বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
নাছিম উল আলম : দক্ষিনাঞ্চলের ৬ জেলাতেও চলতি মাস থেকে দুমাসের জন্য ১০ টাকা কেজি দরে চাল বিক্রী শুরু হচ্ছে। ইতোমধ্যে খাদ্য মন্ত্রনালয় ও অধিদপ্তর থেকে এসংক্রান্ত বরাদ্দপত্র সব জেলা-উপজেলা খাদ্য দপ্তরে পৌছেছে। দুমাসের জন্য ১০টা কেজি দরে চাল বিক্রীর ফলে বাজারে বর্তমানে লাগামহীন চালের বাজারে কিছুটা নিয়ন্ত্রন আসতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে। তবে জেলা-উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রকের বরাদ্দপত্র ইস্যুর পরে টাকা জমা দিয়ে গুদাম থেকে ছাড় করে ভোক্তাদের হাতে এসব চাল পৌছতে আরো অন্তত ৭দিন সময় লেগে যেতে পারে।
গত বছরের মত এবারও সরকার দেশের হতদরিদ্র বিপুল জনগোষ্ঠীর জন্য ১০টাকা কেজি দরে চাল বিক্রীর কার্যক্রম হাতে নিয়েছে। তবে এজন্য নতুন করে এবার কোন তালিকা তৈরী হয়নি । গতবছর যাদের জন্য এ চালের বরাদ্দ ছিল তারাই এবারও ১০টাকা কেজি দরে চাল পাবেন বলে খাদ্য অধিদফ্তর সূত্রে জানা গেছে। এর ফলে ঐসব ভোক্তাদের মধ্যে যে বিপুল সংখ্যক ‘রাজনৈতিক সুবিধাবাদী’ ও দরিদ্র সীমার ওপরে বসবাসকারী এ চাল পেয়ছিলেন, তারা এবারো একই সুবিধা পাচ্ছেন। গতবছর মার্চ ও এপ্রিল মাসে ৩০ কেজি করে মোট ৬০ কেজি চাল বিক্রী করা হয়ছিল ‘তালিকাভূক্ত হত দরিদ্র’র মাঝে।
এ বছরও ১ মার্চ থেকে ৩০ এপ্রিল পর্যন্ত দক্ষিনাঞ্চলের ৬ জেলার ৪২ ্উপজেলার প্রায় ৪ শ ইউনিয়নের ৪ লাখ ৮০ হাজার ২৭৮ জন ‘তালিকাভূক্ত হত দরিদ্র’ ১০ টাকা কেজি দরে প্রতিমাসে ৩০ কেজি চাল কিনতে পারবেন। এজন্য ৬ জেলায় ৯৬২ জন ডিলার নিয়োগ দেয়া হলেও গত বছর চাল তুলেছিলেন ৭৭৫ জন। অবশিষ্ট ডিলারগন চাল না তুললেও এবার আর নতুন করে কোন ডিলার নিয়োগ দেয়া হয়নি। ডিলারগন প্রতি কেজী চাল ভোক্তাদের কাছ ১০টাকা দরে বিক্রী করলেও এজন্য তাদেরকে প্রতি কেজিতে দেড় টাকা করে কমিশন প্রদান করা হবে। সিটি করপোরেশন ও পৌর এলাকার কোন মানুষ এ চাল ক্রয়ের সুবিধা পাচ্ছেন না। তবে এ জন্য ৬ জেলায় সাড়ে ১৪ হাজার টনের কিছু বেশী চালের প্রয়োজন হবে। যার বরাদ্দ ইতোমধ্যে জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রকদের কাছে পৌছে গেছে বলে জানা গেছে। অনেক ডিলারই মাত্র দু’মাসের জন্য এ চাল বিক্রী করতে আগ্রহী নয়। গত বছরও প্রায় ১শ ডিলার চাল উত্তোলন বা বিক্রী করেননি। পরে অনেক দৌড়ঝাপ করে অন্য ডিলারের কাছ থেকে কেউ কেউ চাল তুললেও অনেকের ভাগ্যেই ঐ চাল কেনার সুযোগ মেলেনি।
বাজার পর্যবেক্ষকের মতে, এ কার্যক্রম ১৫ ফেব্রæয়ারী থেকে ১৫ মে পর্যন্ত, ন্যুনতম ৩ মাস বহাল রাখলে বাজারে ইতিবাচক প্রভাব পড়তে পারে। কারন এপ্রিলের শেষভাগের আগে বাজারে নতুন বোরা চাল আসছে না ।
দক্ষিনাঞ্চলের ৬ জেলার সরকারী গুদামগুলোতে পর্যাপ্ত চাল মজুদ রয়েছে বলেও জানিয়েছে খাদ্য বিভাগ। তাদের মতে, সরকারী গুদামগুলোতে বর্তমানে চালের মজুদ ৩৭ হাজার টনেরও বেশী। পাশাপাশি চলতি মাসে ও আগামী মাসে আরো বিপুল পরিমান চাল এ অঞ্চলের সরকারী খাদ্য গুদামগুলোতে আসবে বলেও জানা গেছে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।