নীলফামারী জেলা সংবাদদাতা : নীলফামারীতে তৃতীয় শ্রেণীর এক শিশু শিক্ষার্থীকে ধর্ষনের অভিযোগ উঠেছে। বর্তমানে মেয়েটি রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে। বৃহস্পতিবার দুপুরের দিকে জেলা সদরের পলাশবাড়ি ইউনিয়নের সীমান্তপাড়ায় এঘটনা ঘটে।
এদিকে ঘটনার পর থেকেই ধর্ষক শুকুর আলী (৪৫) গাঁ ঢাকা দিয়েছে। তবে তাকে গ্রেপ্তারের অভিযান চালাচ্ছে পুলিশ বলে জানান নীলফামারী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা বাবুল আকতার।
মেয়েটির মা (ভানু রাণী রায়) অভিযোগ করে বলেন, আমি মানুষের বাড়িতে ঝিঁয়ের কাজ করি। আমার স্বামী ঢাকায় একটি ইটভাটায় কাজে রয়েছে।
প্রতিদিনের মতো বৃহস্পতিবার সকালে আমি মানুষের বাড়িতে ঝিঁয়ের কাজে গিয়ে সন্ধ্যায় বাড়িতে আসি। এসে দেখি আমার শিশু মেয়ে বিছানায় শুয়ে যন্ত্রনায় কাতরাছে এবং তার পরনের প্যান্ট বয়ে রক্তে ঝরছে।
এসময় মেয়েকে জিজ্ঞাসা করলে সে জানায়, দুপুরে দিকে বাড়ির বাহিরে খেলছিলো। এমন সময় প্রতিবেশী শুকুর আলী (৪০) শিশু মেয়েকে বিস্কুটের প্রলোভন দেখিয়ে বাড়ির পাশ্ববর্তী একটি ভুট্টা ক্ষেতে নিয়ে গিয়ে ধর্ষণ করে সেখানে রেখে পালিয়ে যায়।
সন্ধ্যার দিকে রক্তকরণ বেশী হলে তাকে প্রতিবেশীদের সহযোগীতায় নীলফামারী আধুনিক সদর হাসপাতালে নিয়ে আসি।
সেখানে প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করে। নীলফামারী আধুনিক সদর হাসপাতালের জরুরী বিভাগের কর্তব্যরত চিকিৎসক তানভীর আহমেদ শাহ্ জানান, প্রাথমিক চিকিৎসায় মেয়েটিকে ধর্ষণ করার আলামত পাওয়া গেছে। মেয়েটির রক্তক্ষরণ বেশি হওয়ায় তাকে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে উন্নত চিকিৎসার জন্য রাতেই রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
নীলফামারী থানার পরিদর্শক বাবুল আকতার জানান, রাতেই মেয়েটির মা অভিযোগ করেছেন। অভিযোগের ভিত্তিতে ধর্ষক শুকুর আলীকে গ্রেপ্তার করতে রাতেই অভিযানে নেমেছে পুলিশ।