রামগতিতে আ.লীগ নেতাকে বহিষ্কার
লক্ষ্মীপুরের রামগতি উপজেলার চরআলগী ইউপি নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে বিদ্রোহী প্রার্থী হওয়ায় ইউনিয়ন আ.লীগের সাধারণ সম্পাদক সাহেদ আলী মনুকে দলীয় পদ থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে। গত
চলতি মৌসুমে দামুড়হুদার আমবাগানগুলো মুকুলে ছেয়ে গেছে। মৌমাছি, ভ্রমরসহ নানারকম কীটপতঙ্গের গুনগুনানি আর মৌ মৌ গন্ধে এলাকা মাতোয়ারা হয়ে উঠেছে। আমবাগান পরিচর্যায় ব্যস্ত সময় পার করছেন বাগানমালিক ও ব্যবসায়ীরা। মালিকরা তাদের আম বাগানগুলো আম ব্যবসায়ীদের নজরে আনতে এবং গাছে অধিক ফলের আশায় নানাভাবে মুকুলের যত্ন নিতে মরিয়া হয়ে উঠেছেন। ইতোমধ্যে মৌসুমী আম ব্যবসায়ীরাও ঘুরে দেখতে শুরু করেছেন এলাকার বিভিন্ন আমবাগান। এবার ছোট-বড়, দেশি-হাইব্রিড মিলে সব জাতের আমগাছে প্রচুর মুকুল দেখা দিয়েছে। অভিজ্ঞজনদের ধারনা বড় ধরনের কোনো প্রাকৃতিক দুর্যোগ দেখা না দিলে আমের বাম্পার ফলন হবে।
উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় বাগান আকারে ২৬০ হেক্টর এবং পতিত জমি ও বসত বাড়ির সাথে ১৪০ হেক্টর মোট ৪০০ হেক্টর জমিতে বিভিন্ন জাতের আমগাছ রয়েছে। এসব গাছ থেকে চলতি মৌসুমে আম উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে সাড়ে চার হাজার মেট্রিক টন। উপজেলার আটটি ইউনিয়ন ও একটি পৌরসভায় নানা প্রজাতির আম বাগান রয়েছে। এইসব বাগানে রয়েছে হিমসাগর, ফজলি, ল্যাংড়া, বোম্বাই, কাঁচামিঠা, আম্রপালি, রূপালিসহ দেশি ও হাইব্রিড নানা প্রজাতির আম গাছ।
এলাকা ঘুরে দেখা গেছে, সম্প্রতি বছরগুলোতে উল্লেখযোগ্য পরিমাণ জমিতে নুতন নুতন আমবাগান তৈরি হয়েছে। বাগান মালিক ও ব্যাবসায়ীদের অনেকে জানান, কৃষি অফিসের হিসেবের চেয়ে বর্তমানে অনেক বেশি জমিতে আমবাগান রয়েছে। আমবাগান করে লাভবান হওয়ায় প্রতি বছর বাগানের সংখ্যা ও পরিমাণ বাড়ছেই।
উপজেলার আমবাগান ব্যবসায়ী জগন্নাথপুরের আসাদুল, রশীদ, চন্দ্রবাসের নাজিম ও শামসুল হক বলেন, গত বছর যে সমস্ত আম গাছে ফুল ও ফল আসেনি ব্যবসায়ীদের নিকট সেসব আমবাগানের চাহিদা বেশি। তাই মালিকরাও বাগানের ধরন বুঝে ব্যবসায়ীদের কাছে সেরকম দাম হাঁকছেন। পৌষ, মাঘ মাস থেকেই দেশের বিভিন্ন মোকামের পাইকারি আম ব্যবসায়ীরা দামুড়হুদা উপজেলার স্থানীয় আম ব্যাবসায়ীদের সাথে নিয়ে বাগান কেনার জন্য তদবির শুরু করেছেন। ব্যবসায়ীরা অনেকে বাগান কিনে ভালো ফলন পেতে নিজেদের মতো করে আমগাছে ও মুকুলের পরিচর্যা করছেন। অনেক বাগান মালিকরা মুকুল আসার আগে থেকেই নিজেরা বাগানে বালাইনাশক ও হরমোন স্প্রে করে যত্ন নিচ্ছেন।
উপজেলার আমবাগান মালিক গোবিন্দপুর গ্রামের নুরুল ইসলাম মাস্টার, সুলতানপুর গ্রামের লিটন, দশমী গ্রামের বশির, চন্দ্রবাস গ্রামের শামসুল হক, নাজিম, পারকৃষ্ণপুর গ্রামের জসিম ও আ. হামিদ বলেন, এসময় আমরা বাগানে নানারকম বালাইনাশক ও হরমোন স্প্রে করি। এই বালাইনাশক স্প্রে করলে বাগানে বিভিন্ন ছত্রাক ও ক্ষতিকর পোকামাকড় মারা যায় এবং হরমোন স্প্রে করার ফলে আমের মুকুল সতেজ হয়। নুরুল ইসলাম মাস্টার জানান, তার নিজস্ব জমিতে ১৬ বিঘা জমিতে হিমসাগর ও বোম্বাই জাতের বাগান করেছেন। ছয়-সাত বছর ধরে ফলন পাচ্ছেন। এবার সব গাছেই প্রচুর মুকুল এসেছে।
বাগান ব্যবসায়ী চন্দ্রবাস গ্রামের নাজিম উদ্দিন বলেন, আমার দীর্ঘদিনের অভিজ্ঞতা থেকে মনে হচ্ছে, এবার সব গাছেই যেভাবে মুকুল এসছে তাতে বড় ধরনের কোনো প্রাকৃতিক দুর্যোগ না হলে বাম্পার ফলনের আশা করা যায়।
আমবাগানে ওষুধ স্প্রেকারী দশমী গ্রামের লিয়াকত, এরশাদ ও জুয়েল বলেন, শীত মৌসুমের শুরুতেই বাগানে স্প্রে করার কাজ চলছে জোরেশোরে এবং আমাদের আয়ও ভালো হচ্ছে। প্রতি বছরই আমরা এই সময় অনান্য কাজের পাশাপাশি আমবাগানে ওষুধ স্প্রে করে বাড়তি আয় করে থাকি। গাছে ওষুধ স্প্রে করতে গিয়ে আমরা বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখেছি। তাতে মনে হচ্ছে, এবার আমের বাম্পার ফলন হবে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।