কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার চরএলাহী ইউনিয়নের গাংচিল আশা বাজারে আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে যুবলীগের দুই গ্রæপের সংঘর্ষ হয়। এতে ইউনিয়ন যুবলীগের সাবেক সভাপতিসহ উভয় পক্ষের ২২ জন আহত হয়। এলাকাবাসীর সূত্রে জানা যায়, গতকাল মঙ্গলবার সকাল ১১টা ৮নং চরএলাহী ইউনিয়রে দক্ষিণ গাংচিল আশা বাজারে গাংচিল ইউপি সদস্য মোজাম্মেল মানবন্ধনের আয়োজন করে। মানবন্ধনে যুবলীগ নেতা দেলোয়ার বাহিনীর দেলোয়ারের নেতৃত্বে ইসমাইল, হেলাল, মাসুদ ও সেলিম দেশীয় অস্ত্র নিয়ে হামলা চালিয়ে এলোপাতাড়ি গুলি করে। মানবন্ধনে দেলোয়ার বাহিনীর ক্যাডার ইসমাইল, হেলাল, মাসুদ ও সেলিমের নেতৃত্বে হামলা চালায় এবং দেশীয় অস্ত্র দিয়ে এলোপাতাড়ি গুলি করে। এতে উভয় পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ বেঁধে যায়। সংঘর্ষের এক পর্যায়ে মোজাম্মেল বাহিনীর প্রধান মোজাম্মেল মেম্বার গুলিবিদ্ধ হয় এবং উভয় পক্ষের কমপক্ষে ২২ জন আহত হয়। আহত বাবলু (১৭), মোহাম্মদ আলী (৩৭), মোঃ বলি (৩৫), মোঃ হেঞ্জু মিয়া (৩৮), নুর আলম (৩০) কে নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
অপরদিকে দেলোয়ার বাহিনীর বাহিনীর খোকন (৩০), দেলোয়ার (৩৫) সহ অন্যদেরকে উপজেলার বিভিন্ন ক্লিনিকে ভর্তি করা হয়। গত ২৬ ফেব্রæয়ারী রাতে দোলোয়ার বাহিনীর লোকজন মোজ্জামেল মেম্বারের বাড়িতে হামলা বোমা বিষ্ফোরণ ও লুটপাট চালায়। এর প্রতিবাদে গতকাল সকাল ১১টায় গাংচিলের আশা বাজারে মোজাম্মেল বাহিনী মানবন্ধনের আয়োজন করে।
কোম্পানীগঞ্জ থানার ওসি (তদন্ত) রবিউল হক জানান, মোজাম্মেলের বিরুদ্ধে কোম্পানীগঞ্জ থানায় নারী নির্যাতন, ধর্ষণ, মারামারি খুনসহ ৫টি মামলা রয়েছে।