একরকম ভিটা, জলাভ‚মির হস্তান্তরের ভিন্ন ফি নির্ধারিত রয়েছে। কিন্তু কোনো কোনো অসাধু কর্মকর্তা-কর্মচারী সে অনুযায়ী ভ‚মি হস্তান্তরের ক্ষেত্রে প্রকার নির্ণয়পূর্বক ফি আদায় না করায় সরকার একদিকে রাজস্ব হারাচ্ছে, অন্যদিকে এসব দুর্নীতিবাজ কর্মকর্তা-কর্মচারী লাভবান হচ্ছেন। এ বিষয়ে জানতে চাইলে চুনারুঘাটের সহকারী কমিশনার (ভ‚মি) তাহমিনা আক্তার এ প্রতিনিধিকে বলেন, আমি এসবের কিছুই জানি না। সব অভিযোগ মিথ্যে। আমার অফিসে কোনো অনিয়ম হয় না।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ