Inqilab Logo

শুক্রবার ১৪ নভেম্বর ২০২৪, ৩০ কার্তিক ১৪৩১, ১২ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

সেই সেমিতেই শেষ কিউই যাত্রা

নিউজিল্যান্ডকে উড়িয়ে ফাইনালে ইংল্যান্ড

প্রকাশের সময় : ৩১ মার্চ, ২০১৬, ১২:০০ এএম

স্পোর্টস রিপোর্টার : চিরকালীন সেমিফাইনালের দল নিউজিল্যান্ড। ক্রিকেটীয় প্রবাদ হয়ে গেছে এটি। তবে গত ওয়ানডে বিশ্বকাপে তা ভুল প্রমাণ করে কিউইরা উঠেছিল কোন বিশ্বকাপের প্রথম ফাইনালে। কিন্তু অস্ট্রেলিয়ার কাছে হেরে শিরোপা জেতা হয়নি। সেই নিউজিল্যান্ডই এবারের টি-২০ বিশ্বকাপে ছিল হট ফেভারিট। তারাই একমাত্র দল যারা সুপার টেন পর্বে জিতেছিল চারটি ম্যাচই। উড়িয়ে দিয়ে সেমিতে এসেছিল ভারত-পাকিস্তান-অস্ট্রেলিয়া-বাংলাদেশের মতো দলকে। হাতছানি দিচ্ছিল প্রথমবারের মতো টি-২০ বিশ্বকাপের ফাইনালে উঠার। তবে তীরে এসে ডুবলো কিউই তরী। ইংল্যান্ডের কাছে বাজেভাবে হেরে বিশ্বকাপ থেকে বিদায় নিল নিউজিল্যান্ড। দিল্লির ফিরোজ শাহ কোটলা স্টেডিয়ামে টসে হেরে আগে ব্যাট করতে নেমে নিউজিল্যান্ড করেছিল ৮ উইকেটে ১৫৩ রান। জবাবে জেসন রয় ঝড়ে ১৭ বল বাকি থাকতেই জয়ের বন্দরে পৌঁছায় ইংল্যান্ড। ৩ উইকেটে ইংল্যান্ডের সংগ্রহ দাঁড়ায় ১৫৯ রান। ৭ উইকেটের দাপুটে জয়ে দ্বিতীয়বারের মতো টি-২০ বিশ্বকাপের ফাইনালে উঠল ইংল্যান্ড। আগামী ৩ এপ্রিল ইডেনে ফাইনালে ইংল্যান্ডের প্রতিপক্ষ ভারত-ওয়েস্ট ইন্ডিজের ম্যাচ জয়ী দল।
টস জিতে ফিল্ডিংয়ের সিদ্ধান্ত নেন ইংল্যান্ড অধিনায়ক এউইন মরগান। নিউজিল্যান্ডে ব্যাটিং উদ্বোধন করেন মার্টিন গাপটিল এবং কেন উইলিয়ামসন। ইনিংসের শুরু থেকেই মারমুখী থাকলেও তৃতীয় ওভারের প্রথম বলেই বিদায় নেন ১২ বলে তিনটি বাউন্ডারিতে ১৫ রান করা গাপটিল। ডেভিড উইলির বলে উইকেটের পেছনে জস বাটলারের গøাভসবন্দি হন তিনি। ১০.৩ ওভারে দলীয় ৯১ রানে মঈন আলীর বলে ফিরতি ক্যাচ তুলে বিদায় নেন উইলিয়ামসন। আউট হওয়ার আগে ২৮ বলে ৩২ রান করেন তিনি। কিছুক্ষণ পর সাজঘরে ফেরেন কলিন মুনরোও। দলীয় ১০৭ রানে প্লাঙ্কেটের বলে ক্যাচ তুলে আউট হন তিনি। ৩২ বলে ৪৬ রানের ঝড়ো ইনিংস খেলেন মুনরো। ১৬.৩ ওভারে দলীয় ১৩৪ রানের মাথায় বিদায় নেন টস টেলর (৬)। কিউইদের রানের গতি কমে যায়। এরপর জোড়া আঘাত হানেন স্টোকস। আঠারোতম ওভারের তৃতীয় ও চতুর্থ বলে তিনি সাজঘরে ফেরান লুক রঞ্চি (৩) ও কোরে অ্যান্ডারসনকে (২৩ বলে ২৮)। ফলে কিউইদের বড় সংগ্রহে আশা শেষ হয়ে যায়। শেষ পর্যন্ত নির্ধারিত ২০ ওভারে ৭ উইকেট হারিয়ে ১৫৩ রান তুলে নিউজিল্যান্ড। ম্যাচ জিততে ১৫৪ রান প্রয়োজন ইংলিশদের। ইংল্যান্ডের পক্ষে ৪ ওভারে ২৬ রান খরচ করে ৩টি উইকেট শিকার করেন বেন স্টোকস।
জয়ের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে শুরু থেকেই দুর্দান্তই ছিল ইংল্যান্ড। উদ্বোধনী জুটিতে হেলস ও রয় সংগ্রহ করেন ৮২ রান, মাত্র ৮.২ ওভারে। শেষ পর্যন্ত হেলসকে বিদায় করে জুটি বিচ্ছিন্ন করেন কিউই বোলার সান্টনার। ১৯ বলে ২০ রান করে মুনরোর হাতে ক্যাচ দিয়ে ফেরেন হেলস। ছোট্ট ইনিংসে ছিল একটি করে চার ও ছক্কা। এরপর জো রুটকে সঙ্গে নিয়ে এগুচ্ছিলেন জেসন রয়। তবে ১৩তম ওভারে সোধিও হঠাত জোড়া ধাক্কা। যাতে কেঁপে উঠে ইংলিশদের ব্যাটিং দেয়াল। পর পর দুই বলে নেই দুই উইকেট। প্রথম বলেই বোল্ড ইংলিশ ওপেনার জেসন রয়। তবে যাওয়ার আগে রয় করে যান ৪৪ বলে ৭৮ রানের টর্নেডো ইনিংস। যে ইনিংসে ছিল ১১টি চার ও দুটি ছক্কার মার। দ্বিতীয় বলেই এলবিডবিøউর শিকার ইংলিশ অধিনায়ক ইয়ন মরগান। প্রথম বলেই আউট তিনি। ১২.২ ওভারে ইংল্যান্ডের দলীয় রান তখন ১১০। তবে জয়ের জন্য ইংল্যান্ডের বাকি কাজটুকু সেরেছেন জো রুট ও বাটলার। ২২ বলে ২৭ রানে রুট ও ১৭ বলে ৩২ রানে অপরাজিত থাকেন বাটলার। নিউজিল্যান্ডের হয়ে সোধি দুটি ও স্যান্টনার একটি উইকেট নেন।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: সেই সেমিতেই শেষ কিউই যাত্রা
আরও পড়ুন
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ