বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
শফিকুল ইসলাম বেবু, কুড়িগ্রাম ঃ কুড়িগ্রামের নাগেশ্বরীতে প্রচার প্রচারণা চালিয়েও বন্ধ করা যাচ্ছে না অবৈধ অর্থের লেনদেন। পল্লী বিদ্যুতের নতুন লাইন নির্মাণে একটি সিন্ডিকেট চক্র এবং টেকনিশিয়ানরা বিভিন্ন কথা বলে গ্রাহকদের কাছ থেকে হাতিয়ে নিচ্ছে কোটি টাকা। প্রাথমিক জরিপ, পরিমাপ, খুঁটি, মিটারসহ বিভিন্ন ধাপে প্রতি মিটারে গ্রাহকদেরকে দিতে হচ্ছে ৫ থেকে ৭ হাজার টাকা। জানা যায়, বর্তমানে নাগেশ্বরী উপজেলায় শতভাগ নতুন লাইন নির্মাণাধীন রয়েছে। এই সুযোগে খুঁটি প্রতি এবং লাইন নির্মাণে ব্যাপক বাণিজ্য শুরু করেছে দালাল চক্রটি। তারা বিভিন্ন কায়দায় লাইন নির্মাণে জরিপ এবং পরিমাপের সময় গ্রামে গ্রামে গিয়ে বিদ্যুৎ পেতে হলে টাকা লাগবে বলে ৫ হাজার থেকে ৭ হাজার টাকা মিটার প্রতি গ্রাহকদের সাথে চুক্তি করে। পরে পরিমাপের সময় থেকে সংযোগ পর্যন্ত এই টাকা তুলে নেয়। এসব টাকা উত্তোলনের সাথে বিদ্যুৎ বিভাগের কিছু টেকনেশিয়ান, অসৎ কর্মকতা ও প্রকৌশলী জড়িত থাকার তথ্য পাওয়া গেছে। প্রাথমিক জরিপ এবং লাইন পরিমাপে একেক প্রকৌশলীকে দিন প্রতি দিতে হয় ২০ হাজার টাকা। এ টাকা দালাল মারফত যায় তাদের পকেটে। সরেজমিনে দেখা যায়, উপজেলার কেদার ইউনিয়নের বাহের কেদার টেকনিক্যাল মোড় ও মাষ্টারপাড়া নামক দুটি লটে ৬ হাজার টাকা চুক্তিতে দালালী করছে টেকনেশিয়ান মহেন্দ্র। ইতিমধ্যে গ্রাহক প্রতি ১৫শ থেকে ২ হাজার টাকা নিয়েছে সে। এখানে গ্রাহক সংখ্যা প্রায় ৫ শতাধিক। গ্রামে খুঁটি পরিবহণের জন্য আরও ২ হাজার করে টাকার তাগাদা দিচ্ছে সে। গ্রাহক আব্দুর রশিদ, আব্দুল আলীম, জামাল উদ্দিন জানান, ২ বছর আগে মহেন্দ্র আমাদের বিদ্যুৎ সংযোগ দেয়ার কথা বলে দুটি লট থেকে ৭ লক্ষাধিক টাকা নিয়ে গেছে এখন খুঁটি আনার কথা বলে টাকা চাচ্ছে। তারা আরও জানান, মহেন্দ্র এই দুটি লটে নিজেস্ব লোক মারফত টাকা তুলে নিচ্ছে। বাহের কেদার কসাই পাড়ার শহিদা পারভিন, মোজাহার জানান, ইতিমধ্যে আমিনুল নামের প্রতিবেশীর মাধ্যমে ১৬শত টাকা দিয়েছি। পশ্চিম পাড়ার মোহাম্মদ আলী, জাকিউল ইসলাম জানান, তারা ২ হাজার টাকা ইতিমধ্যে মহেন্দ্র্রকে দিয়েছেন। মাষ্টার মোড়ের শফিকুল ইসলাম এবং হাফিজুর রহমান জানান, তাদের কাছ থেকে ৩ হাজার ৫শত টাকা নিয়েছে মহেন্দ্র। এ ব্যাপারে টেকনেশিয়ান মহেন্দ্র জানান, বিদ্যুৎ পেতে হলে টাকা লাগে ভাই। তবে আপনার লাখ টাকার কথা বলছেন সেরকম নয় খরচা বাবদ গ্রাম প্রতি দশবিশ হাজার টাকা নেয়া হয়েছে। কুড়িগ্রাম-লালমনিরহাট পল্লী বিদ্যুতের ব্যাবস্থাপক প্রকৌশলী মোহাম্মদ আলী হোসেন জানান, দালালদের দৌরাত্ব এবং টাকা নেয়ার অভিযোগ রয়েছে। আমরা সচেতনতামূলক মাইকিং পোষ্টারিং চালিয়েও রোধ করতে পারছি না। এ ক্ষেত্রে গ্রাহকদের টাকা না দেয়ার পরামর্শ দেয়া হচ্ছে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।