Inqilab Logo

রোববার ২২ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০৭ আশ্বিন ১৪৩১, ১৮ রবিউল আউয়াল ১৪৪৬ হিজরী

নরসিংদীতে প্রকাশ্য দিবালোকে ছাত্রী অপহৃত, পরে উদ্ধার

কাদির মোল্লা সিটি কলেজ

| প্রকাশের সময় : ২৭ ফেব্রুয়ারি, ২০১৮, ১২:০০ এএম

নরসিংদী থেকে সরকার আদম আলী : প্রকাশ্য দিবালোকে বাড়ীর সামনে থেকে অপহৃত হয়েছে মিনা নামে নরসিংদীর আব্দুল কাদির মোল্লা সিটি কলেজের দ্বিতীয় বর্ষের এক ছাত্রী। গতকাল সোমবার সকালে পলাশ উপজেলার বালিয়া গ্রামে এ অপহরণের ঘটনা সংঘটিত হয়েছে। এ ঘটনা জানাজানি হবার পর সিটি কলেজসহ নরসিংদীর শিক্ষাঙ্গনের ছাত্র-ছাত্রী, অভিভাবক, শিক্ষক জনতার মধ্যে ব্যাপক আতংক ছড়িয়ে পড়েছে। তবে অহরণের ২ ঘন্টার মধ্যেই অপহরণকারীরা রহস্যজনক কারণে মিনাকে রাস্তায় ফেলে পালিয়ে গেছে। মিনার পারিবারিক সূত্রে জানা গেছে, ভোলা জেলার চরফ্যাশন উপজেলার এয়াজপুর গ্রামের মোহাম্মদ আলী মনিরের কন্যা সুমাইয়া আল মিনা নরসিংদীর বাসাইলে মুক্তি জেনারেল হাসপাতালের পাশে একটি বাড়ীতে ভাড়ায় থেকে কাদির মোল্লা সিটি কলেজে লেখাপড়া করে। গত রোববার মিনা তার বড় বোনের বাড়ী পলাশ উপজেলার বালিয়া গ্রামে বেড়াতে যায়। সেখান থেকে গতকাল সোমবার সকালে কলেজের পোষাক পড়ে বই খাতা নিয়ে কলেজের উদ্দেশ্যে রওনা দেয়। এ সময় তার বড় বোন রুমী জানালা দিয়ে মিনার যাত্রাপথে চেয়ে থাকে। বাড়ী থেকে ৫০ গজ দূরে যাওয়ার সাথে সাথে একটি মাইক্রোবাস তার সামনে এসে দাঁড়ায় এবং অপহরনকারিরা মিনাকে জোরপূর্বক গাড়ীতে উঠিয়ে শিবপুরের দিকে রওনা দেয়। এ সময় মিনা উচ্চস্বরে চিৎকার করতে থাকলে আশপাশের লোকজন দৌড়ে ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়। তার বোন রুমীও দৌড়ে ঘটনাস্থলে ছুটে যায়। এ অবস্থায় এলাকার লোকজন মোটর সাইকেল নিয়ে মাইক্রোবাসটির পিছু ধাওয়া করলেও পথ হারিয়ে ফিরে যেতে বাধ্য হয়। এ খবর তাৎক্ষনিকভাবে কলেজের অধ্যক্ষ ড. মশিউর রহমান মৃধা, সহকারী অধ্যক্ষ মাহমুদুল হাসান রুমীকে অবহিত করলে তারা তাৎক্ষনিকভাবে পুলিশকে জানালে পুলিশ ঘটনাটি হাইওয়ে পুলিশকে জানায়। হাইওয়ে পুলিশ, পাঁচদোনা ফাঁড়ির এসআই জসীম উদ্দিন ওয়ারলেস বার্তায় বিষয়টি বিভিন্ন হাইওয়ে থানা ও ফাঁড়িকে জানালে পুলিশ রাস্তার মোড়ে মোড়ে সতর্ক অবস্থান গ্রহণ করে। এ অবস্থায় অপহরণকারীরা মিনাকে নিয়ে ইটাখোলা-মরজাল এলাকায় গিয়ে ঘোরাফেরা করে। দীর্ঘ দুই ঘন্টা পর অপহরণকারীরা মিনাকে নিয়ে ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের বাসাইল এলাকায় গিয়ে সমবায় ভবনের সামনে গিয়ে নরসিংদী শহরমুখী রাস্তায় ঢুকে যায় এবং সেখানে রাস্তার একপাশে গাড়ী থামিয়ে মিনাকে গাড়ী থেকে ফেলে দেয়। মিনা কান্নাকাটি করতে থাকলে অপহরণকারীরা দ্রæত স্থান ত্যাগ করে চলে যায়। পরে আশপাশের লোকজন ঘটনাটি কাদির মোল্লা কলেজ কর্তৃপক্ষকে জানালে কর্তৃপক্ষ ঘটনাস্থলে গিয়ে তাকে উদ্ধার করে নিয়ে আসে। পরে মিনার আত্মীয়-স্বজন কলেজে গিয়ে মিনাকে নিয়ে যায়। এ ব্যাপারে মিনা কলেজ কর্তৃপক্ষকে ও তার আত্মীয়-স্বজনকে জানায় যে, গাড়ীতে ২ জন অপহরণকারী ছিল। একজন দাড়ীওয়ালা ও একজন অল্প বয়সী যুবক। গাড়ীতে তুলে অপহরণকারীরা তাকে বিভিন্ন ভয়ভীতি প্রদর্শন করেছে এবং তাকে মারধোর করেছে। তবে মিনাকে ফেলে যাবার সময় মাইক্রেবাসের মূল নাম্বারটি মুখস্ত করেছে। নাম্বারটি হচ্ছে ৫১৩৪৮২। তবে নাম্বারটির সিরিয়াল মুখস্ত করতে পারেনি।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ