Inqilab Logo

রোববার ১৭ নভেম্বর ২০২৪, ০২ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ১৪ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

’২০ সালে বঙ্গবন্ধুর শততম জন্মবার্ষিকী পালন

ঐতিহাসিক সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ঘোষণা

স্টাফ রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ৮ মার্চ, ২০১৮, ১২:০০ এএম | আপডেট : ৯:৪০ পিএম, ৮ মার্চ, ২০১৮

২০২০ সালে রাষ্ট্রীয় ক্ষমতায় থেকে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের শততম জন্ম বার্ষিকী পালনের আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বলেছেন, আমরা আগামী ২০২০ সালে বঙ্গবন্ধুর শততম জন্মবার্ষিকী পালন করবো। ২০২১ সালে স্বাধীনতার সুবর্ণ জয়ন্তী পালন করবো এবং ২০২১ সালে উন্নয়নশীল দেশে পৌঁছাবো। ২০৪১ সালে উন্নত সমৃদ্ধ দেশ হিসেবে বাংলাদেশকে বিশ্ব দরবারে পরিচিত করবো। গত ৯ বছরে দেশে অনেক উন্নয়ন হয়েছে। এ সব উন্নয়নের কথা জনগণের মধ্যে তুলে ধরতে হবে। শুধু যা করা হয়েছে তাই নয়, যে সব ক্ষেত্রে উন্নয়ন করা হবে তাও বিস্তারিত তুলে ধরতে হবে। ঐতিহাসিক ৭ই মার্চ উপলক্ষে গতকাল বুধবার সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে আওয়ামী লীগ আয়োজিত সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি এসব কথা বলেন। তিনি আরো বলেন, এ দেশে বঙ্গবন্ধুর ৭ই মার্চের ভাষণ বাজানোর কোনো অধিকার ছিল না। যেখানেই বাজানো হতো সেখানেই বাধা দেওয়া হতো। তবুও আমি বলেছি সব বাধা উপেক্ষা করেই ৭ই মার্চে ভাষণ বাজাতে হবে। এ ভাষণ বাজাতে গিয়ে অনেকে নির্যাতিত হয়েছেন, আহত হয়েছেন। তবুও এ ভাষণ থেমে থাকেনি। গত আড়াই হাজার বছরে পৃথিবীতে যত ভাষণ হয়েছে, গবেষণা করে তার মধ্যে ৪১টি ভাষণ বেছে নেওয়া হয়েছিল। তার মধ্যে স্থান পেয়েছিল বঙ্গবন্ধুর ৭ মার্চের ভাষণ। ইউনেস্কো ৪১টি ভাষণের মধ্যে বঙ্গবন্ধুর ভাষণটিকে বেছে নিয়েছে। কারণ এটি ছিল অলিখিত; কিন্তু দিকনির্দেশনামূলক।
সমাবেশ উপলক্ষ্যে সকাল থেকেই রাজধানীর বিভিন্ন সড়ক ধরে ঢাকা ও আশপাশের জেলাগুলো থেকে খÐ খÐ মিছিল আসে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে। এসব মিছিলে ছিল সভা উপলক্ষে তৈরি নানা প্রতিকৃতি ও পোস্টার। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ছবিবাহী পোস্টার ও প্রতিকৃতি ছিল অনেক নেতাকর্মীর হাতে। রাজধানীর বিভিন্ন এলাকার স্থানীয় নেতাদের ছবি সম্বলিত পোষ্টারও দেখা যায় বিস্তর। সমাবেশ উপলক্ষ্যে সকাল থেকে রাস্তায় যানবাহন ছিল কম। বাস না থাকায় অফিসগামীদের অসুবিধায় পড়তে হয়। মানুষকে ঘন্টার পর ঘন্টা দাঁড়িয়ে থাকতেও দেখা যায়। তবে বেলা দুইটার মধ্যে জনসমুদ্রে পরিণত হয় পুরো উদ্যান এলাকা। ঐতিহাসিক এই সোওরাওয়ার্দী উদ্যানে আজ থেকে ৪৭ বছর আগে ১৯৭১ সালের এই দিনে (৭ মার্চ) দাঁড়িয়ে তাঁর (শেখ হাসিনা) বাবা শেখ মুজিবুর রহমান স্বাধীনতার ডাক দিয়ে বলেছিলেন, ‘এবারের সংগ্রাম আমাদের মুক্তির সংগ্রাম। এবারের সংগ্রাম স্বাধীনতার সংগ্রাম।’ সেই দিবসটি পালন উপলক্ষ্যে আয়োজিত সমাবেশে বেলা ৪টা ৪০ মিনিটে ভাষণ শুরু করেন তাঁরই (বঙ্গবন্ধু) প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ৪০ মিনিটের ভাষণ তিনি বাংলাদেশের স্বাধিকার থেকে স্বাধীনতা আন্দোলনের ইতিবৃত্ত, একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধ, ১৯৭৫-এর ১৫ আগস্ট থেকে শুরু করে জেলহত্যার ঘটনা, পরের বাংলাদেশের রাজনৈতিক ঘটনাপ্রবাহ তুলে ধরেন। শেখ হাসিনার ভাষণের বড় অংশজুড়ে একদিকে ছিল বিএনপির বিরুদ্ধে বিয়োদগার অন্যদিকে উন্নয়নের পথে এগিয়ে আসার আহŸান।
‘ইতিহাস কেউ মুঁছে ফেলতে পারে না এবং ইতিহাস প্রতিশোধ নেয়’ দৃঢ়তার সঙ্গে এই মন্তব্য করে শেখ হাসিনা বলেন, বঙ্গবন্ধুর ৭ মার্চের অমর ভাষণ এখন বিশ্ব ঐতিহ্যের অংশ। এই ভাষণ তথা তাঁর সংগ্রামী জীবনের অবদানকে মুছে ফেলার সব ধরনের চেষ্টা করা হয়েছে। জাতির পিতাকে হত্যার পর মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস বিকৃতি করা হয়েছিল। কিন্তু ইতিহাসকে নিশ্চিহ্ন করে দেয়া যায়নি। ইতিহাস প্রতিশোধ নেয়। জাতির পিতা গ্রেফতার হওয়ার আগে ’৭১ সালের ২৬ মার্চের প্রথম প্রহরে ইপিআর ওয়ারলেসের মাধ্যমে দেশ থেকে শত্রæদের বিতাড়িত করা পর্যন্ত লড়াই চালিয়ে যাওয়ার নির্দেশ দিয়েছিলেন। দেশকে স্বাধীন করতে জাতির পিতার নির্দেশে জনগণ ঘরে ঘরে দুর্গ গড়ে তুলে যার যা যা ছিল তা নিয়ে মুক্তিযুদ্ধের প্রস্তুতি নিয়েছিল। তিনি বলেন, দক্ষিণ এশিয়ায় একটা ভাষাভিত্তিক দেশ হিসেবে বাংলাদেশকে পরিচিতি লাভ করিয়েছিলেন জাতির পিতা। ’৪৭ সালের দেশ ভাগের পর থেকেই এদেশের মানুষ ছিল শোষিত-বঞ্চিত। তাদের ভাগ্য পরিবর্তনের জন্য, অর্থনৈতিক মুক্তির জন্য, রাজনৈতিক মুক্তির জন্যই ছিল জাতির পিতার সারাজীবনের আন্দোলন-সংগ্রাম। ফলাফল তিনি গ্রেফতার, নির্যাতিত হয়েছেন, বারবার বন্দি হয়েছেন। আমাদের যুবসমাজ একসাথে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে সংগ্রাম করেছে। কিন্তু আমাদের দুর্ভাগ্য মাত্র সাড়ে ৩ বছর হাতে সময় পেয়েছিলেন জাতির পিতা। এ অল্প সময়ে একটা দেশকে অনেক দূর নিয়ে গিয়েছিলেন। জাতির পিতা সবুজ বিপ্লবের ডাক দিয়েছিলেন। ঠিক সেই মুহূর্তে (১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট) চরম আঘাত আসে। কী অন্যায় তিনি করেছিলেন? দেশকে স্বাধীনতা এনে দিয়েছিলেন। এজন্য তাকে নির্মমভাবে হত্যা করা হয়েছে? কেন্দ্রীয় কারাগারে ঘাতকরা জাতীয় চার নেতাকেও হত্যা করে।
বঙ্গবন্ধু হত্যার বিচার প্রসঙ্গে শেখ হাসিনা বলেন, একটি দেশে যখন কোনো খুন হয়, তখন সবাই চিৎকার করে বিচার চায়। ’৭৫ এ যখন আমি মা হারিয়েছি, বাবা হারিয়েছি, স্বজন হারিয়েছি তখন কোথাও বিচার চাইতে পারিনি। ১৯৮১ সালে ফিরে এসে মামলা করতে গেছি, তখনও মামলা নেবে না। সংসদে ইনডেমিনিটি বিল পাস করে খুনের বিচার চাওয়ার পথ বন্ধ করে দিয়েছিল খুনিরা। বঙ্গবন্ধুর খুনিদের পুরস্কার হিসেবে চাকরি দেয়া হয়েছিল। একটি স্বাধীন দেশে এটা কখনও হতে পারে না?
২১ বছর পর ১৯৯৬ সালে ক্ষমতায় এসে দেশে ব্যাপক উন্নয়ন করার পরও কেবল দেশের প্রাকৃতিক গ্যাস বিক্রি করতে না চাওয়ায় ২০০১ সালে ক্ষমতায় আসতে পারেননি মন্তব্য করে শেখ হাসিনা বলেন, দেশের জন্য এতকিছু করার পরও আমরা ২০০১ সালে সরকারে আসতে পারলাম না। তখন দেশের গ্যাস উত্তোলন করার প্রক্রিয়া চলছিল। আমেরিকান কোম্পানি সেই গ্যাস তুলে ভারতের কাছে বিক্রি করবে। কিন্তু আমরা বললাম, গ্যাসের মালিক জনগণ। আমাদের জনগণের জন্য ৫০ বছরের রিজার্ভ নিশ্চিত করতে হবে, তারপর গ্যাস বিক্রির সিদ্ধান্ত হবে। দেশের জনগণের এই স্বার্থ দেখেছিলাম বলে আমাদের বিরুদ্ধে গভীর চক্রান্ত হলো, ষড়যন্ত্র হলো। ওই নির্বাচনে আওয়ামী লীগ ভোট বেশি পেয়েছিল। কিন্তু আমরা ক্ষমতায় আসতে পারলাম না। দেশের মানুষের স্বার্থ দেখার কারণে সে সময় আমাদের ক্ষমতায় আসতে দেওয়া হয়নি। তিনি আরো বলেন, ১৯৭৫ সালে বঙ্গবন্ধুকে হত্যার ২১ বছর পর আমরা সরকার গঠন করতে সক্ষম হয়েছি। আমাদের লক্ষ্য ছিল বাংলাদেশের মানুষের মুখে হাসি ফোটাবো, দেশকে উন্নত করবো। দেশকে ক্ষুধামুক্ত, দারিদ্র্যমুক্ত করা ছিল আমাদের লক্ষ্য। আমরা বাংলাদেশকে মর্যাদার আসনে আসীন করবো। আমাদের সরকারের সময় ছিল বাংলাদেশের জন্য স্বর্ণযুগ। বাংলাদেশ খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণ হয়েছিল। আমরা দেশের প্রতিটি খাতকে উন্নত করতে কাজ করেছি। জাতির পিতা সোনার বাংলাদেশ গড়তে যে কাজ শুরু করেছিলেন, সেই কাজ আমরা শেষ করার চেষ্টা করেছিলাম।
বাংলাদেশের মাটিকে মাদক, জঙ্গিবাদ, সন্ত্রাস থেকে রক্ষা করতে প্রশাসনিক কর্মকর্তা, অভিভাবক, শিক্ষক, মাদরাসার ইমামসহ অন্য ধর্মের মানুষকে এগিয়ে আসার আহবান জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ২০ লক্ষ মায়ের কাছে মোবাইল ছিল না। আমরা মোবাইল কিনে তাদের কাছে পৌঁছে দিয়েছি। ডিজিটাল বাংলাদেশ করেছি। দেশে ফোর-জি নেটওয়ার্ক চালু করেছি। গ্রামে বসে অনলাইনে সবকিছু যাতে পায় সেজন্য পৃথিবীর মধ্যে সবচেয়ে বড় তথ্য বাতায়ন করে দিয়েছি। আমরা খাদ্য উৎপাদন বৃদ্ধি করেছি। মাছ উৎপাদনে আমরা চতুর্থ, চাল উৎপাদনে চতুর্থ স্থান পেয়েছি, ২৬ হাজার কিলোমিটার রাস্তা ঠিক করে দিয়েছি। পদ্মা সেতু, ৪৯টা অন্যান্য বড় সেতু করে দিয়েছি। চা রফতানিতে পাঁচটি দেশের একটি বাংলাদেশ। সে সম্মান আমরা অর্জন করতে পেরেছি। আগামী মাসে বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট উদ্বোধন করবো। আমরা বিশ্বসভায় মাথায় উঁচু করে চলবো, জাতির পিতা সে শিক্ষা আমাদের দিয়ে গেছেন।
আগামী নির্বাচনে বিএনপি ও জামায়াতকে ভোট দিয়ে ক্ষমতায় না আনার আহবান জানিয়ে শেখ হাসিনা বলেন, আওয়ামী লীগ দেশের মানুষের উন্নয়নের জন্য কাজ করে থাকে। আমাদের লক্ষ্য জনগণের উন্নয়ন। আজ বাংলাদেশ উন্নয়নশীল দেশের স্বীকৃতি পেতে যাচ্ছে। কিন্তু এর আগে যারা সরকারে ছিল, সেই জিয়া সরকার, এরশাদ সরকার বা খালেদা জিয়ার সরকারের সময় দেশে তো এত উন্নত হয়নি। তাই আপনাদের কাছে আমার আহŸান, যুদ্ধাপরাধী-খুনিরা যেন ক্ষমতায় আসতে না পারে, সেজন্য সবাই সতর্ক থাকবেন। জিয়া পরিবারকে দুর্নীতিবাজ হিসেবে অবিহিক করে তিনি বলেন, ১৯৮১ সালে জিয়াউর রহমানের মৃত্যুর সময় নাকি পরিবারের জন্য কিছুই রেখে যেতে পারেননি। কিন্তু খালেদা জিয়া ক্ষমতায় আসার পর লুটপাট-দুর্নীতির মাধ্যমে তারা রাতারাতি সম্পদের পাহাড় গড়ে তুললো; দেশের টাকা বিদেশে পাচার করলো। আমেরিকার ফেডারেল কোর্ট, সিঙ্গাপুরের কোর্টে সেই অর্থ পাচারের ঘটনা ধরা পড়লো। সেই টাকা বাজেয়াপ্ত করা হলো; আমরা দেশে ফেরত আনলাম। দেশের উন্নয়নের গতিকে অব্যাহত রাখতে আগামী নির্বাচনে আওয়ামী লীগকে জয়ী করার আহŸান জানিয়ে শেখ হাসিনা বলেন, যারা এতিমদের টাকা চুরি করেছে তারা যেন আর ক্ষমতায় আসতে না পারে, সেজন্য সবার কাছে আহŸান জানাই।
দুপুর আড়াইটায় পবিত্র কোরআন তেলোয়াত, গীতা, বাইবেল ও ত্রিপেটক থেকে পাঠের মাধ্যমে জনসভা শুরু হয়। অনুষ্ঠানের শুরুতে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের সূচনা বক্তব্য রাখেন। দলের প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ ও সংস্কৃতি বিষয়ক সম্পাদক অসীম কুমার উকিলের পরিচালনায় সভায় অন্যান্যের মধ্যে বক্তৃতা করেন জাতীয় সংসদের উপনেতা সৈয়দা সাজেদা চৌধুরী, আওয়ামী লীগ উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য শিল্পমন্ত্রী আমির হোসেন আমু, বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ, কৃষিমন্ত্রী বেগম মতিয়া চৌধুরী, শেখ ফজলুল করিম সেলিম, স্বাস্থ্যমস্ত্রী মোহাম্মদ নাসিম, অ্যাডভোকেট সাহারা খাতুন, লে কর্নেল (অব) ফারুক খান, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর কবির নানক, সাংগঠনিক সম্পাদক খালিদ মাহমুদ চৌধুরী, পাট প্রতিমন্ত্রী মির্জা আজম, কবি নির্মলেন্দু গুণ, মহানগর আওয়ামী লীগ উত্তরের সভাপতি এ কে এম রহমতুল্লাহ, মহানগর আওয়ামী লীগ দক্ষিণের সভাপতি হাজী আবুল হাসনাত, যুবলীগ সাধারণ সম্পাদক হারুর অর রশিদ, ঢাকা সিটি কর্পোরেশন দক্ষিণের মেয়র সাঈদ খোকন, আওয়ামী আইনজীবী পরিষদ সদস্য সচিব ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস, মহিলা আওয়ামী লীগ সভাপতি সাফিয়া খাতুন, শ্রমিক লীগ সভাপতি শুক্কুর মাহমুদ, কৃষক লীগ সভাপতি, মোতাহার হোসেন মোল্লা, স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি মোল্লা আবু কাওসার, মহিলা লীগের সভাপতি নাজমা আক্তার, ছাত্রলীগের সভাপতি সাইফুর রহমান সোহাগ প্রমূখ।
এর আগে ঐতিহাসিক ৭ই মার্চ উপলক্ষে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতিতে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সকালে ধানমন্ডির ৩২ নম্বরে বঙ্গবন্ধু ভবনে প্রধানমন্ত্রীর শ্রদ্ধা জানানোর পর আওয়ামী লীগের সভাপতি হিসেবে দলের জ্যেষ্ঠ নেতাদের সঙ্গে নিয়ে তিনি বঙ্গবন্ধুর প্রতি শ্রদ্ধা জানান। এরপর আওয়ামী লীগের বিভিন্ন অঙ্গ, সহযোগী ও ভ্রাতৃপ্রতিম সংগঠনের নেতা-কর্মীরা বঙ্গবন্ধুর প্রতি শ্রদ্ধা জানান।



 

Show all comments
  • Fahim Hasan Rubel ৮ মার্চ, ২০১৮, ৬:৪১ এএম says : 0
    Akta valo uddog
    Total Reply(0) Reply
  • Mohammed Shah Alam Khan ৮ মার্চ, ২০১৮, ৮:২২ এএম says : 0
    বাংলার মানুষ ৭ই মার্চ জাতীর জনকের কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছ থেকে জনকের মত করে কিছু দিক নির্দেশনা মূলক নতুন কিছু শুনার প্রত্যাশায় ছিলো কিন্তু জননেত্রী শাখ হাসিনা সবাইকে বিমুখ করেছেন। তিনি একটি গতানুগতিক বক্তৃতা দিয়েছেন গত কাল ৭ মার্চ রেসকোর্স ময়দানে। জামাত-বিএনপি, খালেদা জিয়া ও তার পরিবার, উন্নয়ন, ইতিহাস এসব আমরা ওনার কাছ থেকে প্রতিনিয়ত শুনে আসছি ধারা বাহিক ভাবে। কিন্তু ৭ মার্চ আমরা শেখ হাসিনার কাছ থেকে আগামী নির্বাচনের কর্মপদ্ধতি নিয়ে আন্তর্জাতিক বিষয়ের উপর যেমন রোহিঙ্গা, মায়ানমারের সৈন্য সমাবেশ ইত্যাদি নতুন বিষয় নিয়ে কিছু শুনতে চেয়েছিলাম। কিন্তু দুঃখজনক হলেও সত্য তিনি আমাদেরকে নিরাশ করেছেন। যাক এখন সময়ের হাতেই ভবিষৎকে ছেড়ে দিয়ে বসে থাকা ছাড়া আর কিছুই করার নেই। আল্লাহ্‌ আমাদের দেশকে আল্লাহ্‌ যেভাবে নিয়ন্ত্রণ করার বিধান করে দিয়েছেন সেভাবে আমাদের নেতারা দেশকে পরিচালনা করতে পারেন। আমীন
    Total Reply(0) Reply

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: প্রধানমন্ত্রী

৩১ জানুয়ারি, ২০২৩

আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ