Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

শাজাহানপুরে ভয়াবহ টেন্ডার জালিয়াতির অভিযোগ

জেলা প্রশাসক বরাবর অভিযোগ

| প্রকাশের সময় : ২ মার্চ, ২০১৮, ১২:০০ এএম

বগুড়া ব্যুরো : বগুড়ার শাজাহানপুরে ২২টি সরকারী হাট-বাজার ইজারায় ভয়াবহ টেন্ডার জালিয়াতির ঘটনা ঘটেছে। এতে কয়েক লাখ টাকা রাজস্ব থেকে বঞ্চিত হয়েছে সরকার। এ ঘটনায় আল আমিন নামে এক দরপত্রদাতা জেলা প্রশাসক বরাবর লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন। জানা গেছে, উপজেলার ২২টি হাট-বাজারের অনুকুলে বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে দরপত্র আহবান করেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ কামরুজ্জামান। বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী গত সোমবার দরপত্র বিক্রয়ের শেষ দিন ছিল। দরপত্র দাখিলের শেষ সময় ছিল মঙ্গলবার সকাল ১০টা হতে দুপুর ২টা পর্যন্ত এবং দরপত্র বাক্স খোলার সময় বিকেল ৩টা। সে মোতাবেক টেন্ডার জমাদান এবং ফলাফল জানতে দরপত্রদাতাগণ মঙ্গলবার সকাল থেকে উপজেলা পরিষদ চত্বরে জড়ো হতে থাকেন। কিন্তু বিকেল ৩টা থেকে সাড়ে ৪টা পর্যন্ত উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নিজ অফিস কক্ষে দরজা-জানালা বন্ধ করে দরদাতাদেরকে ভিতরে ঢুকতে না দিয়ে নিজের মনোনীত দরদাতাদের নিয়ে রুদ্ধদ্বার বৈঠক করেন। বৈঠকে সর্বোচ্চ দরদাতাদের দরপত্র গোপন করে নিজের ইচ্ছেমত অপেক্ষাকৃত কম দরদাতাদেরকে হাট-বাজারের ইজারা দেন। এতে একদিকে প্রকৃত দরদাতাগণ ইজারা পাওয়া থেকে বঞ্চিত হয়েছেন এবং সকারেরও ক্ষতি হয়েছেন কয়েক লক্ষ টাকার রাজস্ব। এ ঘটনায় দরদাতাদের মধ্যে চরম ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে। অপরদিকে গত বুধবার সকালে ইজারাদারের তালিকা নোটিশ বোর্ডে টানানো হলেও দুপুরের আগেই তা তাড়াতাড়ি করে সরিয়ে ফেলা হয়েছে। এ ঘটনায় বুধবার দুপুরে আল আমিন নামের এক দরপত্রদাতা বগুড়া জেলা প্রশাসক বরাবর লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। অভিযোগকারী আল আমিন জানান, সরকারী নীতিমালা মেনে নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে উপজেলার জামুন্না হাটের অনুকুলে ২ লাখ ২০ হাজার টাকার দরপত্র জমা দেন। কিন্তু উপজেলা নির্বাহী অফিসার নিয়ম বহির্ভূতভাবে অপেক্ষাকৃত কম দরদাতাকে ১ লাখ ৬৫ হাজার ৭ শত ২৫ টাকায় হাটটি ইজারা দেন। খরনা ডোমনপুকুর হাট-বাজারের দরপত্রদাতা তারেক হোসেন সুমন জানান, খরনা ডোমনপুকুর হাট-বাজারের অনুকুলে তিনি ২ লাথ টাকা দরপত্র জমা দেন। কিন্তু তার চেয়ে কম দরদাতাকে ১ লাখ ৮৫ হাজার টাকায় হাটের ইজারা দেয়া হয়েছে। দাড়িগাছা হাট-বাজারের দরপত্রদাতা আবু তালেব জানান, তিনি ২ লাখ ৫১ হাজার টাকা দর দিয়েও ইজারা পাননি। অথচ শুধু ৪৭ হাজার টাকায় অন্যজনকে ইজারা দেয়া হয়েছে। বগুড়া পৌরসভার ১০নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর আরিফুর রহমান জানান, মাঝিড়া হাট-বাজারের অনুকুলে তিনি সর্বোচ্চ দরপত্র দাখিল করেছিলেন। কিন্তু তারপরও তার দরপত্র সরিয়ে ফেলে অন্যজনকে ইজারা দেওয়া হয়। পরবর্তিতে জানতে পারেন তার দরপত্র সংগ্রহ করে তাকে ইজারা দেয়া হয়েছে। এমতাবস্থায় অবৈধ ইজারা বাতিল পূর্বক পুনরায় দরপত্র আহবানের দাবি জানান তারা।এ বিষয়ে গণমাধ্যম কর্মীরা উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ কামরুজ্জামানের নিকট জানতে চাইলে তিনি ক্ষিপ্ত হয়ে বলেন সব বিষয়ে সাংবাদিকদের জানাতে হবে এমন কোন আইন আছে? আপনারা কি দরপত্র দিয়েছেন? অপর এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, দরপত্রদাতাদের উপস্থিতিতেই দরপত্র বাক্স খোলা হয়েছে।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: অভিযোগ


আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ