Inqilab Logo

বুধবার, ০৩ জুলাই ২০২৪, ১৯ আষাঢ় ১৪৩১, ২৬ যিলহজ ১৪৪৫ হিজরী

দুর্নীতি প্রতিরোধ করতে পারছি না -দুদক চেয়ারম্যান

| প্রকাশের সময় : ২৬ ফেব্রুয়ারি, ২০১৮, ১২:০০ এএম

স্টাফ রিপোর্টার : দুর্নীতি হচ্ছে কিন্তু তা প্রতিরোধ করতে পারছি না বলে মন্তব্য করেছেন দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) চেয়ারম্যান ইকবাল মাহমুদ। তিনি বলেন, দুর্নীতির নেপথ্যে আমরা সবাই। আপনি যদি প্রতিরোধ করতে না পারেন, আপনিও এর অংশ হবেন। দুর্নীতি হচ্ছে, প্রতরোধ করতে পারছি না। দুর্নীতি দমন কমিশনও পারছে না, ব্যাপক জনগণের অংশগ্রহণও হচ্ছে না। অর্থাৎ আমরা সবাই দায়ী এটার জন্য।
গতকাল রোববার দুপুরে দুদকের প্রধান কার্যালয়ে ট্রান্সপারেন্সির ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশের (টিআইবি) দুর্নীতি ধারণা সূচক প্রকাশ নিয়ে এক আনুষ্ঠানিক বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। দুদক চেয়ারম্যান বলেন, দুর্নীতি দমনে গণমাধ্যম, শিক্ষক, শিক্ষার্থীসহ সকল জনসাধারণের সাহায্য দরকার। জনগণকে যদি সচেতন না করা যায়, তাহলে আমার মনে হয় যে গতিতে দুর্নীতি চলছে, সে গতিতে প্রতিরোধ করা সম্ভব হবে না। এটা একটি সমস্যা। তিনি বলেন, দুর্নীতির ধারণা সূচক আন্তর্জাতিকভাবে যেটা বের হয়েছে, সেখানে কোনো কোনো দেশে মাত্র এক পয়েন্ট কমেছে। দুই পয়েন্ট সম্ভবত ১০-১২টি দেশ। দুই পয়েন্ট কমানো এত সহজ বিষয় নয়। তবে আমি মনে করি আত্মতুষ্টির কোনো সুযোগ নেই।
বড় বড় দুর্নীতিবাজ আইনের আওতায় আসছে টিআইবি এক পর্যবেক্ষণের বিষয়ে তিনি বলেন, আমি এটার সঙ্গে মোটেই একমত নই যে বড় দুর্নীতিবাজ আর ছোট দুর্নীতিবাজের মধ্যে পার্থক্য নেই। দুর্নীতিবাজ সবসময়ই দুর্নীতিবাজ। বড় ছোট করা সমীচীন নয়। যে কোনো দুর্নীতির বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে হবে। বড় ছোট করে বিভাজন করলে দুর্নীতি কমবে না।
সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে দুদক চেয়ারম্যান বলেন, দৃষ্টান্ত স্থাপন করতে পারছি না, সেটা আমি স্বীকার করি না। যদি তাই হয় ৩৭ শতাংশ সাজার হার বেড়ে কীভাবে ৭৪ শতাংশ হলো। ইকবাল মাহমুদ বলেন, হ্যাঁ, একটা কথা সঠিক যে গতিতে বা যতটুকু কাক্সিক্ষত মাত্রায় দৃষ্টান্ত স্থাপন করা দরকার ছিল সেটুকু পারছি না। তবে এটা বুঝতে হবে এটা সহজ বিষয় নয়। এর জন্য জনসাধারণের অংশগ্রহণ প্রয়োজন।
তিনি বলেন, অর্থ পাচার হচ্ছে, এটা সত্য। তবে এ সমস্যা শুধু বাংলাদেশের নয়, এটা বৈশ্বিক সমস্যা। বিশ্বের সব জায়গায় অর্থ পাচার হচ্ছে। এ বিষয়ে দুদকের অনুসন্ধানের আইনের সীমাবদ্ধতা রয়েছে। কারণ মানিলন্ডারিং আইনে দুদক কেবল সরকারি কর্মকর্তাদের বিষয়ে পদক্ষেপ নিতে পারে। বেসরকারি পর্যায়ে তদন্ত করবে এনবিআর, বাংলাদেশ ব্যাংকের এফআইইউ বা সিআইডি।



 

Show all comments
  • Mohammed Shah Alam Khan ২৬ ফেব্রুয়ারি, ২০১৮, ১:৫৮ এএম says : 0
    এখানে দুদক এর চেয়ারম্যান ইকবাল মাহমুদ যা বলেছেন এটা কঠিন সত্য কথা বলেছেন। সমাজের সর্বস্তরের লোক যদি এগিয়ে না আসেন তাহলে দুর্নীতির সমাধি রচনা করা সম্ভব নয়। আমার মনে হয় আমরা সবাই যদি ওনার কথা শুনি এবং সেইভাবে চলি আমি নিশ্চিত দুর্নীতি আমাদের সমাজ থেকে তিনি ধুয়ে মুছে পরিষ্কার করতে সক্ষম হবেন ইনশ’আল্লাহ।
    Total Reply(0) Reply
  • গনতন্ত্র ২৬ ফেব্রুয়ারি, ২০১৮, ১২:০৬ পিএম says : 0
    জনগন বলছেন, এন্টিবায়োটিকে ক্ষত ভাল করে, এখন এন্টিবায়োটিককে ভাল করবে কে?
    Total Reply(1) Reply
    • Sajid ২৬ ফেব্রুয়ারি, ২০১৮, ১:০২ পিএম says : 4
      So interesting.
  • মুহাম্মাদ সাজিদ ২৬ ফেব্রুয়ারি, ২০১৮, ১২:৫৯ পিএম says : 0
    আমার মন্তব্য হলো বেড়া দেয়া হয়েছে ক্ষেতের চারপাশে যাতে করে ছাগল খেতে না পারে। কিন্তু বেড়ায়ই যদি খেয়ে ফেলে তাহলে কাকে কী বলবো?
    Total Reply(0) Reply

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: দুর্নীতি

১ ফেব্রুয়ারি, ২০২৩
৩১ জানুয়ারি, ২০২৩

আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ