বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
দক্ষিণাঞ্চলের ৬ জেলায় ৩০ টাকা কেজি দরে প্রতিদিন ৩০৮ টন চাল খোলা বাজারে বিক্রী কার্যক্রমের সাথে প্রত্যন্ত গ্রামঞ্চলের প্রায় ৫ লাখ পরিবারকে ১৫ টাকা কেজি দরে আগামী ৩ মাস ৩০ কেজি করে চাল বিক্রী কার্যক্রম শুরু হয়েছে বৃহস্পতিবার সকাল থেকে। আগামী ৩ মাস দক্ষিণাঞ্চলের ৬ জেলায় ১৫৪ জন ডিলারের মাধ্যমে ৩০ টাকা কেজি দরে প্রতিদিন ৩০৮ টন চাল বিক্রী করবে খাদ্য অধিদপ্তর। এ কার্যক্রমে ডিলারের সংখ্যা ইতোপূর্বের ৩৬ থেকে এবকার ১৫ তে উন্নীতদ করা হয়েছে। ফলে এবার আরো অধিক সংখ্যক মানুষ স্বল্পমূল্যে চাল কেনার সুযোগ পাচ্ছে বলেও জানিয়েছে খাদ্য অধিদপ্তর। আগামী ৩ মাসে ৩০ টাকা কেজি দরে প্রায় ২৮ হাজার টন চাল খোলা বাজারে বিক্রী করার লক্ষ্য রয়েছে খাদ্য বিভাগের। খোলা বাজারে এ চাল বিক্রী বরিশাল সিটি করপোরেশন সহ দক্ষিণাঞ্চলের সবগুলো পৌর এলাকা এবং জেলা ও উপজেলা সদরে সীমাবদ্ধ থাকছে। এর আওতায় বরিশাল মহানগরীর ৩০টি ওয়ার্ডে ২১ জন ডিলার খোলা বাজারে ৩০ টাকা কেজি দরে মাথাপিছু ৫ কেজি করে চাল বিক্রী করছেন।
পাশাপাশি জেলা ও উপজেলা সদরের বাইরে ইাউনয়ন ও পল্লী এলাকার ৪ লাখ ৮৬ হাজার পরিবারকে ১৫ টাকা কেজি দরে মাসে ৩০ কেজি করে চাল দেয়া হচ্ছে। এ কার্যক্রমে আগামী ৩ মাসে প্রায় ৪৪ হাজার টন চাল বিক্রী করবে সরকার। খোলা বাজারে চালের অগ্নিমূল্য প্রতিরোধে সরকারের এসব কার্যক্রম ইতিবাচক ভ’মিকা রাখবে বলে আশা করছে খাদ্য বিভাগ।
গত কয়েক বছর ধরেই মার্চ ও এপ্রিল সহ সেপ্টেম্বর থেকে নভেম্বর মাসে ওএমএস-এর আওতায় জেলা ও উপজেলা সদরে খোলা বাজার ৩০ টাকা কেজি দরে চাল বিক্রী হচ্ছে। পাশাপাশি একই সময়ে জেলা ও উপজেলা সদরের বাইরে পল্লী এলাকায় ১০ টাকা কেজি দরে ৪ লাখ ৮৫ হাজার পরিবারকে ৩০ কেজি করে চাল বিক্রী কার্যক্রমও চলে আসছিল। কিন্তু এবার মার্চ ও এপ্রিল মাসে ১০ টাকা কেজি দরে চাল বিক্রী হলেও এখন তা ৫০% বাড়িয়ে ১৫ টাকা করা হয়েছে।
সরকার চালের বাজার নিয়ন্ত্রনে এ কার্যক্রম গ্রহন করলেও চালের দাম ১০ টাকা থেকে একলাফে ১৫ টাকায় উন্নীত করার বিষয়টি নিয়ে সন্তুষ্ট নন সুবিধাভোগি গন। পাশাপাশি এ চাল বিক্রী কার্যক্রম দু দফায় বছরে ৫ মাসের পরিবর্তে ৮ মাসে উন্নীত করারও দাবী রয়েছে। চালের বাজার নিয়ন্ত্রনে এ কার্যক্রম বছরের অন্তত ৮ মাস চালু রাখালে তা গ্রামঞ্চলের হত দরিদ্র মানুষের জন্য ব্যাপক সুবিধা এনে দেবে বলেও মনে করছেন বাজার পর্যবেক্ষকগন।
বরিশাল মহানগরীর বাইরে জেলার ১০টি উপজেলার ১ লাখ ৬০ হাজার ৭৩৬ টি পরিবার ১৫ টাকা কেজি দরে চাল কেনার সুবিধা পাচ্ছেন। এ কার্যক্রমে পটুয়াখালীতে ১ লাখ ১৮ হাজার ৯১৩, ভোলাতে ৮৩ হাজার ৪৩৭, পিরোজপুরে ৩৫ হাজার ৮০৯, বরগুনাতে ৫৫ হাজার ৮০৪ ও ঝালকাঠীতে ৩২ হাজার ১৪০টি পরিবার এ সুবিধার আওতায় রয়েছেন। জনসংখ্যার অনুপাত সহ আর্থÑসামাজিক অবস্থার বিবেচনায় ১৫ টাকা কেজি দরে চাল সংগ্রহের কার্ড প্রদান করা হয়ে থাকে বলে খাদ্য অধিদপ্তর জানিয়েছে। এ লক্ষ্যে ইউপি চেয়ারম্যানের নেতৃত্বে বাছাই ও তদারকি কমিটির সুপারিশে উপজেলা কমিটি তালিকা চুড়ান্ত করে থাকে বলেও জানিয়েছেন বরিশালের আঞ্চলিক খাদ্য নিয়ন্ত্রক। ১-৯-২০২২.
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।