Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

বালিয়াঘাটা প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ক্লাস চলে ভাঙা ঘরে

প্রকাশের সময় : ২ মার্চ, ২০১৮, ১২:০০ এএম | আপডেট : ৮:৩৩ পিএম, ১ মার্চ, ২০১৮

আশাশুনি (সাতক্ষীরা) থেকে জি এম মুজিবুর রহমান: আশাশুনি উপজেলার ১১৬ নং বালিয়াঘাটা-বাইনবশত সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ক্লাস চলছে জরাজীর্ণ ভাঙা বিল্ডিং ও একটি ছোট্ট বদ্ধ টিনশেড ঘরে। কোমলমতি শিশুরা অতিকষ্টে ক্লাসে বসতে বাধ্য হলেও বছরের পর বছর এর প্রতিকার না হওয়ায় অভিভাবক মহলে চরম হতাশা বিরাজ করছে।
১৯৭৬ সালে ৫১ শতক জমির উপর স্থানীয় বিদ্যুৎসাহী ব্যক্তি মোকছেদ আলি শিকারী বিদ্যালয়টি প্রতিষ্ঠা করেন। কোনোরকমে বাঁশের ঘেরাবেড়া দেয়া ঘরে ক্লাস শুরু করা হয়েছিল তখন। এলাকার মানুষের মনে উৎসাহের সৃষ্টির পাশাপাশি স্কুলটিকে সুন্দরভাবে পরিচালনার সকল কার্যক্রম তিনি হাতে নেন। সকলের সহযোগিতায় স্কুলটি ভালভাবে চলার ফলশ্রæতিতে ১৯৯৯ সালে একটি অফিসসহ চার কক্ষ বিশিষ্ট একতলা বির্ল্ডিং নির্মাণ করা হয় সরকারিভাবে। এরপর স্বাভাবিক গতিতে চলে আসছে স্কুলটি। ছাত্রছাত্রী রয়েছে ১২৭ জন, শিক্ষক পাঁচজন। লেখাপড়ার মানও আশাব্যঞ্জক বরাবরই। প্রাথমিক শিক্ষা সমাপনী পরীক্ষায় ১০০ শতাংশ কৃতকার্যের পাশাপাশি এ+, ট্যালেন্টপুল ও সাধারণ গ্রেডে বৃত্তিও পেয়েছে বিদ্যালয়টি থেকে। কিন্তু স্কুলের প্রয়োজনীয় কক্ষ সঙ্কট ও আসবাবপত্রের সঙ্কট কাটানো সম্ভব হয়নি। বিল্ডিংয়ের পিলার, ছাদের পলেস্তারা ও দেয়ালের অংশ খসে পড়ছে। মেঝেতে গর্তের সৃষ্টি হয়েছে। দরজা জানালা ভেঙে গেছে। দুই শিফটের স্কুলে প্রথম শিফটে শিশু, প্রথম, দ্বিতীয় ও পঞ্জম শ্রেণির ক্লাস নেয়া হয়। দ্বিতীয় শিফটে তৃতীয়, চতুর্থ, পঞ্চম শ্রেণি ও অতিরিক্ত ক্লাস পরিচালনা করা হয়। এতে ক্লাসের জন্য কমপক্ষে চারটি কক্ষ প্রয়োজন হয়। বাধ্য হয়ে কমিটি ও অভিভাবকরা নিজেদের অর্থে ১০ হাত প্রস্থ ও ১৮ হাত দৈর্ঘ্য একটি টিনের ঘর নির্মাণ করেন ২০১২ সালে। যেখানে শিশু শ্রেণিসহ অতিরিক্ত ক্লাস পরিচালনা করা হচ্ছে। বিল্ডিং এর ভগ্নদশা ও টিনের বদ্ধকক্ষে ক্লাস পরিচালনা হওয়ায় কষ্টকর পরিস্থিতি বিরাজমান। সাথে সাথে রয়েছে আসবাবপত্রের সঙ্কট। এ ব্যাপারে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের আশু হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন অভিভাবক, এসএমসি সদস্যসহ এলাকাবাসী।



 

Show all comments
  • Nannu chowhan ২ মার্চ, ২০১৮, ৮:৫৭ এএম says : 0
    Amader montri mp ra bolen desh eagie jachse jodi desh jai tahole vanga koore ghore keno class nite ho hse?
    Total Reply(0) Reply

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: প্রাথমিক বিদ্যালয়

১৮ সেপ্টেম্বর, ২০১৮

আরও
আরও পড়ুন
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ