পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
বিশেষ সংবাদদাতা : ঢাকা-জামালপুর রেলপথে যে কোনো ট্রেনে টিকিট পাওয়া কষ্টসাধ্য। এই রুটে প্রতিটি ট্রেনে প্রতিদিনই উপচে পড়া ভিড় থাকে। রেলওয়ের হিসাবেও এই রুটে যাত্রী সংখ্যা তুলনামূলক বেশি। এই রুটে ৬টি ট্রেন পরিচালনার জন্য প্রস্তাব দিয়েছে একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠান। ইউনাইটেড গ্রæপ নামের ওই প্রতিষ্ঠানের প্রস্তাবের প্রেক্ষিতে ট্রেন পরিচালনার জন্য তিনটি খাতে দৈনিক ৩ লাখ ৭৯ হাজার টাকা দাবি করেছে রেলওয়ে। তিনটি খাত হলো, ট্রেন ও লোকোমোটিভ রক্ষণাবেক্ষণ, পরিকল্পনা ও পরিবহন ব্যবস্থাপনা এবং ট্র্যাক অগ্রাধিকার ও ক্লিয়ারিং। তবে এ বিষয়ে এখনো মন্ত্রণালয় থেকে চুড়ান্ত সিদ্ধান্ত দেয়া হয়নি।
সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, দেশে প্রথমবারের মতো বেসরকারি ট্রেন পরিচালনার প্রস্তাব বিবেচনায় নিয়ে রেলওয়ে একটি কমিটি গঠন করে। সেই কমিটি যাচাই-বাছাই শেষে গত বছরের ২৮ নভেম্বর একটি সম্ভাব্যতা প্রতিবেদন জমা দিয়েছে। সম্প্রতি এই প্রস্তাব পর্যালোচনায় রেলপথ মন্ত্রণালয়ে একটি বৈঠকও অনুষ্ঠিত হয়েছে।
রেলওয়ে সূত্র জানায়, ২০১৬ সালের ১০ অক্টোবর ইউনাইটেড গ্রæপ বেসরকারি ট্রেন সার্ভিস পরিচালনার অনুমতি চেয়ে রেলপথ মন্ত্রণালয়ের সচিবের কাছে একটি চিঠি দেয়। চিঠিতে ঢাকা-জামালপুর-ঢাকা রুটে প্রতিদিন পাঁচ জোড়া ট্রেন পরিচালনার অনুমতি চাওয়া হয়। পরবর্তীতে প্রতিষ্ঠানটি দৈনিক তিন জোড়া ট্রেন পরিচালনার অনুমতি চায়। ইউনাইটেডের আবেদনের প্রেক্ষিতে একই বছরের ২৪ নভেম্বর রেল ভবনে এ-সংক্রান্ত একটি বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। বৈঠকের পর ইউনাইটেড গ্রæপ ২০১৭ সালের ৫ মার্চ রেল সচিবকে একটি সংশোধিত প্রস্তাব দেয়। প্রস্তাব অনুযায়ী, কোচ-ইঞ্জিন সংগ্রহসহ কয়েকটি খাতে বিনিয়োগ ছাড়া প্রায় সব সুবিধাই রেলওয়ে প্রদান করবে ইউনাইটেড গ্রæপকে। তারা শুধু কোচ ও ইঞ্জিন আমদানির মাধ্যমে ট্রেন পরিচালনা করবে। যাত্রীদের কাছ থেকে ভাড়া আদায়ের ক্ষেত্রে প্রতিষ্ঠানটি নিজেদের পরিচালন ব্যয়সাপেক্ষে নির্ধারণের প্রস্তাব করলেও রেলওয়ে নিজেদের নীতিমালা অনুযায়ী ভাড়া নির্ধারণে বাইরে যেতে নারাজ ।
কমিটির প্রতিবেদন অনুযায়ী, ঢাকা-জামালপুর ২১২ কিলোমিটার চলাচলের জন্য রেলের কোচপ্রতি ১ কিলোমিটার ১০ টাকা হারে (১৮ কোচ) ৩৮ হাজার ১৬০ টাকা, লোকো রক্ষণাবেক্ষণ ৩ হাজার ৮১৬ টাকা এবং ট্রেন পরিকল্পনা ও পরিবহন ব্যবস্থাপনায় প্রতি কিলোমিটার ১০০ টাকা হারে ২১ হাজার ২০০ টাকা ব্যয় করতে হবে। অর্থাৎ প্রতিটি ট্রেন যেকোনো পথে একবার পরিচালনা করতে ইউনাইটেড গ্রæপকে বহন করতে হবে ৬৩ হাজার ১৭৬ টাকা। এ হিসাবে প্রস্তাব অনুযায়ী দৈনিক ৬টি ট্রেন পরিচালনার জন্য ব্যয় হবে ৩ লাখ ৭৯ হাজার ৫৬ টাকা। এর সঙ্গে ভ্যাট ও এআইটি যুক্ত করলে মোট ব্যয় হবে সাড়ে ৪ লাখ টাকার বেশি।
রেলওয়ে সূত্র জানায়, দেশের রেল যোগাযোগ খাতে উন্নত বিশ্বের মতো বেসরকারি কোম্পানীর প্রস্তাবকে যুগান্তকারী হিসাবেই দেখছে রেলওয়ে। ইউনাইটেড গ্রæপ নিজস্ব কোচ ও ইঞ্জিন দিয়েই ঢাকা-জামালপুর রুটে ট্রেন চালাবে। তবে দেশের ব্যস্ততম ঢাকা-জামালপুর রুটে বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের প্রস্তাাবিত সময়সূচি অনুযায়ী ট্রেন পরিচালনা করা হলে রেলের নিজস্ব ট্রেনগুলোর সেবার মান পিছিয়ে পড়ার আশঙ্কাও করছেন রেল সংশ্লিষ্টরা। এ বিষয়ে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে রেলের বিভাগীয় পরিবহন কর্মকর্তা (ঢাকা) মোহাম্মদ মাহবুবুর রহমান স্বাক্ষরিত একটি চিঠি পাঠানো হয়েছে। এতে বলা হয়েছে, ইউনাইটেড গ্রæপের প্রস্তাবিত সময়ে রেলের একাধিক ট্রেন চলাচল করে। প্রতিষ্ঠানটির সেবা কার্যক্রম চূড়ান্ত হলে চলাচলরত ২৩টি ট্রেনের সময়সূচি পরিবর্তন করতে হবে।
উল্লেখ্য, বাংলাদেশ রেলওয়ের (পূর্বাঞ্চল ও পশ্চিমাঞ্চল) ৫৮টি ট্রেন বেসরকারি খাতে পরিচালিত হয়। রেলের নিজস্ব ট্রেনগুলো দরপত্রের মাধ্যমে শুধু পরিচালনার দায়িত্ব রয়েছে নির্বাচিত কয়েকটি প্রতিষ্ঠান। এর মধ্যে পূর্বাঞ্চলের ৪৪টি ও পশ্চিমাঞ্চলের ১৪টি ট্রেন লিজের মাধ্যমে বেসরকারি খাতে পরিচালিত হয়।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।