বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
কালাই (জয়পুরহাট) উপজেলা সংবাদদাতা: জয়পুরহাটের কালাই উপজেলার অকৃষি পতিত জমিসহ রাস্তার দু’পাশে, বসত বাড়ির আঙিনায় ও জমির আইলে এবার আমের মুকুল ব্যাপক ভাবে দেখা দিয়েছে। আমের মুকুলের মৌ মৌ গন্ধে মুখর হয়ে উঠেছে চারিদিকের পরিবেশ। মৌ মাছিরা গুনগুন শব্দে মধু সংগ্রহে ব্যস্ত হয়ে পড়েছে। উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় এবার ফজলী, নেংড়া, হীম সাগর, আম্রপালী, গোপাল ভোগ, বোম্বাই, লাখনাই. ক্ষিরশাপতি, তোষা ও স্থানীয় বিভিন্ন জাতের আমের জাত লক্ষ্য করা গেছে।
স্থানীয় কৃষি বিভাগের আশা, আবহাওয়া শেষ পর্যন্ত অনুকূলে থাকলে এবার আমের বাম্পার ফলন হবে। তবে সঠিক পরিচর্যা জ্ঞানের অভাবে তা শেষ পর্যন্ত বাস্তবায়ন হবে কিনা তা নিয়ে সংশয় প্রকাশ করেছেন বিশেষজ্ঞরা। কালাই কৃষি বিভাগের উপ-সহকারী উদ্ভিদ সংরক্ষণ কর্মকর্তা মো. মোজাফ্ফর রহমান জানান, কালাইয়ে অল্প কিছু সংখ্যক আমের বাগান গড়ে উঠলেও অকৃষি পতিত জমি থেকেই বেশী আম উৎপন্ন হয়। উপজেলায় এবার ৫২ হেক্টর জমিতে আমের উৎপাদন লক্ষমাত্রা নির্ধারণ করা হচ্ছে বলেও তিনি জানান।
কৃষি বিশেষজ্ঞরা জানান, আম গাছে মুকুল থেকে পর্যাপ্ত ফল পেতে হলে অবশ্যই কীটনাশক দিতে হবে। মুকুল বের হওয়ার পর স্প্রে করতে হবে। মুকুল ফাঁটার আগে ও পরে কীটনাশক দিয়ে স্প্রে করতে হবে। মুকুল ফাঁটার পরে গুটি না আসা পর্যন্ত কীটনাশক ব্যবহার করা যাবে না। কারণ এ সময় স্প্রে করলে গুটি পুড়ে বা ঝরে যেতে পারে। তাই গুটি আসলে স্প্রে করতে হবে।
উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ কর্মকর্তা ফারজানা হক জানান, আমের মুকুল ছত্রাক জনিত রোগে আক্রান্ত হতে পারে। এ ক্ষেত্রে প্রথম বার ম্যানকোজেব গ্রুপের ছত্রাক নাশক ২ গ্রাম অথবা এমাডোক্লোরিড গ্রুপের দানাদার প্রতি লিটার ২ গ্রাম তরল ২৫ মিলি লিটার ও সাইপারমেথ্রিন গ্রুপের কীটনাশক প্রতি লিটার পানিতে ১ মিলি লিটার মিশিয়ে স্প্রে করা যেতে পারে। আবার মুকুলে গুটি দেখা দিলে একই মাত্রায় ছত্রাক ও কীটনাশক দ্বিতীয় বার স্প্রে করতে হবে। এতে ছত্রাক জাতীয় রোগ থেকে আমের মুকুল ও আমের গুটি রক্ষা পাবে। তবে আম মারবেল আকার ধারণ করলে তৃতীয় বার একই মাত্রায় একই মাত্রায় ছত্রাক, কীটনাশক ও পরিমাণ মতো বরিক এসিড স্প্রে করতে হবে।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ রেজাউল করিম জানান, আমের সঠিক পরিচর্যা কীভাবে করতে হয়, সে ব্যাপারে কৃষি বিভাগ উঠান বৈঠক, মাঠসভাসহ ব্যক্তিগত যোগাযোগোর মাধ্যমে কৃষকদের সচেতন করে থাকে। কৃষি বিভাগের পরামর্শ মেনে করে আমের পরিচর্যা করা হলে কৃষকরা আমের ভাল ফলন পাবেন বলে তিনি বিশ্বাসী।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।