পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
রোহিঙ্গা মুসলিমদের ওপর জুলুম নির্যাতন, হত্যা ও দেশছাড়া করার অপরাধে মিয়ানমারের শাসকদের জবাবদিহিতার আওতায় আনা হবে বলে মন্ত্রব্য করেছেন বাংলাদেশ সফররত যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের উপ-সহকারী ও জাতীয় নিরাপত্তা কাউন্সিলের সিনিয়র পরিচালক লিসা কার্টিস। তিনি বলেছেন, যুক্তরাষ্ট্র সরকার জাতিগত নিধনের সাথে জড়িতদের জবাবদিহিতার আওতায় আনা এবং রোহিঙ্গাদের ওপর অধিকতর নৃশংসতা প্রতিরোধে কাজ করবে। মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী রেক্স টিলারসন রাখাইনে চালানো নৃশংসতাকে জাতিগত নিধন হিসাবে আখ্যায়িত করেছেন। লিসা কার্টিস বলেন, রোহিঙ্গাদের আশ্রয়, মানবিক সহায়তা ও নিরাপত্তা দেয়ায় বাংলাদেশ সরকারের প্রতি যুক্তরাষ্ট্র কৃতজ্ঞ। রোহিঙ্গাদের সহায়তায় বাংলাদেশের ভূমিকাকে যুক্তরাষ্ট্র সমর্থন দিয়ে যাবে। এ নাজুক জনগোষ্ঠীকে সুরক্ষা দেয়া এবং তাদের চাহিদা পূরণে বাংলাদেশ সরকারের সাথে কাজ করে যাবে যুক্তরাষ্ট্র। গতকাল শনিবার কক্সবাজারের উখিয়ার কুতুপালং, বালুখালী ও টেকনাফ উপজেলার শামলাপুর রোহিঙ্গা শিবির পরিদর্শন শেষে এসব কথা বলেন কার্টিস। এ সময় ঢাকায় কর্মরত মার্কিন রাষ্ট্রদূত মার্শা বøুম বার্নিকাট উপস্থিত ছিলেন।
লিসা কার্টিস তিনদিনের সফরে বাংলাদেশে আসেন গত শুক্রবার। ঢাকায় পৌঁছেই তিনি শুক্রবার বিকালে কক্সবাজার যান। সফরকালে তিনি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সাথে সৌজন্য সাক্ষাত এবং পররাষ্ট্রমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলী ও প্রধানমন্ত্রীর নিরাপত্তা উপদেষ্টা মেজর জেনারেল (অব.) তারিক আহমেদ সিদ্দিকের সাথে বৈঠক করবেন। মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের উপ-সহকারী বলেন, আমরা চাই মিয়ানমারের হাতে নিগৃহিত হয়ে বাংলাদেশে আশ্রয় নেয়া রোহিঙ্গারা জানুক তাদের কণ্ঠস্বর রয়েছে। বিশ্ব তাদের পরিস্থিতির ওপর নজর রাখছে। রোহিঙ্গাদের নিরাপত্তা ও সুরক্ষায় আন্তর্জাতিক স¤প্রদায় সম্ভব সবকিছু করবে। রোহিঙ্গাদের নিরাপদ ও স্বেচ্ছা প্রত্যাবাসনের জন্য রাখাইনে অনুকূল পরিবেশ সৃষ্টিতে মিয়ানমার সরকারের সাথে কাজ করবে যুক্তরাষ্ট্র।
এ সময় মার্কিন রাষ্ট্রদূত মার্শা বার্নিকাট বলেন, আমরা এমন এক পরিস্থিতিতে এখানে এলাম যখন রোহিঙ্গারা সীমান্তের জিরো লাইনে অবস্থান করছে আর মিয়ানমার সৈন্যরা তাদের আশেপাশেই অবস্থান করছে। এই পরিস্থিতি মোকাবেলায় বাংলাদেশ সরকারকে সহায়তা করছে যুক্তরাষ্ট্র। রোহিঙ্গাদের শান্তিপূর্ণ, স্বেচ্ছা ও মর্যাদার সাথে বিয়ানমারে প্রত্যাবাসনের জন্য আমরা আন্তর্জাতিক স¤প্রদায় ও মিয়ানমারের সাথেও কাজ করছি। তিনি আরো বলেন, রাখাইনের রোহিঙ্গাদের পুনর্বাসন এবং তাদের নাগরিক অধিকার দেয়া প্রসঙ্গে জাতিসংঘের করা কফি আনান কমিশনের প্রতিবেদনে দেয়া সুপারিশগুলো বাস্তবায়নে এবং রোহিঙ্গাদের ফিরিয়ে নিতে মিয়ানমার নেত্রী অং সান সু চি প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন। মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ লক্ষ্য অর্জনে বেসামরিক সরকারকে সহায়তা দেয়ার জন্য মিয়ানমার সামরিক বাহিনীর প্রতি আহবান জানিয়েছেন। রোহিঙ্গাদের দ্রুত প্রত্যাবাসন ও নিজ ঘরে ফিরে যাওয়ার জন্য মিয়ানমার কি করছে সেটাই আমাদের প্রশ্ন। রোহিঙ্গাদের যাতে নিজ ভূমি ছেড়ে আবারো পালিয়ে আসতে না হয় সে জন্য রাখাইনে অনুকূল পরিবেশ সষ্টি করতে হবে।
উল্লেখ গত বছরের ২৫ আগস্ট থেকে মিয়ানমারের রাখাইনে সেনা অভিযানে নির্যাতিত-নিপীড়িত প্রাণ বাঁচাতে লাখ লাখ রোহিঙ্গা মুসুলিম বাংলাদেশে পালিয়ে আসেন। তাদের অবস্থা দেখতে লিসা কার্টিস বাংলাদেশ সফর করছেন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।