বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
রাজধানীর কুর্মিটোলায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীকে ধর্ষণের ঘটনায় ক্যাম্পাস ও শাহবাগ অবরোধ করে বিক্ষোভ করছে শিক্ষার্থীরা। ২৪ ঘন্টার মধ্যে ধর্ষকদের গ্রেপ্তার এবং সর্বোচ্চ শাস্তির দাবি জানাচ্ছে তারা। রবিবার রাতে ঘটে যাওয়া এই ইস্যুতে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেইসবুকেও বইছে প্রতিবাদ, ক্ষোভ ও নিন্দার ঝড়। অনতিবিলম্বে অপরাধীদের গ্রেফতারপুর্বক দৃষ্টান্তামুলক শাস্তি দাবি করছে নেটিজেনরা।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রীকে ধর্ষণের বিষয়টিকে কলঙ্কজনক ঘটনা বলে মন্তব্য করেছেন প্রোভিসি অধ্যাপক মুহাম্মদ সামাদ। তিনি বলেন, ‘বিষয়টি দুঃখজনক, নিন্দা জানানোর ভাষা নেই। আমাদের লজ্জার শেষ নেই।’
ঘটনার পর সজীব আচার্য তার ফেইসবুকে লিখেন, ‘আমাদের দেশের মানুষ এখন আর বিচারের ভয় করে না। তারা জানে ধর্ষণ করলেও কয়েক মাসের মধ্যে জামিনে মুক্তি হতে পারবে। আর মুক্ত হবার পর কী হয় তা আমাদের ভালো করেই জানি! ধর্ষণের শান্তি মৃত্যুদন্ড করা হলে আর এমনটা হত না। তবে কেউ যদি মিথ্যা ধষর্ণ মামলা করে, তবে তার জন্যও শান্তি ব্যবস্থা করা হউক।’
‘বিচারহীনতা আর রাজনৈতিক কারণে এসব বার বার হচ্ছে। বার বার এসব ঘটনা ঘটার কারণে স্বাভাবিকতায় পরিণত হয়েছে। সময় এটাই বুঝিয়ে দিচ্ছে ধর্মীয় শাসন কতটা গুরুত্বপূর্ণ। এসব জানোয়ারদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি হওয়া উচিত।’ - মোজাম্মেল হকের দাবি।
সাংবাদিক আরেফিন শাকিল ক্ষোভ প্রকাশ করে লিখেন, ‘ছাত্রী ধর্ষিত হলেও পুলিশ নির্বিকার। দুর্নীতিবাজদের বিরুদ্ধে সংবাদ করতে গেলে সাংবাদিককে ধরতে পুলিশ হ্যান্ডকাপ নিয়ে থাকে সোচ্চার!’
‘ইসলামী আইন বাস্তবায়ন না হলে আমরা যতই আন্দোলন করি না কেন, কোনো লাভ হবে না। - এইচ এম জাকারিয়ার মন্তব্য।
এই ইস্যুতে ছাত্রদের আন্দোলনকে সমার্থন করে কাব্য চৌধুরী লিখেন, ‘না ভাই ওরা বিচারের আশ্বাস দিয়ে আপনাদেরকে আন্দোলন থেকে সরিয়ে যেতে বলবে... ধর্ষণের বিরুদ্ধে আইন না হওয়া পর্যন্ত আন্দোলন চালিয়ে যেতে হবে। ইনশাল্লাহ আমরা আছি আপনাদের সাথে।’
‘বিচারহীনতার এই সংস্কৃতির কারণেই এই ধর্ষন। আমরা যদি না জাগি মা কেমনে সকাল হবে! জাগরণের সময় এখনো হয় নি?’ - সাকিব ভুঁইয়ার প্রশ্ন।
প্রতিবাদ জানিয়ে এনামুল হক লিখেন, ‘প্রতিবাদ জানাই, কঠোর প্রতিবাদ। এখনই থামাতে হবে, তা না হলে আমার আপনার ভবিষৎ প্রজন্ম কঠিন বিপদে পরবে।’
শাহ্ আলম শরাফতী লিখেন, ‘হে বাংলাদেশ! দেশতো স্বাধীন। পাক হানাদার মুক্ত। তাহলে এখনও তুমার বুকে আর কতো নারী শিশু ধর্ষিত হলে তুমার টার্গেট পুরা হবে এবং ধর্ষণের সর্বোচ্চ শাস্তির বিধান হবে?’
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের উদ্দেশ্য করে আসাদ ভুঁইয়া লিখেন, ‘ঢাবিয়ানরা এইবার যদি না পারো তাহলে আর কখনো পারবেনা! সারাদেশের ছাত্রসমাজকে নিয়ে আন্দোলনের ডাক দেন। ধর্ষক ....দের বিনাশ দেখতে চাই আমরা!’
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।